জুন ৩০, ২০১৯
এবার থেকে বাণিজ্য সম্মেলন দুবছর অন্তর

রাজ্যের শিল্পায়নের লক্ষ্যে এবার থেকে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে দুবছর অন্তর। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এবার থেকে দুবছর অন্তর করব। প্রস্তাব যা পাওয়া যায়, তা বাস্তবায়িত করতে দুবছর লেগে যায়। এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ কোটি টাকা প্রস্তাব পাওয়া গেছে। ৫০ শতাংশ কাজ কড়া হয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশ বাস্তবায়নের পথে।”উল্লেখ্য প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন শিল্পপতিরা অংশ নেন। নিউটাউনে আন্তর্জাতিকমানের অডিটোরিয়ামও হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজ্যের পরিকল্পনাখাতে খরচ ছগুণ বেড়েছে। ২০১০-১১ সালে এই খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। সামাজিক পরিকাঠামো খাতে খরচ বেড়েছে সাড়ে চার গুণ। পাশাপাশি কৃষি বা কৃষিজাত ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে নগুণ। স্বাভাবিক পরিকাঠাম খাতে খরচ বেড়েছে পাঁচ গুণ।
কৃষক বন্ধু, শস্য বীমা, ঋণ মুকুবের ফলে কৃষকদের আর্থিক ক্ষমতা বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, রাস্তাঘাট সঙ্গস্কারে প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পরিকাঠামোখাতে আরও ১৮ হাজার কোটি খরচ হচ্ছে। কুলপি, তাজপুর বন্দর তৈরী হচ্ছে। বানতলায় লেদার কমপ্লেক্স তৈরী হলে আরও ২ লক্ষ মানুষের চাকরি হবে। মালদহ, কোচবিহার, অন্ডালে বিমানবন্দর তৈরী হচ্ছে।
মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে কেন্দ্রের টালবাহানার কোথাও বলেন তিনি। রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব বিধানসভায় অনুমোদিত হওয়ার পরেও কেন্দ্র প্রায় চার বছর ধরে অনুমোদন দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র বাংলাকে যেভাবে বঞ্চিত করছে, তার নিয়ে সবাই ভাবুন। নিজেরা কাজ করেনা, কাজ করতেও দেয়না।