মার্চ ২৯, ২০১৯
ধর্মের নামে বিভাজন করছে বিজেপি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ পুরুলিয়ায় জনসভা করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থল থেকে একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন তিনি।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ
আমরা যা বলি কাজে করে দেখাই। ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পুরুলিয়ার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এসেছিলেন উন্নয়নের ডালি নিয়ে।
২০১৪ সালে বলেছিল ওরা বলেছিল আচ্ছে দিন আসবে। মানুষকে কাঁচকলা দেখিয়ে ৫ বছর একটা সরকার চলেছে। এই সরকারের এক্সপায়ারি ডেট শেষ হয়ে গেছে, আগামী দিনে এদের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি শান্তিপ্রিয়, প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষ গঠন হবে। সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে দিল্লীর বুকে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
এই ৫ বছরে নরেন্দ্র মোদীর সরকার দিল্লী থেকে পুরুলিয়ার জন্য ৫ পয়সাও পাঠায় নি, আর ২০১১-১৯ এর মধ্যে বাংলা সরকার পুরুলিয়ার জন্য ৮০০০ কোটি টাকার বেশী খরচ করেছে।
আদিত্যনাথের সরকার স্বামী বিবেকানন্দের ভূমি বেলুড় মঠকে যোগ্য সম্মান দেয়নি।
সকালে এক কথা আর বিকেলে আর এক কথা – এই হল ভারতীয় জনতা পার্টি।
যারা নিজেদের হিন্দু ধর্মের ধারক ও বাহক বলে তারা কোনওদিন হিন্দুদের জন্য কোনও কাজ করেনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরাজ্যে হিন্দুদের জন্য যা করেছেন, ভারতবর্ষের বাকি ২৮ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তার ৫% এর হিসেবও দিতে পারবে না।
বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আয়কর দপ্তরকে লেলিয়ে দিচ্ছে কিন্তু কুম্ভ মেলায়, মহারাষ্ট্রের গণেশ পুজোয়, উত্তরপ্রদেশের মহাবীর জয়ন্তী, হনুমান জয়ন্তীতে আয়কর দপ্তর যায় না। কেন এই বিমাতৃসুলভ আচরণ?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করেছে, তারাপীঠ, তারকেশ্বরের উন্নয়ন, ভগিনী নিবেদিতার বাড়ির সংস্কার করেছেন।
বিজেপি রামমন্দিরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, মানুষের মধ্যে বিভাজন করে, দেশকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে।
ওরা ২০১৬ সালে নোটবন্দী, ২০১৭ সালে ট্যাক্সবন্দী করেছে, ২০১৮ সালে রেল স্টেশনের নাম বদল করেছে। ২০১৯-এ বাংলার মানুষ এদের ক্ষমতাচ্যুত করে মোদী বদল করবে।
দু’মাস আগে গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমার কারণ পাঁচটি রাজ্যে বিজেপির হার। ভারতীয় জনতা পার্টি যত হেরেছে তত গ্যাসের দাম, জিনিসপত্রের দাম তত কমেছে।
ওরা বাংলায় কথা বলতে পারে না, বাংলা লিখতে জানে না, বাংলা পড়তে জানে না, বাংলার কৃষ্টি জানে না, বাংলার সংস্কৃতি জানে না। এখনো অবধি করে ঠিকঠাক প্রার্থী দিতে পারেনি।
এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব তরুন প্রজন্মের ছাত্র-যুব ভাইদের। তোমাদের ভোট বাংলার পক্ষে না বিপক্ষে তা তোমরা ঠিক করবে।
যারা ভাবছে বাংলায় এসে বাংলার মানুষকে ভুল বুঝিয়ে যাবে তারা ভুল ভাবছে। ২০১৯-এর নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করার ভোট। বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার কৃষ্টি, বাংলার ঐতিহ্য রক্ষা করার নির্বাচন।
হাজার চেষ্টা করেও এরা সিবিআই, ইডি দিয়ে ধমকে চমকে আমাদের ঘরের মধ্যে আটকে রাখতে পারেনি।
আমি যখন মানুষের ভোটে নির্বাচিত তখন আমার একটাই ধর্ম – মানব ধর্ম, মানুষের জন্য কাজ করা। ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের জন্য কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য
কার বাড়িতে কি রান্না হচ্ছে, কে কি খাচ্ছে এই খবর নরেন্দ্র মোদীর সরকারের কাছে যায় কিন্তু ৩৫০ কেজির আরডিএক্স নিয়ে বর্ডারের ভিতরে চলে আসলে এই সরকারের কাছে খবর থাকে না।
নরেন্দ্র মোদি চাওয়ালাদের নামে প্রচার করে চাওয়ালাদের কলুষিত এবং কালিমালিপ্ত করেছে।