সামনে জোর লড়াই

বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বহু চাপান -উতোর পার করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সংঘবদ্ধ করে ২০১১-র ২০মে বাংলার ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়. সেই ঐতিহাসিক বিধানসভানির্বাচনে ২৭ দিনে ১৮৭ টি জনসভার মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে বাংলায় সঠিক পরিস্থিতির বাতাবরণকে সামনে রেখে মানুষেরকাছে আবেদন করেছিলেন বাংলার পরিবর্তনের।রাজনৈতিক সন্ত্রাস,অরাজকতা ,অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের বাংলা গড়ে তোলার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার কান্ডারি হিসাবে চিহ্নিত করলেন।
রাজনৈতিক সন্ত্রাস,অরাজকতা ,অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের বাংলা গড়ে তোলার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার কান্ডারি হিসাবে চিহ্নিতকরলেন।

বাংলার মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যজুড়ে কন্যাশ্রী  ,যুবশ্রী,খাদ্যসাথী,সবুজসাথী,জলধরো-জলভরোর মতো বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছেপোঁছানোর চেষ্টা করলেন।শুধু প্রকল্প রুপায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করলেন । শুধু প্রকল্প রুপায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষ সুফল পেতে শুরু করল ।

প্রথম পর্যায়ে ১১৬ টি প্রশাসনিক বৈঠক করে সচিবালয়ের মন্ত্রীবর্গ থেকে শুরু করে আধিকারিকদের নিয়ে বাংলার গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বস্তরের মানুষকে তার পাওনা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। মানুষের কাছে পৌঁছাতে শুরু করল মা-মাটি-মানুষের সরকারের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা , খাদ্য সাথীর মতো প্রকল্পের সুবিধা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মকাণ্ড মানুষ উপলব্ধি করেছে বলেই ২০১৬ র নির্বাচনে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছে। আমরা মনে করি সংসদীয় গণতন্ত্রে কোন নির্বাচন এলে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে রাজ্যের সাফল্য বা ব্যর্থতা সেই সরকারের ওপর নির্ভর করে। তাঁর উপরেই নির্বাচনে অংশ নেয় সরকার। কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষ করলাম, ২০১৬ সালে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কিছু সংবাদমাধ্যমের যোগসাজশে একদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে হেয় করা ও তাঁর কর্মসূচিগুলিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা যার মুখ্য নায়ক ছিল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন শাসকদল। কিন্তু আমরা বাংলার মানুষকে কুর্নিশ করি, কারণ সাত দফা নির্বাচনে তাপপ্রবাহ (৪১ ডিগ্রী) উপেক্ষা করে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু হাট তুলে আশীর্বাদ করেছেন। আশীর্বাদ এমন জায়গায় পৌঁছালো যে, ২০১১ র ১৮৭ টি আসনকে অতিক্রম করে ২০১৬ তে তা ২১১ টি আসনে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছিল। তার পর আবারও উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ অব্যাহত।

একের পর এক মনিষীর আত্নমবলিদানে ভারত স্বাধীন হয়েছে ১৯৪৭ এর ১৫ আগস্ট। তার পর সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডঃ বি আর আম্বেদকার দায়িত্ব নিলেন সংবিধান কমিটির। যার ফল মানুষ পেল ১৯৫০ সালে। ভারতবর্ষের সংবিধান ভারতবর্ষকে সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং সংবিধান মোতাবেক মানুষ পাঁচ বছর অন্তর তাদের মতামতের ভিত্তিতে ভারতের সরকার তৈরি করে। সংবিধান মোতাবেক প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে। ১, ২ করতে করতে ১৬ তম নির্বাচন হল ২০১৪ সালে। সেই নির্বাচনে ভারতবর্ষের মানুষ বিজেপির নানান রকম প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে আশাগ্রস্ত হয়ে ভারতবর্ষের ক্ষমতায় আসীন করে। দুর্ভাগ্য ভারতের মানুষের। তবে তারা উপলব্ধি করেছে এই সরকার ও রাজনৈতিক দলের একমাত্র উদ্দেশ্য নানা অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে বিপর্যস্ত করা। একদিকে মানুষের পাওনা থেকে তাকে বঞ্চিত করে, নোটবন্দি, স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার হ্রাস, ব্যাঙ্কে নাআন বাধ্যবাধকতা তৈরির মত নানা জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে জাতিতে জাতিতে সংঘর্ষ ঘটিয়ে সামাজিক বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে, যা সংবিধান বহির্ভূত। আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে এই রাজনৈতিক দল।

