July 31, 2017
Jatra going back to its golden days again

The Bengal Government is taking special steps to bring jatra back to the places where they were once very popular. The jatra palas or jatra operas (as the jatra groups are called) of Chitpore are slowly going back to seeing the face of profit.
Packed shows are again being organised in the districts of the two Medinipurs and the two 24 Parganas, and in those in north Bengal. Groups have been booked for 20 to 30 nights.
From last year, remuneration is also being provided to poor jatra artistes, at the rate of Rs 9,000 each. In 2016, 399 artistes were given this aid.
Jatra is a heritage entertainment and communication medium of Bengal, something unique to the state, especially in rural areas. Hence, the steps being taken by the State Government are very welcome.
Source: Bartaman
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সুদিন ফিরছে চিতপুরের যাত্রাপাড়ায়, বাড়ছে বায়না
একসময় যে জেলাগুলি থেকে লাভের অঙ্ক ঘরে ঢুকত, সেখানে কোনও অজ্ঞাত কারণে যাত্রাপালা হয়নি সেভাবে। এবার সেখান থেকেও যাত্রাপালার হাত ধরে ফের লক্ষ্মী ফিরছে চিতপুরে। তিনদিক খোলা মঞ্চে ফের মজছে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা।
যাত্রাপালার জয়যাত্রায় বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে রচিত যাত্রাপালাগুলি। যাত্রাশিল্পের অনিশ্চয়তার অন্ধকার মুছে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় এ রাজ্যে যাত্রাশিল্পে জোয়ার এসেছে বলে মনে করেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় চিতপুর যাত্রাপাড়ার শিল্পীদের গায়ে লেগেছে খুশির হাওয়া। বিভিন্ন যাত্রাসংস্থার বক্তব্য, ইতিমধ্যেই কোনও কোনও অপেরা ২০, ২৫ এমনকি ৩০ রজনীর বেশী যাত্রাপালার বুকিং হয়ে গিয়েছে। অথচ অন্যান্য বছরে এই সময়ে এত বুকিং হয়নি।
চিতপুরের যাত্রাশিল্পের সঙ্গে যুক্ত লোকজনের বক্তব্য, বাম সরকারের চূড়ান্ত উদাসীনতা এবং বিমাতৃসুলভ আচরণে এই ‘লোকশিক্ষা’র শিল্পটি ক্রমশ পিছনের সারিতে চলে যাচ্ছিল। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই শিল্প ফের মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
শুধু এই শিল্পই নন, যাত্রার সঙ্গে যুক্ত দুঃস্থ শিল্পী এবং কলাকুশলীদের বিষয়েও রাজ্য সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারি সূত্রের খবর, ২০১৩ সাল থেকে দুঃস্থ শিল্পী এবং কলাকুশলীদের অনুদান বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি এমন প্রাপকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৬-৭ অর্থবর্ষে ৩৯৯ জন দুঃস্থ শিল্পী ও কলাকুশলীকে ৯ হাজার টাকা হারে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চিতপুর যাত্রাপাড়া সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রাদলের সংখ্যাও বাড়ছে। বিভিন্ন অপেরার লোকজনের বক্তব্য, বর্তমানে বিভিন্ন জেলাতেও নতুন নতুন যাত্রা কোম্পানি তৈরি হচ্ছে।
চলতি বছরে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে তৈরি ‘বিশ্ব আজ মমতাময়’ যাত্রাপালা সুপার-ডুপার হিট হবে বলে সংশ্লিষ্ট অপেরা কর্তৃপক্ষের আশা।