January 4, 2021
আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মলগ্নে রাজ্যে জুড়ে বেজে উঠবে সাইরেন-শঙ্খ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলায় এ বছর ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে পালিত হবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন। সোমবার নবান্নে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে ২৩ জানুয়ারি ও সারা বছর নেতাজির জন্মবার্ষিকী কীভাবে পালন করা যেতে পারে তার নকশা এঁকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের আলোচনাসভায় ছিলেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, ফেলিক্স রাজ, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুগত বসু, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, ব্রাত্য বসু, যোগেন, শুভাপ্রসন্ন, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার প্রমুখ।
কীভাবে আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন পালন করা হবে এবাং সারা বছর কীভাবে নেতাজিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্মরণ করা হবে তা বিস্তারিত জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ঃ
- নেতাজির জন্মদিন শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে একটি জামায়েত হবে। সেখান থেকে একটি মিছিল হবে। বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে জন্মগ্রহণ করেছিলেন নেতাজি। ঠিক সেই সময়ে গোটা রাজ্যজুড়ে সাইরেন বাজবে। তখনই মিছিল শুরু হবে।
- মিছিল শেষ হবে রেড রোড নেতাজি মূর্তির পাদদেশে। পুলিশের ব্যান্ড থাকবে।
- বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে, নেতাজিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে শঙ্খ বাজাবেন, উলুধ্বনি দেবেন। মুসলিমরা আজানের মতো কিছু একটা করতে পারেন। সব সম্প্রদায় মিলে এটা আমরা করব।’
- নেতাজির নামে মনুমেন্ট করা হবে। সেটা রাজারহাটের দিকে হতে পারে। তার নাম হবে ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ মনুমেন্ট।’
- নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমরাই করব। কারও কাছে টাকা চাইব না, ভিক্ষা চাইব না।’
- ১৯৩৮ সালে প্ল্যানিং কমিশন গঠন করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আমরা বাংলা প্ল্যানিং কমিশন শুরু করব। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করবে এই কমিশন। কেউ মানবে, কেউ মানবে না। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।’
- ২৬ জানুয়ারির প্যারেডে নেতাজিকে উৎসর্গ করে থাকবে একটি বিশেষ ট্যাবলো। আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে বিশেষ ব্যান্ডে করবে কলকাতা পুলিশ।
- ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের প্যারেড এবার সম্পূর্ণ উৎসর্গ করা হবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে।
- নেতাজিকে নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি তৈরি করা হবে। নেতাজি ভবনে সেই তথ্যচিত্র দেখানো হবে।
- রাজ্যের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রের এনসিসি–র পাশাপাশি একই আদলে গড়া হবে ‘জয় হিন্দ বাহিনী’।
নেতাজির জন্মবার্ষিকী পালনে শিশু ও যুব সম্প্রদায়কে কীভাবে আকৃষ্ট করা যেতে পারে তা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব, অলচিকী, পাহাড়ি–সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় নেতাজিকে নিয়ে বই প্রকাশ করা যেতে পারে। এদিন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘তরুণের স্বপ্ন’ বইটি সব ভাষায় অনুবাদ করার কথা বলেছেন তিনি।
নেতাজির ‘জয় হিন্দ বাহিনী’–র যে সব গান ছিল সেগুলি নিয়ে একটি গানের অ্যালবাম করারও প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দায়িত্ব তিনি দিয়েছেন সুগত বসুকে।