সাম্প্রতিক খবর

মে ২০, ২০১৮

২০টি প্রকল্প যা সাত বছরেই নিশ্চিত করেছে বাংলার উন্নয়ন

২০টি প্রকল্প যা সাত বছরেই নিশ্চিত করেছে বাংলার উন্নয়ন

২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল হয়। রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাত্র সাত বছরেই উন্নয়নের এক নতুন জোয়ার এনেছে মা, মাটি, মানুষের সরকার।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২০টি এমন প্রকল্প যা বদলে দিয়েছে রাজ্যের পরিস্থিতিঃ-

 

১. কন্যাশ্রী

২০১৩ সালের ১লা অক্টোবর এই প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাল্যবিবাহ রোধ করা।
রাজ্যের প্রতি অঞ্চলের প্রায় ১৫,৫০০ প্রতিষ্ঠান – প্রথা বহির্ভূত বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ, মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ব বিদ্যালয় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিল্প প্রশিক্ষণ, এমনকি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রায় ৪৪ লক্ষ কিশোরীকে এই প্রকল্পের অধীনে আনা হয়েছে।

২. স্ববলম্বন

সমাজের প্রান্তিক, অসহায় মহিলা, নারীপ্রচার চক্র থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলা, যৌনকর্মী, রূপান্তরকামী সম্প্রদায় এবং ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ও নৈতিক বিপদের সম্মুখীন মহিলাদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে অবশ্য বয়স ৪৫বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। এই প্রকল্পটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) অথবা কোম্পানির মাধ্যমে রূপায়িত হচ্ছে। প্রশিক্ষণ প্রাপকেরা ওয়াও মোমো, প্যান্টালুন্স, কোঠারি, অউ বোঁ পে প্রভৃতি বিভিন্ন প্রখ্যাত বিপণিতে সফলভাবে কাজ করছেন। ৩০ জন কন্যাশ্রী মেয়েকে ব্রেইনওয়্যার-এর ব্যবস্থাপনায় এই স্বাবলম্বন প্রকল্পের অধীন আনআর্মড সিকিউরিটি গার্ড-এর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৬জন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

৩. সবলা

২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে রাজ্যের সাতটি জেলা- কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মালদা, নদীয়া, কলকাতা এবং পুরুলিয়ায় পাইলট ভিত্তিতে ১৪১টি আইসিডিএস প্রজেক্ট থেকে ২৯৪৪৪টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সবলা প্রকল্পটি চলছে কিশোরী মেয়েদের জন্য (যার উদ্দেশ্যে ১১-১৮বছর বয়সী মেয়েদের পুষ্টিগত ও স্বাস্থ্যগত অবস্থার উন্নতি এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য করে তোলা)।

১১-১৮ বছর বয়সী ১২.৭২ লক্ষ কিশোরী মেয়ে সবলা প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা পাচ্ছে এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন এবং পরিবার কল্যাণ, স্বাস্থ্য এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, বর্তমান পরিষেবাগুলি সম্পর্কে তথ্য ও নির্দেশ পাচ্ছে।

গত ছয় বছরে বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৪১ হাজার বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোরী মেয়ে যাদের বয়স ১৬ থেকে ১৮, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা/স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের (ভিটিপিএস) মাধ্যমে বিউটিশিয়ান, হস্তশিল্প, সেলাই, ছাপাখানা এবং ডাইং, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ-এর মতো বিভিন্ন পেশার বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

৪. সবুজ সাথী

২০১৫-১৬ সালে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাইকেল বিতরণের জন্য সবুজ সাথী প্রকল্পটি ঘোষণা করা হয়। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রায় ৭০ লক্ষ্ ছাত্রছাত্রী এই প্রকল্পের অধীনে বিনামূল্যে সাইকেল পেয়েছে।

৫. খাদ্যসাথী

আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবারকে ২টাকা কিলো দরে চাল ও গম দেওয়া হয়। পরিবারের প্রত্যেকে মাসে সর্বাধিক ৫কিলো চাল বা গম পেতে পারবে এই প্রকল্পের আওতায়।

এপর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ৮.৬৬ কোটি মানুষের কাছে এই প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

৬. আনন্দধারা

রাজ্যের আর্থিকভাবে দুর্বল নারীদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে সংগঠিত করে এক ব্যাপক গ্রামীণ দারিদ্র বিরোধী কার্যক্রম শুরু করতেই এই উদ্যোগ। ২০১২ সালের ১৭ই মে মুখ্যমন্ত্রী এই ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের সূচনা করেন।

