সাম্প্রতিক খবর

মে ২৩, ২০১৮

বাংলার মৃৎশিল্পকে চাঙ্গা করতে কুমোরপাড়ায় পাড়ি দিচ্ছে খাদি

বাংলার মৃৎশিল্পকে চাঙ্গা করতে কুমোরপাড়ায় পাড়ি দিচ্ছে খাদি

মাটির হাঁড়ি, কলসির বাজার চাঙ্গা করতে কুমোরপাড়ায় জিয়নকাঠি নিয়ে এগিয়ে এল ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তর। তাদের অধীনস্থ খাদি ও গ্রামন শিল্প পর্ষদের ওপর ভার পড়েছে এই মৃতপ্রায় শিল্প ও তার শিল্পীদের সঞ্জীবনী সরবরাহের।

মৃৎশিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় আধুনিক পরিকাঠামো তৈরী করে দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে বেছে নেওয়া হয়েছে নদীয়া জেলার বীরনগরকে, মাটির হাঁড়ি-কলসির জন্য একদা যার নাম ছিল রাজ্যে, ভিনরাজ্যে, বিদেশেও। কিন্তু, সেই মৃৎশিল্পীদের আজ চরম কাজের অভাব। খাদির তরফে মাটির জিনিস তৈরীর জন্য ইতিমধ্যেই শিল্পীদের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, যন্ত্রপাটি দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মৃৎপাত্র তৈরীর পর সেগুলি পুড়িয়ে টেঁকসই করার জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে উন্নতমানের চুল্লিও। এছাড়া ওই মৃৎপাত্র বাজারজাত করতে শিল্পীদের আর্থিক সাহায্যও করা হচ্ছে।

প্রথমে তাদের উৎপাদিত সামগ্রীর বিক্রির জন্য মোট অরথের ৫০ শতাংশ দেওয়া হবে। পরে কাজের গুনমান, বিক্রির হার খতিয়ে দেখে বাকি ৫০ শতাংশ টাকা বরাদ্দ করা হবে।

পরিকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ। মৃৎশিল্পীরা তাদের জমি খাদির কাছে তুলে দিয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে ২৬০ জন মৃৎশিল্পী এই বিশেষ সুবিধা পাবেন। পরে আরও সম্প্রসারণ ঘটানো হবে। তবে শুধু পরিকাঠামো গড়ে দেওয়াই না, শিল্পীরা যাতে নিজেদের সামগ্রী নিজেরাই বাজারে বিক্রি করতে পারেন, সেদিকেও নজর দিচ্ছে পর্ষদ। এজন্য মাটির বিভিন্ন দ্রব্য সুরক্ষিত রাখতে একটি বিশেষ সংগ্রহশালাও তৈরী করেছেন। উৎপাদনের পর সেগুলিও ওখানেই রাখা থাকবে। পরে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিল্পীরা সেগুলি বিক্রি করবেন। এছাড়া মাটির তৈরী দ্রব্য যাতে ভেঙ্গে না যায়, এজন্য প্যাকেজিং-এ জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

উত্তর ২৪ পরগণার চালতাবেড়িয়া এবং বাঁকুড়ার পাঁচমুড়ার টেরাকোটা শিল্পে এক বিশেষ ধরনের প্যাকেজিং পদ্ধতি চালু হয়েছে, এক্ষেত্রেও সেই একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।