March 24, 2021
আমি যা বলি করে দেখাই: বিষ্ণুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে প্রথম জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ
বিষ্ণুপুরের সমস্ত প্রাচীন পুঁথি ডিজিটাইজ করা হবে। সংস্কৃতিই আসলে সোনার খনি। ডিজিটাইজ হলে সেই সোনার খনি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে।
বালুচরি শাড়ি আগে কাগজের মতো ছিল, আমি ওই শাড়ি আরও নরম করার ব্যবস্থা করেছি। বিশ্বের বাজারে আরও কদর বেড়েছে বালুচরির।
মোদীর মতো এত বড় একটা মিথ্যেবাদী আমি জীবনে দেখিনি। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটাকে আগে সম্মান করতাম। এখন আর করি না।
বীরসা মুণ্ডার ছবি বলে কার ছবিতে মালা দিয়েছিল? মনে আছে? বিষ্ণুপুর কি ভুলে গেছে?
ফুল একটাই। মাটি মানে ঘাস। ঘাস মানে জোড়াফুল। আর সেই জোড়াফুলেই ভোটটা দেবেন
বিষ্ণুপুরে হেরিটেজ টাউন হবে। আগেও বিষ্ণুপুরের ঘোড়া ও পট শিল্পীদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নতি হবে। আমি যা বলি করে দেখাই।
২৯১ টা সিটে আমাকেই ভোট দেবেন। তবেই তো আপনাদের বিনামূল্যে চাল দিতে পারব। সুবিধা দিতে পারব। আমাকে চাইলে জোড়া ফুলে ভোট দিন।
বাংলায় ভিন রাজ্য থেকে যারা আসে তাঁদের বহিরাগত বলি না। যারা শুধু ভোটের আগে আসে, তাদের বহিরাগত বলি
উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের সাজিয়ে পাঠাচ্ছে। কপালে তিলক কেটে, পান চিবোতে চিবোতে বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। বহিরাগত গুণ্ডা কারা?
উত্তরপ্রদেশের পুলিশ আজ চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে বিজেপির অত্যাচারে। কত মেয়েকে পুড়িয়ে দিয়েছে। বাবা-মাকে অত্যাচার করতে গেছে। বাঁকুড়ায় এসে পাঁচতারা হোটেল থেকে খাবার কিনে নিয়ে এসে বলছে তফশিলিদের বন্ধু। তফসিলি, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের অত্যাচার করো তোমরা।
চাল ফোটাবেন না বিজেপিকে ফোটাবেন? কোনটা করবেন?
সপ্তম পে কমিশনের কথা বলেছে বিজেপি। এদিকে ত্রিপুরায় প্রভিডেন্ট ফান্ড তুলে দিল। মিথ্যেবাদীর দল বিজেপি।
মণ্ডল কমিশনে যাদের নাম আছে তাদের জন্য আলাদা কমিটি হবে।
জঙ্গলমহলে রোজ রক্ত ঝড়ত। এখন বলুন তো জঙ্গলমহলে মানুষ মরছে। বাঁকুড়া ভাল আছে তো? জঙ্গলমহলে ৪০ হাজার ছেলেমেয়েকে চাকরি করে দিয়েছি। যাতে তাঁরা মূলস্রোতে ফিরে আসেন। এসেছেনও। যা বলেছি তা করে দেখিয়েছি।
১০০ দিনের কাজ ২০০ দিনের কাজ হবে।
একের পর এক সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ হচ্ছে। ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হচ্ছে। ব্যাঙ্কে টাকা রাখেন তো? নোটবন্দির মতো ব্যাঙ্ক বন্ধ হলে টাকা চলে যাবে আপনার।
বিজেপি সব নেতাদের নিয়ে বাংলায় পড়ে আছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করছে।
টাকা দিলে নেবেন কি নেবেন না আপনার ব্যাপার। ওটা আপনার টাকা। তবে টাকা নিলেও ভোট দেবেন না। ওরা বলতে পারে, ‘কোথায় ভোট দিচ্ছিস, দেখতে পাব’। মিথ্যে কথা। কিচ্ছু দেখতে পাবে না। তাই যদি বলে খরচ দিচ্ছি। ওদের খরচ করে দেবেন। ভোটটা জোড়া ফুলেই দেবেন।
আমার এক পায়ের বদলে লক্ষ লক্ষ পা পেয়েছি। আপনাদের পায়ের সাহায্যেই রোজ আসছি।
ভোট মেশিন পাহারা দিন, একদিন কেউ কিছু দিলে খাবেন না, বাড়ি থেকে খাবার জল নিয়ে যাবেন।
খেলা হবে, বিজেপি খালি হবে।
ফোন করলে এখন থেকে হ্যালো বলবেন না। ‘জয় বাংলা বলুন’। আবার শেষ হলে বলবেন, ‘জয় বাংলা ভাল থাকুন