বাংলা সহ ভারতের রাজনৈতিক লড়াইয়ে তাই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি জোটবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। কোথাও কোথাও খামতি যদি মনে হয়, তাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই সংবদ্ধ দলগুলি আগামিদিনে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ ভূমিকা নেবে। আর তৃণমূল নেত্রীর প্রতিবাদী কণ্ঠ সোচ্চার বলেই তিনি পেরেছেন ২১ জুলাই দলের মহতি সভা থেকে সাম্প্রদায়িকতা ভারত ছাড়োর ডাক দিতে। সেখান থেকে মেদিনীপুরের সভায়। সেখান থেকে আওয়াজ তুলে ভারতের সমস্ত প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করলেন। নির্যাতন যত বেশি হবে এই আওয়াজ তত তীব্র হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংকল্প বাংলার মানুষের সমর্থন নিশ্চিতভাবে আগামিদিনে ভারতবর্ষ ব্যাপী ছড়িয়ে দেবে এই আওয়াজ – সাম্প্রদাকিতা ভারত ছাড়ো।

এই সম্পর্কে বলা যায়, ভারতের সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন নিয়ে সাম্প্রদাকিতা ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়ে মানুষ ২০১৯ এ লোকসভায় হাজির হবে। এবং আমত্রা নিসচিত ২০১৯ এ সর্বস্তরের, সর্বজাতের, সর্বপেশার মানুষ সংগবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে হটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন করবে, নেতৃত্বে অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আমাদের ভূমিকা আরও কঠিন। লড়াই আরও শক্ত মনে হলেও পথ প্রশস্ত। আগামি দিনের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের পাশে থেকে সার্বিক উন্নয়ন, আমাদের এই কর্তব্য পালন করে যেতে হবে। সবরকমভাবে বাংলার মানুষ অত্যন্ত সক্রিয়। তারা উপলব্ধি করেন তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ৯ কোটি মানুষের মধ্যে সাড়ে ৬ কোটি ভোটার আর আড়াই কোটি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্যসাথীর মত প্রকল্প নিয়তে পারে না। মানুষ তার উন্নয়নের ছোঁয়া পান। আমাদের তৈরি হতে হবে সাম্প্রদায়িকতা হটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের দিকে।

Trinamool to organise protest rally at Bhubaneshwar

Trinamool Congress is all set to hold a protest rally just three kilometres away from the office of the Central Bureau of Investigation (CBI) at Bhubaneswar in Odisha.

Senior Trinamool Congress leaders including Secretary General of the party Partha Chatterjee, All India General Secretary, Subrata Bakshi, Chandrima Bhattacharya and Manish Gupta met Sudip Bandyopadhyay in CBI’s office on Sunday evening.

After coming out of the CBI’s office, Partha Chatterjee said: “We met him like our friends. His willpower is strong. He asked us not to worry.”

Partha Chatterjee added: “The party supremo Mamata Banerjee had been fighting against the Centre’s arbitrary decision on demonetisation. It is clear to the people that we have been repeatedly attacked just because of protesting against demonetisation. We are trying to reach out to the people each and every where to make them understand the same and people are with us.”

 

ভুবনেশ্বরে প্রতিবাদ কর্মসূচি তৃণমূলের

ওড়িশার ভুবনেশ্বরে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রস। আগামী মঙ্গলবার সিবিআই দপ্তরের মাত্র তিন কিমি দূরে হবে এই সভাটি।

গতকাল চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ভুবনেশ্বরে সিবিআই দপ্তরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাধারন সম্পাদক সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মনিশ গুপ্ত।

সিবিআই দপ্তরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, “সুদীপবাবুর মনোবল অনেক বেশি, আমরা ওনার সঙ্গে কথা বলেছি, উনি আমাদের দুশ্চিন্তা করতে বারণ করেছেন”।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “এটা জনগনের কাছে স্পষ্ট যে দলনেত্রী কেন্দ্রের হঠকারী নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন বলেই তৃণমূলকে বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে।ভয় দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মাথা নত করা যাবে না। আমাদের লড়াই চলবে। জনগন আমাদের পাশেই আছেন।”

 

কৃষি থেকে শিল্প – বাংলাকে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার কাজ শুরু জননেত্রীর: সুব্রত বক্সী

গণতন্ত্র রক্ষা ও তাকে মর্যাদা দেওয়ার একমাত্র শর্ত নিয়ে ১৯৯৮ সালে তৈরী হল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই থেকে লড়াই শুরু। বাংলার বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি, ভোটাধিকার-সহ মানুষের গণতান্ত্রিক ন্যূনতম অধিকার নিয়ে লড়াই শুরু করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর যেহেতু গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, সেজন্যই তা সবচেয়ে কঠিন।

