মে ৮, ২০১৮
মমতার লেখা পথনাটিকা তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারসভায়

দুখের ঘরে সুখের মেলা /৩৪ বছর পর /মমতাময়ী মা যে মোদের /আছে জীবনভর …ছড়ার ছন্দে রাজ্যের উন্নয়নকে তুলে ধরতে তৃণমূলের নয়া পথনাটিকা ‘জয়তু’ আসরে নেমেছে৷ লেখক স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এই মুহূর্তে বাংলা নাটকের অন্যতম কাণ্ডারী ব্রাত্য বসু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। তাঁকেই তিনি দায়িত্ব দিয়েছিলেন এই নাটকটিকে মঞ্চোপযোগী করে তোলার জন্য। ব্রাত্যর উদ্যোগেই নাটিকাটি তৃণমূলের নির্বাচনী পথসভার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
গত ৭ মে থেকে রাজ্যের ২০টি জেলায় নাটকটি বিভিন্ন নাট্যদল অভিনয় করছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে প্রতিটি দল মোট ২০টি করে শো করবে নাটকটির।দেড় হাজার টাকা করে পাবে নাটকের দলগুলি৷ মূল নাটিকাটির অভিনয়ের সিডি পৌঁছে গিয়েছে প্রতিটি জেলায়। সেই সিডি দেখেই বাকি দলগুলি নাটিকাটির মহলা দিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যেই এই নাটিকাটির আয়োজন করা হয়েছে। ১৫ মিনিটের এই নাটিকায় মমতার পশ্চিমবঙ্গ সরকার গরিব মানুষের জন্যে যেসব সুযোগ-সুবিধে দিচ্ছে যেমন, ২ টাকা কেজি দরে চাল, গম, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান, লোকশিল্পীদের মাসিক ভাতা, প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘মানবিক’ প্রকল্প, নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, কিষান মান্ডি- এসব উঠে এসেছে। তার সঙ্গে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলা জুড়ে যেসব উৎসব-অনুষ্ঠান চালু হয়েছে যেমন, টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড, জেলায় জেলায় নাট্যমেলা, বাংলা সঙ্গীতমেলা প্রভৃতির কথাও রয়েছে।
অবশ্যম্ভাবী হিসেবে নাটিকাতে উঠে এসেছে তৃণমূলের প্রধান শত্রু বিজেপির কথাও। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নোট বাতিল সহ বিভিন্ন পদক্ষেপকে কটাক্ষ করা হয়েছে। উঠে এসেছে রামনবমীতে অস্ত্রহাতে মিছিলের কথা। মঞ্চে হাজির কলাকুশলীদের কণ্ঠে শোনা গিয়েছে গান— ‘বিজেপির আসল নাম ভারত জ্বালাও পার্টি/বিজেপির আসল নাম মানুষ জ্বালাও পার্টি/রাজ্যে রাজ্যে কৃষক মরে বিজেপিরা ফুর্তি করে/শিক্ষা নেই, সভ্যতা নেই, না আছে সংস্কৃতি/দেশটাকেই বেচে দেওয়া ওদের আসল কীর্তি..।’ নাটিকায় ৩৪ বছরের সিপিএম অপশাসনের কথাও উঠে এসেছে। তবে নাটিকাটির স্ক্রিপ্ট পড়ে বোঝা যায় যে এই মুহূর্তে তৃণমূলের প্রধান শত্রু বিজেপি-ই।