সাম্প্রতিক খবর

মার্চ ২৪, ২০১৯

অনগ্রসর শ্রেণী এবং আদিবাসী মানুষের কল্যাণে এগিয়ে বাংলা

অনগ্রসর শ্রেণী এবং আদিবাসী মানুষের কল্যাণে এগিয়ে বাংলা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অনগ্রসর শ্রেণী এবং আদিবাসী মানুষের কল্যাণে এগিয়ে বাংলা।

আদিবাসী মানুষের নিবিড় উন্নয়নে অগ্রাধিকার – ২০১৩ সালে আলাদা বিভাগ।

অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের মিলিত বাজেট ২০১১য় ছিল ৩৬০ কোটি টাকা – এখন তা পাঁচগুণ বেড়ে হয়েছে ১৭৮৫ কোটি টাকা।

আদিবাসী ও তপশিলি জাতিদের সংরক্ষিত শূন্য পদে বিশেষ নিয়োগ – ২৬৬৯ জন আদিবাসী ও ১০২৪১ তপশিলি জাতির মানুষদের চাকরির ব্যবস্থা।

জাতি শংসাপত্র পাওয়া এখন অনেক সহজ-আবেদন অনলাইনে। জাতি শংসাপত্র দেওয়ার হারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি – এখন বছরে গড়ে প্রায় ৯ লক্ষ শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে।

প্রায় ১ কোটি জাতি শংসাপত্র এখন ইন্টারনেটে – তথ্য যাচাই মাউসের এক ক্লিকে।

মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকোত্তর স্তরে বছরে গড়ে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে ১২ লক্ষ তপশিলি জাতি, ১.৫ লক্ষ আদিবাসী এবং ৭ লক্ষ অনগ্রসর শ্রেণীর পড়ুয়ারা।

পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর আদিবাসী ও তপশিলি জাতির ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প – শিক্ষাশ্রী। বছরে গড়ে ১০.৫ লক্ষ তপশিলি জাতির, ২.২৫ লক্ষ আদিবাসী পড়ুয়া এর সুবিধা পাচ্ছে।

হোস্টেল পড়ুয়াদের বৃত্তি মাসে ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১০০০ টাকা – ছাত্রাবাসের সুযোগ পাচ্ছেন প্রায় ৯০ হাজার আদিবাসী ও তপশিলি জাতির ছাত্রছাত্রী।

আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১৬টি বিশেষ আবাসিক স্কুল-৭টি ‘একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল’ এবং ৯টি ‘পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মূ’ স্কুল। ছাত্রছাত্রীদের ‘স্পোকেন ইংলিশ’ ও কম্পিউটারের বিশেষ প্রশিক্ষণ।

২০১৮য় জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পে সরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সব ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাই-সাইকেল-প্রায় ১কোটি ছাত্রছাত্রী উপকৃত। সবুজ সাথী প্রকল্প ইউনাইটেড নেশনস’র সর্বোচ্চ পুরষ্কারের জন্য মনোনীত।

দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণে সাফল্য-বিউটিশিয়ান কোর্সে ২৮০০০ তপশিলি জাতি ও আদিবাসী মহিলা প্রশিক্ষিত-দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্লাস্টিক প্রযুক্তি, সেলাই ও অন্যান্য কোর্সে আরও ১ লক্ষ কর্মসংস্থান।

উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণে শিক্ষাঋণ যোজনা। আদিবাসী ও তপশিলি জাতির ছাত্রছাত্রীদের পেশাদারী ও কারিগরি শিক্ষায় সহজ কিস্তিতে ঋণ-দেশের মধ্যে পড়ার জন্য সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা ও বিদেশে পড়ায় সর্বাধিক ২০ লক্ষ টাকা। প্রকল্পটি দেশের মধ্যে মডেল।

রাজ্যব্যাপী ৩৬টি কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ-আদিবাসী ও তপশিলি জাতির ছাত্রছাত্রীরা এখন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, আইআইটি ও অন্যান্য খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে।

আদিবাসী ও তপশিলি জাতির মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে সহায়তা-বছরে গড়ে ৭৫ হাজার মহিলাদের স্বনিযুক্তি ও আয় বৃদ্ধি।

জাতীয় স্তরের আদিবাসী ও তপশিলি জাতির ক্রীড়াবীদদের ক্রীড়া সরঞ্জামের জন্য সহায়তা।

আদিবাসী ও তপশিলি জাতির মা ও শিশুদের উন্নততর স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান।দূরবর্তী জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরীতে জোর-গত দু বছরে ২২০০র বেশী কেন্দ্র তৈরী।

আদিবাসী বার্ধক্য ভাতা প্রাপকের সংখ্যা এখন বেড়ে প্রায় দেড় লক্ষ – মাসিক ভাতা ১ হাজার টাকা।

ওয়েস্ট বেঙ্গল কেন্দু লিভস কালেক্টরস সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কীম, ২০১৫য় সামাজিক সুরক্ষার আওতায় ৩৫০০০ কেন্দু পাতা সংগ্রহকারী দরিদ্র আদিবাসী পরিবার। এরাও স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়।

খাদ্যসাথীর আওতায় এখন প্রতিটি তপশিলি পরিবারের – ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নিয়ে এসেছে ১১লক্ষ তপশিলি জাতির মানুষের স্বাস্থ্যবীমার সুযোগ।

ক্ষুদ্র বনজ সম্পদের লাভজনক সহায়ক মূল্য নির্ধারণ।

অরণ্যের অধিকার আইন ২০০৬ (FRA-2006) –এ ৪৬,৫০০ আদিবাসী মানুষকে ব্যক্তিগত পাট্টা প্রদান – ৩২৩ টি জাহেরথান’র শ্রীবৃদ্ধি।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমির হস্তান্তর আটকাতে বিশেষ আইন।

জনজাতির উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০টি উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক বোর্ড।

কুরুখ, রাজবংশী ও কামতাপুরী ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি।

সাঁওতালি ভাষাকে বিশেষ মর্যাদা-WBCS (পরীক্ষায় সাঁওতালিকে ঐচ্ছিক ভাষার স্বীকৃতি। অলচিকি লিপিতে স্কুলের পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ। সাঁওতালিতে ত্রিভাষিক অভিধান প্রকাশ)

আদিবাসী ও তপশিলি জাতির মানুষের নিজস্ব পারম্পরিক ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক উদযাপন-জঙ্গলমহল উৎসব। এছাড়া বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিবস যেমন ‘আদিবাসী দিবস’, ‘করম উৎসব’, ‘হুল দিবস’ ইত্যাদি পালন।

আইনসভা অনুমোদিত সিডিউলড কাস্ট অ্যাডভাইসারি কাউন্সিল গঠন-দেশে সর্বপ্রথম।

মুখ্যমন্ত্রীর সভাধিপত্বে ট্রাইবস অ্যাডভাইসারি কাউন্সিল ও সিডিউলড কাস্ট অ্যাডভাইসারি কাউন্সিল-এর বৈঠকে উন্নয়নের নিয়মিত দিক নির্দেশ।