একদিকে বামফ্রন্ট, আর অন্যদিকে কংগ্রেস তখন বাংলার মা-মাটি-মানুষের স্বার্থ পদদলিত করছে। লড়াই-আত্মত্যাগের বিনিময়ে মানুষের মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে লড়াই শুরু করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। অন্যদিকে, ঘটে চলেছে রাজনৈতিক খুন। রাজনীতির নামে খুন হচ্ছে সাধারণ মানুষ।পাহাড় জ্বলছে।অশান্ত জঙ্গলমহল।দরিদ্র মানুষের মুখে সামান্য অন্ন তুলে দেওয়ার নামে চলছে নোংরা রাজনীতি। লড়াই আরও কঠিন হল। দায়িত্ব একার কাঁধে তুলে নিলেন জননেত্রী। চলতে থাকলো সংগ্রাম।

এই অবস্থা থেকে এল ২০০৬ সাল। বাংলায় সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার গড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের স্বার্থ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। রক্তাক্ত হলো সিঙ্গুরের মাটি। নিজের জীবন বাজি রেখে কৃষকের স্বার্থ রক্ষার জন্য অনশনে বসলেন জননেত্রী। তার পর ২০০৭-এ নন্দীগ্রাম। মমতার লড়াইকে সামনে রেখে রুখে দাঁড়াল নন্দীগ্রামের মানুষ। পরের বছর ২০০৮-এ ঘটে গেলো রিজওয়ানুর রহমান খুনের মতো ঘটনা। একটি সম্পর্ককে স্রেফ শ্রেনির বিচারে মর্যাদা না দিতে চেয়ে বাম-ঘনিষ্ট শক্তি খুন করল এক তরতাজা প্রতিভাবান মুসলিম যুবককে। দক্ষিন কলকাতা লাগোয়া তপসিয়ার ঘুপচি গলিতে তাঁর পরিবারের পাশে, তাঁর মায়ের পাশে ছুটে গেলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাংলায় পরিবর্তনের বাতাবরণ তৈরী হতে শুরু করল।

২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে সেই পরিবর্তনের শুরু। মানুষ যে জনস্বার্থ-বিরোধী সিপিএম ও কুচক্রী কংগ্রেসকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে তা স্পষ্ট হতে থাকল। পঞ্চায়েতের ৫১ হাজার আসনের মধ্যে মানুষের সমর্থন নিয়ে ৩৯ হাজার আসনে প্রার্থী দিল তৃণমূল কংগ্রেস। জয় এলো ২৯ হাজার আসনে। শুরু হল তৃণমূলের জয়যাত্রা। এর পর ২০০৯-এ লোকসভা আসনে নিজেদের পদক্ষেপ আরও স্পষ্ট করে রাজ্যে ভিত শক্ত করতে শুরু করলো তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরের বছরই পুর-নির্বাচন। কলকাতা পুরসভা-সহ ৮৭টি পুরসভার নির্বাচনে বাংলায় পরিবর্তনের সূচনা হল। তারপর ২০১১ সাল। মানুষের অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে গণতন্ত্রের জয় হল। মানুষ আশীর্বাদ করে বাংলার ক্ষমতা তুলে দিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে। মানুষের কাছে যে অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়, শুরু হলো সেই প্রতিশ্রুতি, সেই অঙ্গীকার রক্ষার কাজ। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সিঙ্গুরের কৃষিজমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হল। বিল আনলেন জননেত্রী। কিছু আইনি প্রক্রিয়ায় সেই বিল আটকে গেল হাই কোর্টে। মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে।

