মে ১০, ২০১৮
চিকিৎসকরা আমাদের গর্ব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন বাংলার চিকিৎসক, গবেষকরা আমাদের গর্ব। গত সাত বছরে রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির খতিয়ানও দেন তিনি।
তাঁর বক্তব্যের বিশেষ কিছু অংশঃ
- অনেক গবেষকদের বহুদিনের স্বপ্ন আজ পূরণ হবে। এই দিনটা অনেকের জীবনের স্বপ্ন থাকে। দীর্ঘ দিনের ত্যাগ, পড়াশোনা, পরিকল্পনা, পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্যের এই মঞ্চে আপনারা। সকলকে অভিনন্দন।
- বাংলার ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের মেধার কাছে কেউ দাঁড়াতে পারবে না। বাংলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সেরা।
- নীটের পরীক্ষায় আমাদের ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত হয়েছে, আমি এই নিয়ে চিঠি লিখেছি। কেন প্রশ্নপত্রে, ভাষায় ভুল থাকবে? এটাকে পারস্যু করতে হবে
- চিকিৎসক, গবেষকরা আমাদের গর্ব।
- সাত বছরের মধ্যে প্রায় ৪২টা মাল্টি সুপার হাসপাতাল তৈরী করে ফেলেছি।
- প্রায় ১৬টা মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব তৈরী হয়ে গেছে। এই সাত বছরে ৭৮টা এসএনসিইউ তৈরী হয়েছে, এসএনএসইউ ৩০৭টা তৈরী হয়েছে।
- ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপ প্রায় ১১৫টা তৈরী হয়েছে। প্রায় ৮৫টা ফেয়ার প্রাইস ডায়াগোনিস্টিক সেন্টার তৈরী হয়েছে। জেলায় জেলায় সাব ডিভিশনে এইচডিইউ, আইসিসিইউ তৈরী হয়েছে।
- বাংলায় বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাওয়া যায়। ভিন রাজ্যের মানুষও এখানে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাচ্ছে।
- আমরা ক্ষমতায় আসার আগে স্বাস্থ্য বাজেট ছিল ৫৭১ কোটি টাকা। এই সাত বছরে বাজেট বেড়ে ৮৭৭১ কোটি টাকা হয়েছে।
- এখনও ৯৯% মানুষ ভালো কাজ করে, কিন্তু, ১% লোকের দুর্ব্যবহারের জন্য কখনও কখনও রোগী মারা যায়, আর তার বদনাম আমাদের নিতে হয়।
- সৎ ভাবে, ভালো ভাবে থাকবো, মাথা উঁচু করে চলব, গর্বের সাথে কাজ করব – এটাই আমাদের মন্ত্র হয় উচিত।
- প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার আমরা আসার আগে ছিল ৬৫%, এখন বেড়ে হয়েছে ৯৬%। শিশু মৃত্যুর হার আগে ছিল ১০০০ এ ৩২, এখন হয়েছে ২৫।
- সরকারি হাসপাতালের ৯ হাজার ডাক্তার বছরে ৯ কোটি রোগী দেখে। আমরা ১৪৪৫টি মেডিক্যাল সিট বাড়িয়েছি। আরও ৪০০ সিট বাড়ানো হচ্ছে।
- যে ছাত্রছাত্রীরা গবেষণা করবেন, তারা সুগার কিকরে সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়, ডায়ালিসিস কি করে আরও সহজ করা যায়, ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করুন। রিসার্চের মধ্যে দিয়ে অনেক কিছু বেরিয়ে আসে।
- আপনাদের দিকে তাকিয়ে সারা পৃথিবী। যেন একদিন সবাই বলতে পারে বাংলা বিশ্বসেরা, বাংলার চিকিৎসকরা বিশ্বসেরা, বাংলার নার্সরা বিশ্বসেরা।