মার্চ ২৭, ২০১৯
সাত বছরে বেড়েছে বাংলার সেচ পরিকাঠামো

গত সাত বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলায় সেচের অন্তর্গত জমির পরিমাণ। বিকশিত হয়েছে সেচ পরিকাঠামোও।
এক নজরে দেখে নিন সেচ দপ্তরের কিছু সাফল্য:
সেচের অন্তর্গত জমির পরিমাণ বেড়েছে
রাজ্যের প্রায় অতিরিক্ত ৩০ হাজার একর জমি ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বিভিন্ন সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে সেচসেবিত এলাকার আওতাভুক্ত হয়েছে।
সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ
সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের পরিকাঠামোগত ব্যবধান কমিয়ে আনতে ১২টি প্রকল্প চিহিতি করা গেছে। এর মধ্যে পরিকাঠামোগত দিক থেকে “রিহ্যাবিলিটেশন” ও “রিজুভিনেশন’ নামে দুটি প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৫৭টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের সেচ কর্মসূচির কাজ চলছে-যাতে করে প্রায় ২৪ হাজার ৬২০ একর জমিকে সেচ সক্ষমতার আওতায় আনা হবে এবং একই সঙ্গে ৩৭৩টি পুরোনো ও ক্ষয়প্রীপ্ত জলাশয় ও খাল পারাপারের ব্রিজকে সারিয়ে তোলার কাজ হবে। এই দুটি কাজই শুরু হয়েছে।
মাঝারি সেচ প্রকল্প
রাজ্যে ২০১৮-১৯ সালে ৫৫ হাজার হেক্টর জমিকে সেচ সম্ভাব্য জমিতে পরিণত করার জন্য ক্ষুদ্র সেচসহ অন্যান্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
২০১১ সাল থেকে ২৩০৫ টি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৪৬০৬ হেক্টর জমিকে সেচের আওতায় আনা হয়েছে।
জল ধরো জল ভরো
২০১১ সাল থেকে ২.৬২ লক্ষ জলাশয় তৈরী বা সংস্কার করা হয়েছে মাছ চাষ ও প্রাণী পালনের জন্য।
চলতি বছরে “জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের অধীনে ২৯ হাজার ১৩৫টি জলাশয় খনন ও সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে।
জলতীর্থ
জলতীর্থ এবং বৃষ্টির জল সংরক্ষণসহ অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় সেচ ব্যবস্থা প্রসারিত করতে রাজ্যের খরাপ্রবণ জেলাগুলিতে ৪৪৮টি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে, যার ফলে ২০ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিকে সেচসেবিত জমিতে পরিণত করা হয়েছে। জলতীর্থ প্রকল্পকে সুন্দরবন এবং দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পার্বত্য অঞ্চলে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কাজে প্রসারিত করা হচ্ছে।
সৌর বিদ্যুৎ চালিত প্রকল্প
পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারের লক্ষ্যে ৮৭৬টি প্রকল্পে ৯ হাজার ৮২ হেক্টর সেচ সম্ভাব্য জমিতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
ক্ষুদ্র সেচ
উত্তরবঙ্গের বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিতে ভূমিক্ষয়রোধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রায় ১৩৮ কি.মি. দীর্ঘ নদীবাধ দেওয়ার কাজ শেষ করা হয়েছে।
এর মধ্যে অন্তত ১৯১টি প্রকল্প সৌরবিদ্যুৎ চালিত এবং এর ফলে ২ হাজার ৫ হেক্টুর জমি সেচসেবিত করা হয়েছে।