তার মধ্যেই কিন্তু চলছে দলকে অনুশাসনে বাঁধার পালা। সঙ্গে সরকার চলছে বাংলার মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে। একেবারে নিজের পরিশ্রমে মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে নিজের বুধ্ধিমত্তার জোরে একের পর এক সরকারি প্রকল্প ঘোষণা। ইতিমধ্যে একদিকে জঙ্গলমহল, উল্টোদিকে পাহাড়কে শান্ত করে ফেলেছেন বাংলার নেত্রী। এর পরই শুরু হল বাংলার মানুষের জন্য একের পর এক প্রকল্প নেওয়া। মানুষ কেন জননেত্রীর ওপর ভরসা রাখবেন না? একার পরিশ্রমে, একার বুধ্ধিমত্তায় আনলেন কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প। যা এখন গোটা দেশ, গোটা বিশ্বের কাছে মডেল। সঙ্গে সঙ্গে কিশোরে-কিশোরীদের জন্য সবুজসাথী, যুবক-যুবতীদের জন্য এল যুবশ্রী। বেকারদের সাহায্যার্থে একাধিক প্রকল্প। সরকারি সহায়তায় ঋণ দিয়ে বেকারদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোর পালা। মাথায় রাখতে হবে, বাংলার সরকারের ঘরে তখন আড়াই লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। মানুষকে ঠকিয়ে বামফ্রন্ট রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে গিয়েছে সেই ঋণ। তার মধ্যে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে বারবার দরবার করেও মিলছে না সুরাহা। এই সার্বিক পরিস্থিতিতে মানুষের কথা জাতীয় স্টোরে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি মর্মে উপলব্ধি করলেন সেই মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুঝলেন বাংলায় উন্নয়নের কাজ মসৃনভাবে চালিয়ে যেতে গেলে কেন্দ্রের ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। তবেই বাংলার অধিকার রক্ষিত হবে। রক্ষিত হবে বাংলার প্রকৃত স্বার্থ।কারণ কেন্দ্র সরকার যেভাবে বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে, সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, যেভাবে একের পর এক প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দ ছাঁটাই করছে, তার জন্য অবিলম্বে প্রয়োজন কেন্দ্রে ক্ষমতা বদল। সেই প্রেক্ষাপটেই দেশজুড়ে সমমনোভাবাপন্ন শক্তিগুলিকে একজোট করে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের ডাক দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

পরিস্থিতির দাবিতে শুরু হল বাংলার বাইরে পা রাখা। এ কথা না বললেই নয় যে, এই গোটা পথ এক হেঁটেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ত্রিপুরা, ওড়িশা, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশও তৃণমূলনেত্রীকে আহ্বান জানাল। সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিন ভারতেও একইসঙ্গে বাড়ছে দলের গ্রহণযোগ্যতা। এই অবস্থায় রাজ্যে কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে অভিমান তৈরী হল। দলীয় কিছু নেতার বিরুদ্ধে সেই অভিমান নিয়েও ব্যবস্থা নিলেন জননেত্রী। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, মানুষের স্বার্থে লড়াই তাঁর প্রধান শর্ত। সেই নীতি থেকে তিনি সরবেন না। ফলে মানুষ সমস্যায় পড়ে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে তিনি বরদাস্ত করবেন না। তাই মানুষের পাশে থাকতে হবে। তাদের সঙ্গেই চলবে উন্নয়নের কাজ।

মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দলকে অনুশাসনে বেঁধে, কি দূরদর্শিতায় জননেত্রী বাংলার ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন, তা বোঝা যাবে নেত্রীর নিরলস প্রয়াসে। রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি বেকার সমস্যা সমাধানে শিল্প যে কতটা জরুরি, মমতা তা বুঝিয়ে দিলেন।

বিশ্ববাংলা সম্মেলনের আয়োজন করলেন জননেত্রী। যেখানে আম্বানি থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের বহু শিল্পোদ্যোগীকে আহ্বান জানালেন। মমতা বুঝিয়ে দিলেন কৃষির ওপর ভিত্তি করেই শিল্পের দিকে নজর দিতে হবে। তবেই রাজ্যের উন্নয়ন দ্রুত সম্ভব। শুরু হল জননেত্রীর আহ্বানে রাজ্যে শিল্প সম্ভাবনা। স্কিল ডেভেলপমেন্ট থেকে ছোট ছোট সহযোগিতার মাধ্যমে রাজ্যে শিল্পের বাতাবরণ তৈরী হতে থাকল। শিল্প-সম্ভাবনা আরও জোরদার হল। শিল্পের প্রয়োজনে বিদেশের মাটিতে পা রাখলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাংলার শান্ত পরিবেশে শিল্পের আরও নানা দিক খুলতে লাগল। বাংলার হাত ধরতে শুরু করলো বিশ্ব। বিশ্ববাংলার রূপ পেতে শুরু করলো রাজ্য।
পাঁচ বছরের এই সার্বিক প্রচেষ্টার সুফল হাতে নিয়ে যখন মানুষের সামনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়, বিরোধী দলগুলি একজোট হল। জোট বাঁধলো এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম। শুরু হলো লাগাতার ষড়যন্ত্র, কুত্সা, মিথ্যা প্রচার। মানুষকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়ার চূড়ান্ত অপচেষ্টা। রাজ্যকে অশান্ত করে দেয়ার চক্রান্ত। রাজ্যে সেই রাজনৈতিক অশান্তির মধ্যে দাঁড়িয়ে জনমতের ঝড় মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আবার পৌঁছে দিল মসনদে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যে আদপে একেবারেই অন্তঃসারশূন্য, তার প্রমাণ দিয়ে মানুষই বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা মমতা বন্দোপাধ্যায়েই আস্থা রেখেছেন। কোনও অলীক কল্পনা নিয়ে কোনও ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিতে চান না মানুষ।

