সাম্প্রতিক খবর

মে ১৮, ২০১৮

পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর রাষ্ট্রনায়কোচিত সমবেদনা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর

পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর রাষ্ট্রনায়কোচিত সমবেদনা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর

তৃনমুল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পঞ্চায়েত ভোটের ফল আসার পর নিজের বক্তব্য জানতে গিয়ে বলেন যে এবার সিপিএম,বিজেপি,কংগ্রেস ও মাওবাদীরা একসঙ্গে লড়েছে, যেটা রাজনীতিতে সবসময় হয় না, তা সত্ত্বেও কিন্তু আমরা ৯০% সিটে জিতেছি। এটাই প্রমাণ করে যে আমরা কতটা কাজ করেছি।

এবার ৬৭৩টি বুথে পুনর্নিবাচন হয়েছে যা আগে কোনদিন হয়নি। সেখানেও তৃনমুল জিতেছে। কিন্তু আমরা সেখানেও ৯০% সিটে জিতেছি।

কিছু সন্ত্রাস হয়েছে, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, আমরা কেউ চাইনি তা হোক, কিন্তু বাংলায় পঞ্চায়েতটা পলিটিকাল, অনেক জায়গায় তা নয়। এটা বামফ্রন্টের সময় থেকে হয়ে আসছে। এবং এই ক্ষেত্রে কিছু স্থানীয় সমস্যা কাজ করে, ফলে ভোটের দিনও যে ১৩ জন মারা গিয়েছিল তাঁর মধ্যে তৃনমুলের ছিল ১০ জন।সিপিএম-বিজেপি একযোগে তাদের খুন করেছিল। প্রত্যেকটা এফ.আই.আর হয়েছে। অনেক কুৎসা, অনেক অপপ্রচার, অনেক অপমান করা হুয়েছে আমাদের। আমরা কিন্তু চুপ করে থেকেছি।

বাংলা আছে ঝাড়খন্ডের সীমান্তে, সেখানে কোন পার্টি ক্ষমতায় আছে? বিজেপি। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ঝাড়গ্রাম ঝাড়খন্ডের সীমান্তে। দক্ষিণ দিনাজপুর বাংলাদেশের সীমান্তে, উত্তর দিনাজপুর বিহারের সীমান্তে। বনগাঁ, বাগদা, গাইঘটা, মুর্শিদাবাদ বাংলাদেশের সীমান্তে।আপনারা কি লক্ষ করেন নি সেদিন বাংলাদেশের সীমান্তে লোকদের কেন ছেড়ে দিয়েছিল। হওয়ার পর থেকে আমাদের চোখ খুলে গেছে। সিপিএম যেটার প্রতিবাদ করতে পারেনি, আমরা সেটার প্রতিবাদ করেছি।

মিথ্যে কথা বলে দিল ওরা নাকী নমিনেশন দিতে পারেনি। ২০১৩ সালে ওরা নমিনেশন দিয়েছিল ১১,০০০ এবার সিপিএমের সাহায্যে দিয়েছে ২৮,০০০। তাহলে কেন এই মিথ্যে কথাগুলো বলবে, কেন এই কুৎসা গুলো করবে, কেন মানুষকে মিথ্যে বার্তা দেবে। একটা-দুটো জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনাও যদি হয় আমারা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এই জয়টা মানুষের প্রতি আমরা যেমন উৎসর্গ করছি, যারা মারা গিয়েছেন তাদের জন্যে আমি খুব দুঃখিত, প্রত্যেক শহিদ পরিবারকে আমরা সাহায্য করব। আমাদেরই হোক বা অন্যদেরই শহীদের কোনও দল হয় না। একজন প্রিসাইডিং অফিসার মারা গিয়েছেন তা নিয়ে অনেকে অনেক গল্প ছড়িয়েছিল, কিন্তু এক্ষেত্রে রেলের ড্রাইভার কবুল করেছে যে একটি ‘হিট অ্যান্ড রান হয়েছে। রিপোর্ট করার পরে উদ্ধার করতে গিয়ে এটা জানা গেছে। এটার পুরো তদন্ত হওয়ার জন্য সি আই ডি-কে দেখতে বলা হয়েছে। বাংলায় গণতান্ত্রিক অধিকার না থাকলে এত সিটে এইভাবে নির্বাচন হতে পারে না।

মুর্শিদাবাদে বিজেপি কংগ্রেস জোট হেরে গেল। ভাবতে পারেন বিজেপি মাওবাদিদের সাথে জোট করেছিল। আমি চায় মানুষ ভাল থাকুক, পঞ্চায়েত মানুষের উন্নয়নের কাজ করে, যারা জিতে এসেছেন, সবাইকেই অভিনন্দন, ভাল করে কাজ করুন

আমরা সবাইকে সাহায্য করব।যে প্রিসাইডিং অফিসার মারা গেছেন তাঁর পরিবারকেও আমরা সাহায্য করব, সেটাও আমাদের দায়িত্ব। আমি বিজেপির হর্স ট্রেডিংয়ের ব্যাপারে এমনি এমনি অভিযোগ করেনি। এটা সবার জন্যে খারাপ, আমি কোনও নাম নেয়নি।গোয়া এবং মণিপুরে কংগ্রেস একক বৃহত্তম দল ছিল। আমাদের সংবিধানের প্রতি আস্থা আমাদের আছে, কিন্তু ক্ষমতায় থাকার মানে এই নয় যে সংবিধানের তুমি অপমান করবে তাহলে সবারই কিন্তু ক্ষতি হবে। এটা কর্নাটকায় হয়েছে, যেখানে সব বিজিত প্রার্থীকে আমি অভিনন্দন জানিয়েছিলাম, কিন্তু কেউ কেন সংবিধান-কে অসম্মান করবে? এক্ষেত্রে ২টি দল লিখিত ভাবে তাদের আবেদন জমা দিয়েছিল কিন্তু তাদের সুযোগ দেওয়া হয় নি। আমি জানি না মাননীয় রাজ্যপাল ওদের কেন সুযোগ দিলেননা। কুমারস্বামীকে সরকার গড়তে ডাকা ওনার উচিত ছিল, যখন কংগ্রেস ওদের সমর্থন দিয়েছিল। এটি একটি সাংবিধানিক সংকট, এবং রাজ্যপাল একটি সাম্মানিক ব্যক্তি, এবং সংবিধানের রক্ষাকর্তা, তিনি কখনই রাজনৈতিক মোট পোষণ করতে পারেন না, এবং নিজের ইচ্ছেমতো কাউকে সরকার গড়তে দিতে পারেন না। আমি মায়াবতি-জী, স্টালিন, অখিলেশ যাদব সবার মতকে সমর্থন করি। সংবিধানের রক্ষাকর্তা হিসাবে আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করি যেন উনি এই ব্যাপারটা দেখেন।

আমি একটা ছোট দলের প্রতিনিধি এবং আমি সব দলকেই সম্মান দেই। তাঁর থেকেই আমার এই ফেডারেল ফ্রন্ট তৈরি করার ধারণা। আমি সবসময় চাইব যে আঞ্চলিক দলগুলি ভালো করুক কারণ কেন্দ্রে শক্তিশালি প্রতিপক্ষ এবং তারা যদি একজোট হয় তাহলেই ভালো।