মার্চ ১৪, ২০১৯
সাত বছরে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন বাংলায়

২০১৬-১৭ সালে শস্য, তৈলবীজ, ডালের উৎপাদন ছিল ১৭২.৭৭, ২.৭৬ এবং ৮.৯৪ লক্ষ মেট্রিক টন যা ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ১৭৮.৪৭, ৪.৪৪ ও ১১.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন।
২০১৮-১৯ সালে কৃষকদের সহায়তার জন্য ১২৫.৮১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে যার মধ্যে ৫৮.৮৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে ৩৮০টি কাস্টম হায়ারিং সেন্টার নির্মাণ করতে।
বাংলা ফসল বীমা যোজনায় রাজ্য সরকার কৃষকদের দেয় সমস্ত প্রিমিয়ামের টাকা রাজস্ব থেকে প্রদান করে। ২০১৮ সালের খারিফ মরশুমে ২৪ লক্ষ কৃষককে প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বয়স্ক কৃষকদের সংখ্যা ৬৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ করা হয়েছে এবং পেনশনের পরিমাণ ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্প শুরু করা হয়েছে যার মাধ্যমে ৭২ লক্ষ কৃষক ভাগচাষী একর পিছু বছরে দুই ভাবে মোট ৫ হাজার টাকা পাবে। এবং যেসব চাষির জমির পরিমাণ এক একরের কম, তাদের বছরে দুই ভাগে মোট ২ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কৃষকদের মৃত্যুতে তাদের পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।.
১০৫টি সুফল বাংলা বিপণন কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বিভিন্ন যন্ত্রপাতির খরচের ভর্তুকি বাবদ এবং অন্যান্য অনুদান বাবদ ১৬০০কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের খাতায় জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ফসলের ক্ষতিতে সরকার থেকে ৬৩ লক্ষ পরিবারকে ২৪১৫ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে ২০১৮ সালে।
কৃষকদের তাদের উৎপাদনের সঠিক মূল্য প্রদান করার জন্য বেশীর ভাগ ব্লকের কৃষক বাজারগুলিতে মোট ৩২১টি সরকারি ক্রয় কেন্দ্র এবং ২ হাজারটি ক্যাম্প খোলা হয়েছে।
গত সাত বছরে কৃষকদের আয় তিনগুণেরও বেশী বেড়েছে। ২০১০-১১ সালে কৃষকদের বার্ষিক গড় আয় ছিল ৯১ হাজার টাকা। ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।
কৃষকদের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে মুখ্যমন্ত্রী ৪০০০ কৃষককে কৃতি কৃষক, ব্লক স্তরে ২০০৩ জন কৃষককে কৃষক রত্ন এবং রাজ্য স্তরে ৩৬১ জন কৃষককে কৃষক সম্মান প্রদান করেছেন।
কৃষকদের সহায়তা করতে মাটির কথা পোর্টাল খোলা হয়েছে যেখান থেকে কৃষকদের বাংলায় এসএমএস করে নানারকম সহায়তা করা হয় এবং জমিতে নানারকম সমস্যার সমাধান করতে কল সেন্টার খোলা হয়েছে।
ফাইল চিত্র