এই কর্মসূচীর অধীনে ২০১২-১৩ সালের ব্লক সংখ্যা ৩২ থেকে বেড়ে ১৫৮ হয়েছে, গোষ্ঠীর সংখ্যা ৩.১৮ লক্ষ্ থেকে বেড়ে ৪.৫৮ লক্ষ হয়েছে। ৩২৭৪.৯ লক্ষ টাকার লক্ষ্যমাত্রার সাপেক্ষে ব্যাঙ্ক থেকে প্রাপ্ত ঋণের পরিমাণ ৩৩২৯.৮১ লক্ষ টাকা (১০১.৬৮%)।

৭. গতিধারা

এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন, রাজ্যের এমন কর্মহীন যুবক-যুবতীদের জন্য রাজ্য সরকারের ১০০ শতাংশ ভর্তুকি প্রাপ্ত প্রকল্প হল এটি। ২০১৫-১৬ সালে এই প্রকল্প পরিবহন দপ্তর হাতে নেওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৩৩৯৩ জন উপকৃত হয়েছেন এই প্রকল্পে এবং ১২৫ কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।

৮. ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান

সঠিক গুণমানের ওষুধ, সার্জিকাল সরঞ্জাম, কনজিউমেবল ইমপ্ল্যান্ট, পেসমেকার, কার্ডিয়াক স্টেন্ট ইত্যাদি এমআরপি-র ওপর ৪৮-৭৮% ছাড়ে সরবরাহ করার জন্য মেডিক্যাল কলেজ থেকে গ্রামীণ হাসপাতাল, বিভিন্ন জায়গায় ১১২টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান খোলা হয়েছে।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৩৯৯ কোটি টাকার বিক্রি নথিভুক্ত করা হয়েছে ও প্রায় ৮৭৩ কোটি টাকার ছাড় পেয়েছে ৩ কোটিরও বেশী মানুষ।

৯. সমব্যাথী

২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ‘সমব্যাথী’ নামে দরিদ্র কল্যাণে একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে কোনও মৃত ব্যাক্তির সৎকারের জন্য তাঁর নিকটতম আত্মীয়কে ২০০০ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। এই কর্মসূচী চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ২৫৪৭৮টি পরিবার উপকৃত হয়েছে ও এই বাবদ ৫.১ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।

১০. মিশন নির্মল বাংলা

২০১৩ সালে মিশন নির্মল বাংলা চালু করে রাজ্য সরকার। নদীয়া জেলাকে দেশের প্রথম নির্মল জেলা ঘোষিত করা হয়। ১৭ই মে ২০১৭ পর্যন্ত রাজ্যে ১৯২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকাধিন ২১৩২৪টি গ্রাম ‘ঘোষিত নির্মল গ্রাম’ হয়েছে। এটি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর জন্য রাষ্ট্রসংঘের প্রশংসা কুড়িয়েছে রাজ্য সরকার।

১১. স্বাস্থ্য সাথী

এই প্রকল্পে পঞ্চায়েত কর্মী এবং আশা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই অভিনব ক্যাশলেস গ্রুপ স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ৩৫ লক্ষেরও বেশী উপকৃতের নাম নথিভুক্ত হয়েছে এবং ১৩০০০-এর বেশী মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়েছেন।

১২. শিশু সাথী

১৮ বছর পর্যন্ত শিশুদের কনজেনিট্যাল কার্ডিয়াক ডিজিজেস, ক্লেফট লিপ/প্যালেট ও ক্লাব ফুট সমস্যার জন্য বিনামূল্যে শল্য চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ‘শিশুসাথী’ নামে একটি কর্মসূচী চালু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১২০০০ শিশু এই প্রকল্পের অধীনে চিকিৎসা পেয়েছে।

১৩. পথ সাথী

পথচারী মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে পথের পাশে শৌচাগার না থাকলে যেরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা লাঘবের জন্য সরকার এক ছাদের তলায় কিঞ্চিৎ অর্থের বিনিময়ে ব্যবহারযোগ্য শৌচাগার, প্রতিক্ষালয়, রাত্রিবাসের ব্যবস্থা এবং রেস্তরাঁ সম্বলিত পথসাথী নির্মাণ করছে।

এই পথসাথী প্রত্যেক জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে প্রতি ৫০ কি.মি. অন্তর একটি করে স্থাপন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এ ধরণের ৩১ টি পথসাথী নির্মিত হয়েছে। এই ৩১ টির মধ্যে ১২ টি আবাসন বিভাগ এবং পূর্ত বিভাগের আর্থিক সহায়তায় আনুমানিক ৬.৫০৮৮ কোটি টাকা এবং বাকি ১৯ টি আবাসন অধিকার এর আনুমানিক ৩৭.৩১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

