January 28, 2014
সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চালু হতে চলেছে ই-প্রেসক্রিপশন
ই–টেন্ডার, ই–কাউন্সেলিং, ই–প্রকিওরমেন্ট আগেই শুরু হয়েছে সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে৷ এ বার চালু হতে চলেছে ই–প্রেসক্রিপশনও৷ ডাক্তারবাবুদের দুর্বোধ্য হাতের লেখা অতীত হতে চলেছে৷ কর্পোরেট ধাঁচে সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকও রোগীর হাতে আগামী দিনে ধরিয়ে দেবেন কম্পিউটার প্রিন্টআউটে প্রেসক্রিপশন৷
সোমবার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে একগুচ্ছ প্রকল্প উদ্বোধন হল ৷ আপাতত এম আর বাঙ্গুর ও হাওড়া জেলা হাসপাতাল এবং এসএসকেএমের কয়েকটি বিভাগে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হবে ই–প্রেসক্রিপশন৷ সে জন্য সিনিয়র ডাক্তারবাবুদের দেওয়া হবে ল্যাপটপ ও ছোট প্রিন্টার৷ অনলাইনে সেই ল্যাপটপ সংযুক্ত থাকবে স্বাস্থ্য দপ্তরের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে৷ পাশাপাশি, জেনেরিক নামে ওষুধ লেখা ছাড়া আর উপায়ও থাকবে না চিকিত্সকের৷
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সদর হাসপাতাল এম আর বাঙ্গুরে ১২টি টেবিলযুক্ত একটি আধুনিক ওটি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন আবাসন মন্ত্রী তথা হাসপাতালের পরিচালন সমিতির সভাপতি অরূপ বিশ্বাস৷ এত দিন ওই হাসপাতালে স্ত্রীরোগ ও জেনারেল সার্জারি ছাড়া অন্যান্য বিভাগের আলাদা ওটি ছিল না৷
স্ত্রীরোগ ও জেনারেল সার্জারির পাশাপাশি এ বার অর্থোপেডিক, আই, ইএনটি, এমারজেন্সি লেবার ইত্যাদি বিভাগের জন্য পৃথক ওটি–র সুবিধা মিলবে নতুন এই ওটি কমপ্লেক্সে৷ আইটিইউ পরিষেবা দেওয়ার উপযোগী ১৩টি বাতানুকূল ভিআইপি কেবিনেরও উদ্বোধন করেন মন্ত্রী৷ খাবার–সহ কেবিনের চার্জ ধার্য হয়েছে দৈনিক ৫০০ টাকা৷
হাসপাতাল লাগোয়া জমিতে মাসখানেকের মধ্যে একটি ১০তলা মাল্টি–সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরুর ঘোষণাও করেন মন্ত্রী৷ আগামী দিনে এই হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করারও ইঙ্গিত দেন তিনি৷
এ দিন থেকেই এই হাসপাতালে চালু হল অভিনব আরও এক ব্যবস্থাও৷ সাত দিন আলাদা আলাদা রঙের চাদর ব্যবহার করা হবে অন্তর্বিভাগে৷ উদ্দেশ্য, প্রতি দিন চাদর বদলানো নিশ্চিত করা৷