March 4, 2014
সিল্ক হাব তৈরির তোড়জোড় চলছে শ্রীরামপুরে

হুগলির শ্রীরামপুরে সিল্ক হাব তৈরি করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার। শ্রীরামপুরের পাশাপাশি বেলুড়, খড়্গপুরের কাছে খাসজঙ্গল, বোলপুর, মালদহ এবং বানারহাটেও একই ধরনের সিল্ক হাব তৈরি করা হবে। শ্রীরামপুরের মাহেশ মৌজায় ৫০ একরেরও বেশি জমিতে ওই শিল্প তালুক তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়ছে। শ্রীরামপুর এবং বৈদ্যবাটি পুর–এলাকায় শ`দুয়েক সিল্ক প্রিন্টের ছোটবড় কারখানা রয়েছে। প্রায় ১০ হাজার লোক ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত। শিল্পতালুক হলে সবাইকেই এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে। শ্রীরামপুরে মল্লিকপাড়া লাগোয়া জায়গায় সরকারি খাস জমি ওই প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের মোট ৬টি জায়গায় এই ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০০ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। লক্ষ্য, ২০১৫ সালের মধ্যে সব ক`টি কাজই শেষ করা।
শ্রীরামপুর–বৈদ্যবাটিতে সিল্ক প্রিন্টিংয়ের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে এখানে কাজ হয়। আধুনিক ধারণার অভাবে এখানকার তৈরি কাপড় বাজারে সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। ফলে বেঙ্গালুরু, সুরাট বা বেনারসের মতো রাজ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারেননি এখানকার ব্যবসায়ীরা। তন্তুজের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাও বাইরের কাপড়ে ছাপার ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যের উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল থাকে। ডিজিটাল প্রিন্টিং মেশিন–সহ আধুনিক মানের যন্ত্রপাতি বসিয়ে এই সমস্ত সিল্ক হাবে কাজ হবে। তন্তুজ, মঞ্জুষা বা খাদির মতো সংস্থা এখানে কাজ করাতে পারবে। বাইরের বাজারেও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পের কদর বাড়বে। প্রস্তাবিত ওই শিল্প তালুকে শিল্পকাজের প্রদর্শনীর জন্য অডিটোরিয়াম হবে। বাইরের লোকজনের জন্য গেস্ট হাউজ হবে। শ্রীরামপুরে সিল্প প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা অনেক পুরনো। রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন টেক্সটাইল টেকনোলজি কলেজও আছে এই শহরে।
শ্রীরামপুরের তারাপুকুর, রাজ্যধরপুর, তালপুকুর, বৈদ্যবাটি পুরসভার বৌবাজার, চাতরা মান্নাপাড়া, নওগাঁ–সহ বিভিন্ন জায়গায় সিল্ক প্রিন্টিংয়ের কারখানা আছে। হাজার দশেক মানুষ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। ওই শিল্পতালুক হলে দূষণের মাত্রাও কমবে। দূষণ এড়াতে বিশেষ পদ্ধতিতে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাষণের ব্যবস্থা করা হবে। কেননা, বাড়ির কারখানাগুলি শিল্প তালুকে চলে আসবে।