১৪. গীতাঞ্জলি

আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষের জন্য বাড়ি তৈরী করে দিতে রাজ্যের নতুন প্রকল্প ‘গীতাঞ্জলি’ চালু হয়েছে। এই প্রকল্পে সমতল এলাকায় সুবিধাপ্রাপকদের একক প্রতি ৭০হাজার টাকা দেওয়া হয়। পাহাড়, সুন্দরবন এবং জঙ্গলমহল এলাকায় অতিরিক্ত ৫হাজার টাকা দেওয়া হয়।

গীতাঞ্জলি হাউজিং স্কীম সম্পর্কিত এবং এ যাবত অনুমোদিত ৯৯১৩টি ইউনিটের মধ্যে ৯৩৩০টি ইউনিট সম্পূর্ণ হয়েছে।

২০১১ সাল থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে ২৯৮৭৪৫টি পরিবার উপকৃত হয়েছে।

১৫. লোকপ্রসার

বাংলার লোকশিল্পের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে লোকশিল্পীদের মাধ্যমে সামাজিক বার্তা ও রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প সম্বন্ধে তথ্য সাধারন মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই অন্যতম প্রধান কর্মসূচীর সূচনা হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৯৪ হাজার লোকশিল্পীকে এই প্রকল্পের আওতায় মাসিক বহাল ভাতা, পেনশন এবং অনুষ্ঠান পিছু সম্মান দক্ষিণা দেওয়া হচ্ছে।

১৬. সবুজশ্রী

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের আরও একটি মাইলস্টোন প্রকল্প চালু হচ্ছে – ‘সবুজ শ্রী’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিশু কন্যাদের জন্মের পর তাদের নামে একটি করে গাছ রোপণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। একটি পরিবার বন বিভাগের কাছ থেকে একটি চারাগাছ পায় এবং তাদের শিশুর নাম দ্বারা এটির নামকরণ করে তাহলে প্রতি বছর রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ চারা রোপণ করা সম্ভব হবে। শিশু কন্যাটি যখন পূর্ণ বয়স্ক হবে, তখন এই গাছটি বিক্রী করে তার উচ্চশিক্ষা চালাতে পারবে।

১৭. শিক্ষাশ্রী

পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠরত তপসিলি জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়ানো, এবং বিশেষ করে স্কুলছুট ছাত্রীদের হার কমানোর জন্য রাজ্য সরকারের নেওয়া প্রকল্পটির ‘শিক্ষাশ্রী’ নাম দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে সরকার পরিচালিত সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার স্বীকৃত স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত সকল তপসিলি জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য প্রাক-মাধ্যমিক পর্যায়ে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের।

১৮. শিশু আলয়

প্রাক-শৈশব যত্ন এবং শিক্ষা (ইসিসিই)-র ব্যবস্থা করার জন্য শিশুদের প্রাক-শৈশবে শিক্ষার বিকাশ ঘটানো এবং বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য তাদের তৈরী করার সুযোগ সৃষ্টি করতে সকল জেলা মিলিয়ে ২০০০টি ‘শিশু আলয়’ তৈরী হয়েছে। দমদম এবং আলিপুর সংশোধনাগারের আবাসিক শিশুদের প্রাক-শৈশব শিক্ষার জন্য দুটি ‘শিশু আলয়’ তৈরী হয়েছে। রাজ্যে ২০০২টি শিশু আলয়ে-ই উন্নত ইসিসিই কিট সরবরাহ করা হয়েছে।

১৯. যুবশ্রী

নথিভুক্ত ১ লক্ষ কর্মপ্রার্থীকে প্রতি মাসে ১৫০০ টাকার আর্থিক সাহায্যকল্পে মুখ্যমন্ত্রী ৩ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে এই প্রকল্প চালু করেন।

২০. খেলাশ্রী

২০১১ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘খেলাশ্রী’প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে খেলাধুলার উন্নয়ন ও পরিকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তর ক্লাব ও সংগঠনগুলিকে অনুদান দেয়। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, হাই মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা লিগের ১ম ডিভিশন থেকে ৫ম ডিভিশন পর্যন্ত সমস্ত ক্লাব এবং অনুদানপ্রাপ্ত সব ক্লাব ও সংগঠন।

বিশেষ উল্লেখ: সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ

২০১৬ সালের জুলাইয়ে চালু হয় বাংলার নিজস্ব ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ সচেতনতামূলক কর্মসূচী। পথ নিরাপত্তায় এটি অভিনব কর্মসূচী দেশের মধ্যে। এই কর্মসূচির ব্যাপক প্রচারের ফলে গত বছরের শেষ ছ’মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে পথ-দুর্ঘটনা কমেছে প্রায় ১৫%। প্রাণহানিও কমেছে।