শুরু হল নেত্রীর দ্বিতীয় ইনিংস। আবার প্রতিষ্ঠিত হল গণতন্ত্র। দুর্নীতি, অপশাসন, মানুষের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে একের পর এক লড়াই শেষ করে, মানুষের আশীর্বাদে জয় ছিনিয়ে এনে ষড়যন্ত্রের বাধা পার করে, রাজ্যের জন্য উন্নয়নের ডালি নিয়ে দলকে এক সুশাসনের মন্ত্রে বেঁধে বাংলার নতুন সূর্যোদয়ের দিকে চলেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সরকার ও দলকে চালানোর ক্ষেত্রে এবার তিনি আরও কঠোর। এই ধাপেই সুপ্রিম কোর্টের রায় এনে দিল নতুন জয়। জীবন বাজি রেখে সিঙ্গুরের জন্য যে লড়াই জননেত্রী লড়েছেন, জয় হয়েছে সেই লড়াইয়ে। কৃষকদের হাতে ফিরেছে জমি। সঙ্গে আরও সম্ভাবনাময় হচ্ছে শিল্প-পরিস্থিতি। যা তাঁর একার কৃতিত্ব।

 

 

Trinamool Congress would win the election: Abhishek Banerjee at Asansol rally

Trinamool Congress Lok Sabha MP Abhishek Banerjee addressed a rally of party workers at Sitalpur Football Ground in Asansol on Wednesday, January 27. Present along with him were the All-India Secretary of Trinamool Congress, Subrata Bakshi, and ministers Moloy Ghatak and Arup Biswas.

In an spiring speech, Abhishek Banerjee said, ”Don’t worry about coalitions; CPI(M) and Congress won’t be able to make any headway. The flood of development that the Mamata Banerjee Government has brought to West Bengal would wash out every Opposition effort to oust it … it’s Trinamool Congress which would win the election.”

Attacking CPI(M) leader Surya Kanta Mishra, he said, “He would lose by 30,000 votes. Now he calls himself an ex-minister. Soon he would be calling himself an ex-legislator.”

Subrata Bakshi was also there to inspire the workers, “… Strengthen the organisation … Do not say anything to embarrass the party. Development is the final word.”

 

ভোটে তৃণমূল জিতবেই: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

বুধবার দুপুরে আসানসোল উত্তর থানার শীতলপুর ফুটবল মাঠে এক কর্মিসভা করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, যুবকল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস প্রমুখ।

অভিষেক বললেন, ‘জোট নিয়ে চিন্তা করবেন না। জোট করে সি পি এম, কংগ্রেস সুবিধা করতে পারবে না। বাংলার বুকে মমতা ব্যানার্জি যে উন্নয়নে জোয়ার এনেছেন সেই তৃণমূল দলকে উ९খাত করতে পারবে না কেউ। তৃণমূল জিতবেই।’

সূর্যকান্ত মিশ্রকে আক্রমণ করে অভিষেক বললেন, ‘উনি এবার যেখানেই দাঁড়ান তিরিশ হাজার ভোটে হারবেন। উনি এখন নিজেকে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন‍। এরপর উনি নিজেকে প্রাক্তন বিধায়ক বলবেন।’

সুব্রত বক্সি কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘সংগঠনকে জোরালো করুন, ঐক্যবদ্ধ হন।  এমন কাজ করবেন না, যাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। উন্নয়নই শেষ কথা।’

 

 

স্থির লক্ষের দিকে চোখ রেখেই এগোচ্ছে সরকার: সুব্রত বক্সি

সুব্রত বক্সি

বহু লড়াই সংগ্রাম, চাপান-উতোরের মধ্য দিয়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার রাজ্যপাটে ক্ষমতার আসীন হয়েছেন ২০১১ সালের ২০ মে । এরপর আমরা প্রায় সাড়ে চার বছর পেরিয়ে এসেছি । ইতিমধ্যেই বাংলার মানুষের মনে এই সরকার মা-মাটি-মানুষ সরকার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ।

