মে ২২, ২০১৮
ইকো পার্কে জীববৈচিত্রের হিসেব নিকেশ

নিউটাউনের ইকো পার্ক আর জীববৈচিত্র্য যেন সমনাম। সেখানকার আনাচেকানাচে কোন পাখি বাস করে, কোন প্রজাপতির ডানার বাহারে মন কাড়ে দর্শকদের, তাঁর যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ইকো পার্কের ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। সেখানকার জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘ইকোইং গ্রিনঃ আ ফাইভ ইয়ার জার্নি’ শীর্ষক ছবি-বই। এবার আরও সুসংহতভাবে সেই কাজ করা হবে বন দপ্তর, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে। সেখানকার প্রজাপতি বাগানে কয়েক ডজন প্রজাতির প্রজাপতির সন্ধান মিলেছে। এছাড়া আছে ৩ ধরনের স্তন্যপায়ী, ২৪ প্রজাতির পাখি। ১৭ রকমের মাছ খেলা করে জলাশয়ে।
মরমন, ব্লু মরমন, কমান্ডার, লেমন পানসি, ব্লু পানসি, গ্রে পানসি, কমন লেপার্ড, কমন রোজ, টেলড যে- এগুলি বিভিন্ন রকমের প্রজাপতি। পাখিদের মধ্যে মাছরাঙা, কাঠঠোকরা, ময়নার বাস এখানে।
এছাড়াও আছে বেঙ্গল বুশ লার্ক, ইন্ডিয়ান ব্ল্যাক বার্ড, মালাবার হুইসলিং থ্রাশ, ইন্ডিয়ান ব্লু রুবিন। হরিনালয়ে রয়েছে দুরকমের হরিণ। খেলে বেড়ায় তিন রকমের পিঁপড়ে। আছে অজস্র কাঠবেড়ালিও।
গোলাপি এবং বারমার দারুচিনি, বকুল, রক্তচন্দন-সহ আরও বিভিন্ন রকমের গাছ আছে এখানে। আম, জাম, কলা, আঙুরও রয়েছে হাত ধরাধরি কোরে। বাঁশবাগানে ২৩ রকমের বাঁশ রয়েছে। জাপানী বাগানে রয়েছে জাপানের গাছ। ‘রবি অরণ্য’-এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় যে সব গাছের কথা উল্লেখ রয়েছে সেগুলি।
হিডকোর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ইকো পার্কে জৈববৈচিত্র্য বাঁচিয়ে রাখতে আমরা পরিকল্পনা করেছি।এর প্রথম ধাপ হিসেবে এখনকার অবস্থাটা খতিয়ে দেখার কাজে আমরা হাত দিচ্ছি।