Latest News

February 11, 2021

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে এমন ভাষা মানায় না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে এমন ভাষা মানায় না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ উত্তীর্ণতে সামাজিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:

আমার এখানে সব সম্প্রদায়ের মানুষ একসাথে মিলেমিশে আছেন

আমার কাছে যা অনুরোধ এসেছে, যেগুলো আমার নজরে এসেছে সেখানে করিনি এমন কোন কাজ নেই

বাংলার সংস্কৃতি ভাষা, ধর্ম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সুরক্ষার স্বার্থে

আমি বিজেপি-র মতো শুধু প্রতিশ্রুতি দিই না। কাজ করি। আমি মনে করি, প্রতিশ্রুতি দিলে সব কাজ করা যায় না. কথা রাখাটাই মানুষের সবচেয়ে বড় কাজ

বিজেপি আসার পর অনেক এনজিও র ফরেন ফান্ডস বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা এসব করবো না, আমরা দেখবো কিভাবে আপনাদের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো যায়

আপনারাই পারেন দাঙ্গা, ফেক ভিডিও রুখতে। যেকোন ভাষা মানুষের সৌন্দর্য। আমার কোথায় আমার সৌন্দর্য, এমন কোন কথা বলবো না যা লক্ষ্মণ রেখা অতিক্রম করে

রাজনীতিতে সৌজন্য কখনও একতরফা হয় না।

আজকেও তিনি এসেছেন, আমাদের এখানে আসুন, সবাইকে আমরা স্বাগত জানাই। তিনি এসে যে কথাগুলো বলে গেলেন, তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, ভাষার কদর্যতা এবং দৈত্যপরায়ন মনোভাব, দুরন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেন ধমকি দিতে এসেছেন। একটা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে এই রকম কথা মানায় না। আমাকে বলছে সবাই ভ্রষ্টাচারি, দুর্নীতিপরায়ণ? আমি দুর্নীতিপরায়ণ হলে তোমরা কী? সারাদিন আমাকে গালাগাল করছে

আজকেও বলেছে, আমরা নাকি দুর্নীতিগ্রস্ত! চোরের মায়ের বড় গলা। চালুনি করে সূঁচের বিচার। বক্তৃতা শুনে মনে হচ্ছিল ফুচকা খাওয়ার ক্ষমতা নেই, ফুলকো লুচি খাবে। বাংলা বাংলা, সারাদিন গালিগালাজ করছে। কৃষকদের ফসল কেড়ে নিয়ে, কৃষকদের সম্মান কেড়ে নিয়ে ভয় দেখাতে এসেছেন। দিদি গলা কেটে দেবে, কিন্তু আপনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।

হোক না গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন। ভয় দেখাচ্ছেন কেন? কী ভাবছেন দিদি বাধ্য হবে?

অত সোজা খেলা নয়। আসুন না একটা খেলা হয়ে যাক। রাজনীতির খেলা, গণতন্ত্রের খেলা। ব্রিগেডের মাঠে হয়ে যাক। আপনারা থাকবেন, তার সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমকেও দিয়ে দিলাম। আর আমি থাকব গোল কিপার হয়ে। দেখব, ক’টা গোল দিতে পারেন আপনারা। দেখি ক’টা গোল দিতে পারেন? আর কে জেতে?

যত দিন যাচ্ছে ওদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। নিজের আত্মবিশ্বাস থাকলে কেউ ভুল বকে না, নিজের ওপর বিশ্বাস নেই আর কর্মীদের বলছে গুন্ডাগিরি করতে, এটা বাংলা। এসব রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ হরিয়ানায় চলে, ওখানে যায়

বাংলায় সব কিছু আছে। আমরা পাহারা দিয়ে রাখতাম, চারা গাছটা কিন্তু এখন বড় হয়ে গিয়েছে। চারা গাছে পেরেক পোঁতা যায়। কিন্তু মহীরুহে যদি পেরেক পুঁততে যান, তা হলে পাথরটাই ভেঙে যাক। তাই যত ঔদ্ধত্য সব শেষ হয়ে যাক। সবার কাছে আমার আহ্বান, বাংলাকে রক্ষা করুন, বাংলাকে বাঁচান। দেখে আসুন ত্রিপুরায়, কেউ কথা বলতে পারে না। কোনও প্রতিবাদ করা যায় না

যত খুশি ক্যা-কু করো। কিন্তু এখানে ট্যাঁ ফু করা যাবে না

ভোটের সময় বড় বড় ভাষণ। বলছে, মোদীজি টাকা দিয়েছে, আর আমরা খেয়ে নিয়েছি। মোদীজি কি পকেট থেকে টাকা দিয়েছে? একটা সরকার অন্য সরকারকে টাকা দিয়েছে।বড় বড় কথা? আগে প্রমান কর নইলে রিজাইন করো

আর খালি বুয়া-ভাতিজা? আপনার ছেলে কী করে? কী করে এল এত টাকা

আমি এখনও স্ট্রিট ফাইটার। আন্দোলন কারীদের আন্দোলনজীবী বলে গালাগালি দিচ্ছে

ওরা মিথ্যে ভিডিয়ো হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে পারে। ওসব বিশ্বাস করবে না. টিভি চ্যানেল গুলো ও সংবাদ মাধ্যম কে ভয় দেখাচ্ছে

সবাইকে নিয়ে জোট করতে হবে। আমার বাংলার ভাই-বোনেরা, কখনও আত্মসমর্পণ করবেন না