সাম্প্রতিক খবর

মে ৩১, ২০১৮

সেচ প্রকল্পে রাজ্য নিয়োগ করা হচ্ছে ১১ হাজার ধারাসেবক

সেচ প্রকল্পে রাজ্য নিয়োগ করা হচ্ছে ১১ হাজার ধারাসেবক

সেচের জন্য জল ধরে রাখতে ‘ঊষরমুক্তি’ যোজনার কাজ দেখভাল করার জন্য রাজ্যের ছয় জেলায় ধারাসেবক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল প্রশাসন। ছ’টি জেলায় ১১ হাজারের বেশি ধারাসেবক নিয়োগ করা হবে। ছ’টি জেলার প্রতিটি সংসদে একজন করে ধারাসেবক থাকবে।

মূলত ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারদের এই পদের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।ঊষরমুক্তি প্রকল্পের কাজ দেখাশোনা করার জন্য তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।একইসঙ্গে ধারাসেবক নিয়োগের তৎপরতাও শুরু হয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে মোট ১১ হাজার ৩৭৫ জন এই পদে কাজ পাবেন। এই জেলাগুলিতে মোট গ্রাম সংসদের সমসংখ্যক ধারাসেবক নিয়োগ হবে। অর্থাৎ যতজন পঞ্চায়েত সদস্য ততজনই ধারাসেবক থাকবেন।

মূলত চাষের উন্নতির জন্যই ঊষরমুক্তি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলাগুলিতে জলের অভাবে সারা বছর চাষ হয় না। মূলত বর্ষাকালে বৃষ্টির জলের উপরেই চাষ নির্ভর করে। এই প্রকল্পে অজয়, দামোদর, ময়ূরাক্ষী, সুবর্ণরেখা, কংসাবতী সহ বিভিন্ন নদ ও নদীতে জলাধার তৈরি হবে। যেখানে নদনদী নেই সেই এলাকায় কোথাও বড়, আবার কোথাও ছোট জলাধার (সরকারি পরিভাষায় ওয়াটার শেড) তৈরি করে বৃষ্টির জল ধরে রাখা হবে। পরে সেই জল চাষের কাজে ব্যবহার করা হবে। জলাধার তৈরি বা এই প্রকল্পের অন্যান্য কাজগুলি দেখভাল করবেন ধারাসেবকরা। কোথায় জলাধার রয়েছে, কিংবা কোন এলাকায় ক্যানেলের জল পৌঁছয় এসব তথ্যও তাঁরা সংগ্রহ করবেন।

পশ্চিম বর্ধমানে প্রথম পর্যায়ে ১০৫ টি মাইক্রো ওয়াটার শেড তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছে। তাতে ৮৪ হাজার ৬১ হেক্টর চাষের জমিতে জল পৌঁছানো যাবে। তারমধ্যে ৩৬ টির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কাঁকসায় ৯, অণ্ডালে ৫, দুর্গাপুর-ফরিদপুরে ৪ এবং পাণ্ডবেশ্বরে ৪ টি ওয়াটার শেড তৈরি হয়েছে।