Latest News

January 4, 2021

অশোকনগরের প্রকল্পে কেন্দ্রকে বিনামূল্যে জমি দেবে রাজ্য সরকার

অশোকনগরের প্রকল্পে কেন্দ্রকে বিনামূল্যে জমি দেবে রাজ্য সরকার

অশোকনগরে তৈল ভান্ডার খননের জন্য কেন্দ্র সরকারকে বিনামূল্যে জমি দেবে রাজ্য৷ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
অশোকনগরে ইতিমধ্যেই ৪ একর জমি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে প্রকল্প। ব্যয় হয়ে গিয়ছে ৩৪০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন আরও ১২ একর জমি। ওএনজিসি-র তরফে অশোকনগর পুরসভার কাছে জমি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, প্রকল্প এলাকার কাছেই রাজ্য সরকারের উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের জমি রয়েছে৷ সেখানে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা চাষের কাজ করেন৷ রাজ্যের তরফে সম্ভবত সেই জমিই ওএনজিসি-র হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণও দিয়ে দেবে রাজ্য প্রশাসন৷

মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যের কিছু বিষয়:

রাজ্যে শিল্প আসুক৷ তাই আমরা বলেছি ওখানে যে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, তা আমরা বিনামূল্যে কেন্দ্রের হাতে তুলে দেব৷’

অশোকনগরে তেলের ভাণ্ডার রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য আমিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিয়েছিলাম। ওরা এখন এখানে এসেছে, শিল্প হচ্ছে। তার জন্য জমি প্রয়োজন। ওরা সেই জমির দামও দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই দাম নেব না। শিল্প হবে, এতেই আমরা খুশি।

একইসঙ্গে দেউচা পাচামিতে কয়লা খনন প্রকল্প হচ্ছে আর সঙ্গে অশোকনগরে তৈল ভাণ্ডার— এই দুটি প্রকল্পে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। রাজ্যের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এতে উপকৃত হবে। রাজ্যের অর্থনীতিতেও বড়সড় বদল আনবে এই সকল প্রকল্প।

অশোকনগর আর দেউচা পাচামি যাতে ওয়ার্ল্ড ম্যাপে এসে যায় তার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি

শিল্প বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন৷ কিন্তু তার সুফল এখন রাজ্য পাচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধি প্রকল্প প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য:

তোমরা কেন আমায় বিশ্বাস করছ না? কেন রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করছ না? আপনারা আমাদের টাকাটা পাঠিয়ে দেন। আমরা ওদের পাঠিয়ে দিচ্ছি।
আমরাও ডিরেক্ট বেনিফিট স্কিমে (সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়) দিই। আমরাও ডিরেক্টই (সরাসরি) পাঠিয়ে দেব। কোনও অসুবিধা নেই। ওরা (কেন্দ্র নিজেরা) ডিরেক্ট করবে এটা। কারণ ওদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সবকিছু ডিরেক্ট করা, রাজ্যকে বাদ দেওয়া। এটা ওদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। আমি কৃষকদের সঙ্গে রাজনীতি করতে চাই না।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে ফোন করেছিলাম এবারও উনি আমায় বললেন যে আমরা ডিরেক্ট করব। আমি ওদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বুঝে গেলাম।কেন্দ্রের পোর্টালে কৃষকদের (প্রায় ২১ লাখ) নথিভুক্ত করা হচ্ছে। অথচ রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অথচ রাজ্যের হাতে কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। আর ওরা চায় আমরা ডাটা ভেরিফিকেশন করছি না। রাজ্যের পোর্টালে না দিয়ে একথা বলছে
কৃষকরা আমার গর্বের বিষয়, তাই আমি লিখেছি ডাটা টা দিয়ে দিক আমরা ভেরিফাই করে দেব
আমি সব সময় কৃষকদের পক্ষে। কৃষকরা যদি লাভবান হয়, তা হলে আমি প্রকল্পে অংশ নিতে রাজি আছি। আমি চাই যে কৃষকরা বাড়তি (প্রধানমন্ত্রী কৃষক নিধি) টাকা পান।

কৃষি বিল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য:

আমি চাই তিনটে কৃষক বিরোধী আইন বাতিল হোক। আমরা দু-একদিনের জন্য হলেও বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকব। ওই অধিবেশনে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে একটা প্রস্তাব নিয়ে আসব।
আমরা চেষ্টা করব যাতে সবাই মিলে প্রস্তাবটা পাশ করাতে পারি। অবশ্যই বিজেপি করবে না। অন্যান্যরা করবে আশা করি।