সাম্প্রতিক খবর

মে ২১, ২০১৮

বাংলা বিশ্বকে পথ দেখাবে: ‘বঙ্গ সম্মাননা’ প্রদান অনুষ্ঠানে অঙ্গীকার মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলা বিশ্বকে পথ দেখাবে: ‘বঙ্গ সম্মাননা’ প্রদান অনুষ্ঠানে অঙ্গীকার মুখ্যমন্ত্রীর

প্রতিবারের মতো এবছরও ‘বঙ্গ সম্মাননা’ প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী । অনুষ্ঠানটি আজ নজরুল মঞ্চে পরিবেশনা করা হল। পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি বিশিষ্ট শিল্পীরা পরিবেশন করলেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের গুণী মানুষজনদের সম্মানিত করতে ‘বঙ্গ সম্মাননা’ শুরু করেন। নানা কৃতি মানুষজনকে ‘বঙ্গ বিভূষণ’ ও ‘বঙ্গ ভূষণ’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

এই বছরের বঙ্গভূষণ সম্মান প্রাপকরা হলেন:

শ্রীরাধা বন্দোপাধ্যায় (গায়িকা)
অরুন্ধুতী হোমচৌধুরী (গায়িকা)
শ্রী পার্থ ঘোষ (বাচিকশিল্পী)

এই বছরের বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রাপকরা হলেন:

গিরিজাশঙ্কর রায় (শিক্ষাবিদ)
সুহৃদ কুমার ভৌমিক (ভাষাবিদ)
সমরেশ মজুমদার (লেখক)
সুব্রত ভট্টাচার্য (প্রাক্তন ফুটবলার)
মহম্মদ ভৌমিক (প্রাক্তন ফুটবলার)
প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি (অভিনেতা)
প্রাক্তন বিচারপতি শ্যামল কুমার সেন
কিংবদন্তী গায়িকা আশা ভোঁসলে

মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন যে কিংবদন্তী নৃত্যশিল্পী পন্ডিত বিরজু মহারাজকে রাজ্যের মুখ্যসচিব নিজে গিয়ে বঙ্গবিভূষণ সম্মাননায় ভূষিত করে আসবেন।

অনুঠানে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে হবে, যা বাংলাই পারে। আমাদের স্বপ্ন বাংলা হোক বিশ্বসেরা। বাংলা বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত। বাংলার মেধা সারা পৃথিবীকে চালিত করে। বাংলা সমগ্র বিশ্বকে পথ দেখাবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প, সৃষ্টি, কৃষ্টি – যারা সব কিছুর মূলে, যারা আমাদের পথ দেখান, তারা অনেক সময় পিছনে থেকে যান, তাদের সেই সম্মান আমরা অনেক সময় দিয়ে উঠতে পারি না এটা আমাদের ব্যর্থতা। তাই আমরা ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু করেছি। এবং এই পুরস্কার দিতে পেরে আমরা গর্বিত।”

তাঁর কথায়, “কেউ কেউ বাংলাকে অপমান করে, অসম্মান করে. অনেক বড় বড় কথা বলে. সারা ভারতবর্ষ-র সব ধর্ম আমাদের পথ. বাংলা মাথা নিচু করতে শেখেনি। কারও দয়া আমরা আশা করি না, আমরা ভিক্ষা করি না। বাংলা সবাইকে গ্রহণ করে নেয়, বাংলা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। কারণ এই বাংলা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, আম্বেদকর, গান্ধীজির পথ অনুসরণ করে। বাংলা সম্মানের সাথে এগিয়ে চলুক এটাই আমরা চাই।”