সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ২, ২০১৯

নদীপথে প্রাণ ফেরাতে উদ্যোগী রাজ্য

নদীপথে প্রাণ ফেরাতে উদ্যোগী রাজ্য

যত দিন যাচ্ছে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গাড়ির বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে নিস্তার পেতে জলপথকেই পাখির চোখ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সড়ক পথের ভোগান্তি থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে নদীপথকে বেশী করে কাজে লাগানো হবে। অদূর ভবিষ্যতে ট্রেন, বাস, ট্যাক্সি ছেড়ে দূর-দুরান্তের যাত্রীরা নদীপথে সরাসরি পৌঁছে যাবেন কলকাতায়। জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতেও সুবিধা হবে।

এর জন্য জলপথে অনেক নতুন রুট চালু হবে। বানানো হবে নতুন জেটি। নদীপথে যাত্রী পারাপারের জন্য চালু হবে অত্যাধুনিক লঞ্চ-স্টিমার। জলপথের নিরাপত্তা বাড়াতে জিআইএস প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে। তার রূপরেখা তৈরী করতে পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগের জন্য সম্প্রতি গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়েছে।

তারই অংশ হিসেবে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন নদ-নদীতে জলপথ পরিবহনের কী ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তার জন্য কতটা পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে, তার সলুকসন্ধান পেতে কনসালট্যান্ট সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারা সমীক্ষা করে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই মতো টেন্ডার ডেকে জলপথের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হবে।

এই প্রকল্প রূপায়ণর জন্য রাজ্য সরকারকে ঋণ দেবে বিশ্বব্যাঙ্ক। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্যকে। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জলপথ উন্নয়নের সম্ভাবনা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

জলপথে লঞ্চ ও স্টিমার চালানোর জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারীদেরও আরও বেশি করে উৎসাহিত করা হবে। মাছ ধরার নৌকার জন্য অনেক সময় লঞ্চ চালাতে সমস্যা হয়। সেজন্য কোন কোন আইন সংশোধন করা দরকার সে বিষয়েও সুপারিশ করবে সংশ্লিষ্ট পরামর্শদাতা সংস্থা।

সৌজন্যেঃ এই সময়