একটা সন্ত্রাসমুক্ত, উন্নয়নমুখী, যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের বাংলা গড়তে আমরা রাজ্যের মানুষের কাছে বদ্ধ্যপরিকর। সেই লক্ষ্যে চোখ রেখেই এগোচ্ছে সরকার। তবে কোন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে এই পরির্বতন বাস্তবাইয়িত হয়েছে, তা প্রতি পদক্ষেপেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ফিরে আসে আম্যাদের কাছে। ২০১১ সালের ঐতিহাসিক পঞ্চদশ বিধানসভা নির্বাচন। মাত্র ২৭ দিন ১৮৭-টি জনসভার মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার পর্যন্ত বাংলার ৯ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। কখনও হেলিকপ্টর, কখনও স্কুটারে, কখনও সাইকেলে, কখনও গাড়িতে, আবার কখনও পায়ে হেঁটেই । সেই নির্বাচনের সন্ধিক্ষণে তিমি সর্বস্তরের মানুষের কাছে আবেদন করেছিলেন, নতুন বাংলা গড়ার জন্য তাঁর ‘পরিবর্তন’-এর ডাককে সমর্থন করতে । সেদিন নেত্রীর ডাকে সারা দিয়ে রেজ্যের সর্বস্তরের, সর্বধর্মের, সর্বজাতির মানুষ গড়ে দিয়েছিলেন নতুন পরিবর্তনের সরকার ।

শুরু হল বাংলার মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ চলা । একদিকে বিরাট অর্থনৈতিক ঋণের বোঝা । অন্যদিকে মানুষের অসীম চাহীদা । এই পরিস্থিতিতে সব দিক মাথায় রেখেই নিরলস পরিশ্রম করে তিনি শুরু করলেন উন্নইয়নের কর্মযজ্ঞ । আজ সুদূর দার্জিলিং থেকে জঙ্গলমহল পর্যন্ত এক শান্তির বাতাবরন উপলব্ধি করা যায় । কারণ, সরকার তৈরী মাত্র ১৮ দিনের মাথায় জঙ্গলমহলে দাঁড়িয়ে অনুন্নয়নের অন্ধকার সরিয়ে উন্নয়নের দরজা খোলার কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি । বন্ধ হয়ে যাওয়া পঞ্ছায়েতের সব দরজা ধীরে ধীরে খুললেন । মানুষের কাছে তার পাওয়া পৌঁছে দিতে শুরু করলেন । স্কুল-কলেজে ফের বেজে অঠল ক্লাসের ঘণ্টা । জঙ্গলমহলের মানুষ নতুন করে জীবন শুরু করল । শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন ঘটিয়ে মানুষের কাছে প্রশাসনের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করলেন । সর্বস্তরের ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টজনদেরও শামিল করলেরন উন্নয়নের কাজে । প্রায় না খেতে পাওয়া মানুষকে পেট ভরে অন্ন যোগাতে ধাপে ধাপে সমস্ত জঙ্গলমহলে ২ টাকা কিলো পৌঁছে দিলেন । এক সময় কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে কষ্ট করে পানীয় জল আনতে যেতেন জঙ্গলমহলের মা-বোনেরা । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে এসে সেই প্রত্যন্ত এলাকায় টিউবওয়েল তৈরি-সহ পর্যাপ্ত পানীয় জলের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করে দিলেন । প্রায় প্রতি পরিবার পিছু হাতে তুলে দিলেন সাইকেল । এই উদ্যোগ একদিকে যেমন ছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে অত্যন্ত সহায়ক হল, তেমন ভাবেই দূর-দূরান্ত থেকে জল আনার কষ্টও লাঘব হয়েছে ।

পরবর্তী পর্যায়ে ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়ে উঠল জঙ্গলমহল । উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতাই জঙ্গলমহলের সার্বিক ছিত্রের পরিবর্তন ঘটিয়ে দিল । এক সময় কাগজ খুললেই মাওবাদী হামলায় মানুষের মৃত্যুর খবরই ছিল জঙ্গলমহলের রোজনামচা । কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতার কাণ্ডারি হওয়ার পর সেই খবর এখন ইতিহাসমাত্র । পরিসংখ্যান বলছে, গত সাড়ে চার বছরে মাওবাদী হামলায় একটাও খুনের ঘটনা নেই ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ২০১৩ সালের পঞ্ছায়েত নির্বাচনে মানুষ তাদের নিজেদের পঞ্চায়েত গঠন করেছে । ফিরে পেয়েছে নিজের অধিকার । আজ মানুষ তার নিজের পাওনা সরকারের কাছে বুঝে নিচ্ছে । তাই জঙ্গলমহলবাসী আজ সুখে, আনন্দে দিন যাপন করছে । এটাই মা-মাটি-মানুষের সরকারের দায়িত্ব ।

