মার্চ ৪, ২০১৯
বানতলা চর্মনগরীতে ৫৪০ কোটি টাকার লগ্নী

বানতলাকে বিশ্বের সেরা চর্মনগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বানতলা চর্মনগরীতে জমি বিতরণ অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিল্প ও অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বানতলা চর্মনগরীকে বিশ্বসেরা চর্মনগরী রূপে গড়ে তোলা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন। তাই সরকার বানতলা চর্মনগরীতে ৫৪০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে। কেন্দ্র সরকার দেশের কর্মসংস্থানে জোর দিচ্ছে না। কিন্তু বাংলা কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রাজ্যের বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’ চর্মশিল্পে বিনিয়োগ–সহ নতুন ট্যানারি তৈরী করার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
এশিয়ার বৃহত্তম চর্মনগরী বানতলায় জায়গা দেওয়া হল আরও ২৪টি সংস্থাকে। এক হাজার আবেদনের ভিত্তিতে ৩০০টি সংস্থাকে বেছে নেওয়া হয়। তার মধ্যে থেকে ২৮টি বড়, ৯৭টি মাঝারি এবং ৬২টি ছোট সংস্থাকে ট্যানারির জন্য জমি দেওয়া হবে। এখন চর্মনগরীর বার্ষিক ব্যবসার পরিমাণ সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এবার এই পরিমাণ ২৭ হাজার কোটিতে পৌঁছোবে। কর্মসংস্থান হবে ৫ লক্ষ।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব থেকে বড় লেদার সেক্টর হবে কলকাতা।’ অর্থমন্ত্রী এদিন জানান, এই চর্মনগরীতে ৮টি সিইটিপি বা ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরী হচ্ছে। নোংরা জল শোধনের পুরনো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট মডিউল ১ থেকে ৪ সংস্কারের কাজ চলছে।
পাশাপাশি নতুন ৪টি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরী করার কাজ চলছে। নোংরা জল অপসারণের জন্য পাইপলাইন বসাতে ১৮০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মডার্ন ডিজাইন সেন্টার গড়তে ২৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এছাড়া হবে ফুটওয়্যার পার্ক, দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র। বানতলা–লাগোয়া রাস্তা মেরামতে ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। গবেষণাগার তৈরী হবে ১ কোটি টাকায়। চর্মনগরীতে কর্মীদের যাতায়াতের জন্য স্পেশ্যাল ৬টি বাস চালাতে দপ্তরের সচিবকে নির্দেশ দেন তিনি।