সাম্প্রতিক খবর

মে ২০, ২০১৮

ফিরে দেখা ২০শে মে, ২০১১

ফিরে দেখা ২০শে মে, ২০১১

২০শে মে, ২০১১ একটি ঐতিহাসিক দিন। ৩৪ বছরের বাম অপশাসনকে চূর্ন করে বিপুল জনমত নিয়ে ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক বেলা একটা পাঁচে শপথ নেন তিনি। রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। সকালে কালীঘাটে পুজো দিয়ে, মা গায়ত্রী দেবীর আশীর্বাদ নিয়ে বেলা একটার কিছুক্ষণ আগে তিনি পৌঁছে যান রাজভবনে। কলকাতার রাজপথে তখন কাতারে কাতারে মানুষ।

রাজভবনে প্রায় তিন হাজার জন আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে তিনি শপথ নেন। রাজভবনের বাইরে রাজপথে জনসমুদ্র। তার সাথে মন্ত্রিত্বের শপথ নেন তৃণমূলের ৩৫ জন বিধায়ক। তার চিরাচরিত সাদা তাঁতের শাড়ি এবং তেরঙ্গা উত্তরীয় পরে বাংলায় শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন শপথবাক্য পাঠ করান তাকে।

ওদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় তখন যেন অকাল-বোধন। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ও তিনি গাড়িতে ওঠার আগে সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানান। মানুষের ভীড়ে মিশে গিয়ে হাত মেলান জনতার সাথে। তিনি রওনা হওয়া মাত্রই আকাশজুড়ে ‘দিদি দিদি’ রব ওঠে, সাথে শঙ্খ-উলুধ্বনি।

শপথগ্রহণের পর আবারও প্রথা ভাঙেন তিনি। রাজভবন থেকে পায়ে হেঁটে রওনা দেন রাইটার্সের দিকে। তার সাথে এগোতে থাকে জনসমুদ্র। ১৯৯৩ সালে যে রাইটার্স থেকে তাকে চুলের মুঠি ধরে বিতাড়িত করা হয়েছিল, সেই মহাকরণেই তিনি সদর্পে পদার্পণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। বেলা তখন ৪:৪৫। রয়টার্সের ঐতিহ্যপূর্ণ রোটান্ডা থেকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা জনতার দিকে ‘ওয়েভ’ করলেন তিনি। ইতিহাসের সাক্ষী হল বাংলা।

মা, মাটি, মানুষের সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকও ছিল ঐতিহাসিক। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সিঙ্গুরের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার। তারপর দিদি ব্যস্ত হয়ে পড়েন মন্ত্রিত্ব বন্টনের কাজে। সেদিন রাট ১২:৩৫ নাগাদ বাড়ি ফেরেন তিনি।