অন্যদিকে তাকান । সুদূর পাহাড়ে দার্জিলিংয়ের অবস্থা এক সময়ে কী ছিল? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসীন হওয়ায় আগে পাহাড়ের মানুষকে উত্যক্ত করতে নানা উসকানিমূলক বক্তব্য আমরা দেখেছি । সেই সময় খবরের শিরোনামে রোজই জাইগা করে নিত দার্জিলিংয়ের দু’দিন, চার দিন, সাত দিন, এমনকী অনির্দিষ্টকালের বন্‌ধ, অবরোধ । লক্ষ্য ছিল দার্জিলিংকে বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া । এই প্রতিকূলতের চ্যাল্যেঞ্জ নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে গেলেন, বারবার । পাহাড়ের মানুষকে জয় করেছেন এবং বুঝিয়েছেন, দার্জিলিং বাংলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ । ক্ষমতায় আসার পরই তিনি আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে বাংলের পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সকে পুনরায় জায়গা করে দিয়েছেন । আজ বাংলা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ সপরিবারে, শান্তিতে ছুটি কাটাতে আসেন দার্জিলিংয়ে । তাই আজ জঙ্গলমহল থেকে পাহাড়ের অবস্থা উপলব্ধি করলেই বাংলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কত উন্নত বোঝা যায় ।

উন্নয়নমুখী বাংলার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ড আজও চলছে । সীমিত অর্থনৈতিক ক্ষমতাকে পুঁজি করে গ্রামীণ শহর, আধা শহরে নানা প্রকল্প নিয়ে তিনি মানুষের কাছে পৌঁছেছেন । গীতাঞ্জলী, নিজ ভূমি নিজ গৃহ, জল ধরো জল ভরো, আর্থিক সহায়তা দিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা, কিষান মান্ডি, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, মাতৃযান, শিশুসাথী-সহ বিভিন্ন প্রকল্প, ব্লকে ব্লকে স্কুল তৈরি, পুরনো স্কুলের পরিকাঠামো ও মানোন্নয়ন, আইটিআই-সহ নানা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে সামাজিক ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত করেছেন।

শুধু প্রকল্প তৈরি করে ঘরে বসে থাকেননি। মানুষ যাতে সুফল পায় তা নিশ্চিত করতে গত সাড়ে চার বছরে বারবার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ছুটে গিয়েছেন জেলায় জেলায়। একশোর উপর প্রশাসনিক বৈঠক সেরে ফেলেছেন। পৌঁছে গিয়েছেন মহকুমা পর্যন্ত। মানুষের পাওনা সময়মতো মিলছে কি না তা দেখতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে চলেছেন। আর এই কর্মকাণ্ডের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছেছে বলেই মানুষ যখনই সুযোগ পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। তাই তাঁর শাসনকালে ছোট-বড় যত নির্বাচন হয়েছে সমর্থনের জোয়ারে ভেসে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে তাঁর প্রতিশ্রুতি পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

কিন্তু মনে রাখতে হবে এর মধ্যেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি-সহ কিছু সংবাদমাধ্যম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কু९সা, অপপ্রচার করে বাংলার এই অগ্রগতিকে রুখে দিতে চাইছে। এই লড়াই প্রতিদিনই চলছে। মানুষ সুযোগ পেলেই এই বিরোধীদের প্রত্যাখ্যান করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশির্বাদ করছেন। তবু চলছে চক্রান্তের প্রচেষ্টা।

তাই আমার সহকর্মীদের কাছে আবেদন, কঠিন না হলেও এই তা९পর্যপূর্ন লড়াইয়ে আমাদের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে হবে। সব সময় সজাগ থাকতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিশ্রম, মানুষের সমর্থন, আর কর্মীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েই আমাদের এগোতে হবে। দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের কাছে তাঁদের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করেছেন। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ ঐতিহাসিক নজির। তিনি প্রতিমুহুর্তে মানুষের কোথা ভেবে কাজ করেছেন। আর সেই কাজের সার্বিক সুফল গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত মানুষের দোরে দোরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বই আমাদের। সরকার এবং মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে প্রতি মুহূর্তে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে আমাদেরই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ আজ শুধু বাংলা নয়, সারা ভারতবর্ষের ঘরে ঘরে আলোচিত হয়। কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ বাংলা তথা ভারতের আঙিনা ছাড়িয়ে বিশ্বের দরবারে সমাদৃত। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাজের আঙ্গিক আজ সমগ্র দেশের কাছে উন্নয়নের মডেল।

আমাদের মনে রাখতে হবে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। কু९সা, অপপ্রচারকে প্রতিহত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যপাটের মেয়াদে তাঁর রিপোর্টে কার্ড নিয়েই আমরা মানুষের কাছে পৌঁছব। প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখতে হবে সমাজের সব অংশের মানুষের সঙ্গে। সরকারী প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা মানুষ পাচ্ছে কিনা তা নজর রাখতে হবে। এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা এবং সার্বিক কর্মকাণ্ডই রাজ্যের পাহাড়চূড়া থেকে সাগর কিনারের তরঙ্গ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের মূল উপজীব্য।

Jai Hind Bahini gets a uniform

The official t-shirt of Jai Hind Bahini was unveiled at Trinamool Bhavan on Friday.

