সাম্প্রতিক খবর

মার্চ ১০, ২০১৯

ক্ষুদ ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

ক্ষুদ ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলা একসময় সূক্ষ্ণ তুলো এবং মসলিন কাপড় তৈরীতে অন্যতম সেরা হিসেবে বিবেচিত হত। কিন্তু ৩৪ বছরের বাম আমলে অবহেলিত ছিল এই শিল্প। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হয় রাজ্য সরকার। এর জন্য ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্র দপ্তরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উন্নত করা হয়েছে সূতী এবং মসলিন শিল্পকে।

গত ৬ই মার্চ মুখ্যমন্ত্রী হাওড়ায় অনুষ্ঠিত এক সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে ক্ষুদ, মাঝারি ও বস্ত্র শিল্প দপ্তরের একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন জেলায় মসলিন প্রকল্পের নটি উৎপাদন কেন্দ্র তথা সাল ও সাবাই প্রকল্পের অধীনে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রের।

এই কেন্দ্রগুলি আছে মালদার কালিয়াচকে, বীরভূমের বাসোয়ায়, হাওড়ার উদয়নারায়নপুরের গজা এবং হরিশপুরে, মুর্শিদাবাদের ডোমকল, আমুইপাড়া, জিয়াগঞ্জ এবং সালেরে এবং ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে।

রাজ্য সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল শিল্পীদের তাদের দ্রব্যের বিক্রীর জন্য একটি ব্যবস্থা করে দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলার বস্ত্রশিল্পীদের তৈরী দ্রব্য সরকারি বিপণন কেন্দ্রে রাখা হয় বিক্রীর জন্য। এছাড়া, বিদেশী ও দেশের বিভিন্ন ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বিশ্ব বাংলা বিপণন কেন্দ্রেও রাখা হয় এইসব দ্রব্য।

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা কিছু প্রকল্পঃ

পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকে মাদুরকাঠি প্রকল্পের অধীনে উৎপাদন কেন্দ্র।
ভার্মিকম্পোস্ট প্রকল্পের অধীনে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকে উৎপাদন কেন্দ্র।
পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না ব্লকে ভূঁইয়াখালি অঞ্চলে হ্যান্ড গ্লাভস উৎপাদনকেন্দ্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংএ বাঁশদ্বারা নির্মিত হস্তশিল্পের উৎপাদন কেন্দ্র।
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে একটি কর্মতীর্থের উদ্বোধন করা হয়।
নদীয়ার শান্তিপুরে তাঁত বস্ত্র রপ্তানির আঞ্চলিক সহায়তা কেন্দ্র

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য সরকার বীরভূম জেলার বোলপুরে বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজারে হস্তশিল্পের সঙ্গে জড়িত ৩৭জনকে জমি প্রদান করেছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজারে যেসকল কেন্দ্র হতে চলেছে, তাতে আরও ৫০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

রাজ্য সরকার বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজার তৈরী করবে ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পের বিভিন্ন দ্রব্য তৈরী এবং উৎপাদনের জন্য।

বর্তমান রাজ্য সরকার বস্ত্র এবং কুটির শিল্পে রাজ্যকে এক উন্নত জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ, বিভিন্ন সামাজিক ও আর্থিক প্রকল্পের মাধ্যমে বস্ত্রশিল্পীদের মনে উৎসাহ প্রদান।

ফাইল চিত্র