The blue and white t-shirt was launched by All India General Secretary of the party, Subrata Bakshi in the presence of Rajya Sabha MP Dola Sen, Lok Sabha MP Arpita Ghosh, Indranil Sen, Soumitra Roy, former footballer and councillor Shyamal Bandyopadhyay, councillor Sandip Bakshi and others.

On the occasion, Subrata Bakshi said Jai Hind Bahini will be engaged with apolitical, social work. Jai Hind Bahini will also organise cultural programmes on 21 July.

Municipal elections 2015: Trinamool’s massive campaign across Bengal

Trinamool Congress held massive campaigns for the Municipality Elections 2015 from Sonarpur in South 24 Parganas to Siliguri in North Bengal, from Purulia town in the west to Bongaon in the east  with equal importance and dedication.

Senior leaders including the party All India General Secretary, the party Secretary General, the President of the Trinamool Youth Congress, elected representatives in the Parliament and the state Assembly held road shows, mass meetings and led door-to-door campaign in all the 91 municipalities were election will be held.

 

North Bengal campaign 2Goutam Deb leads a padayatra at Siliguri

 

 

North Bengal campaignTribal people supports Trinamool at campaign rally in North Bengal

Incidentally, Trinamool Congress has already gained majority in three municipalities – Gayeshpur in Nadia and Arambagh and Tarakeswar in Hooghly.

Road show at DumdumMP Prasun Banerjee at road show in Dum Dum

The last few weeks saw extensive campaigns by mass leaders like Subrata Bakshi, Partha Chatterjee, Suvendu Adhikari, Subrata Mukherjee, Firhad Hakim, Jyotpriya Mullick, Goutam Deb, Abhishek Banerjee as well as MPs like Shatabdi Roy, Arpita Ghosh, Moonmoon Sen, Dev and others.

Padayatra at Baruipur

AITC Secretary General Partha Chatterjee and Biman Banerjee campaigns at Baruipur

Satabdi Ray at Suri - Ei SamayAITC MP  Shatabdi Roy campaigns at Suri

Padayatra at SuriFirhad Hakim leads a padayatra at Suri

Campaign at SonarpurAroop Biswas campaigns at Sonarpur

Campaign at BarasatJyotipriya Mullick campaigns at Barasat

DEvAITC MP Dev campaigns at Silguri

Suvendu-Adhikari-at-EgraSuvendu Adhikari campaigns at Egra

Abhishek Banerjee at BardhamanTrinamool Youth Congress President Abhishek Banerjee campaigns at Kalna

Abhishek BanerjeeTrinamool Youth Congress President Abhishek Banerjee campaigns at Naihati

Constantly work for the people: Subrata Bakshi to Trinamool workers

Trinamool will move ahead following the path set by the party Chairperson Ms Mamata Banerjee, said All India General Secretary of the party and South Kolkata MP Subrata Bakshi on Wednesday. He was addressing a conference of party workers at Chinar Park in New Town.

He congratulated the party workers for their tedious campaign leading to Trinamool’s record victories in the bypolls held for Krishnaganj Assembly seat and the Bongaon Lok Sabha seat.

He reminded the party workers that it is necessary to constantly work for the people. He reiterated that people brought the party to power and it was duty to serve them.

He also said that if any party worker indulges in any shameful work, the party will take measures against them. He asked everyone to follow the path of transparency and honour.

Trinamool MP Saugata Roy, State Agriculture Minister Purnendu Bose, Food and Supplies Minister and party’s North 24 Parganas district head Mr Jyotipriya Mullik and AITTUC State President Ms Dola Sen were present at the conference.

Trinamool holds dharna for land losers in Salboni

Trinamool Congress State President and MP Subrata Bakshi on Wednesday attended a dharna at Salboni where Sajjan Jindal Group has put their steel project on hold.

The dharna was organised by the local Trinamool functionaries in front of the JSW Bengal Steel factory. Around 1,500 people, including over 150 land losers, participated in the dharna.

“We could solve the problem in 12 hours if we had all the power. But the Centre has a role here,” he said. Subrata Bakshi made it clear that the party is not against industry or any industrialist.

“We want industry here,” he added. He said if Jindals cannot set up an industry in Salboni, they should return the land.