Chief Minister Mamata Banerjee today inaugurated a number of developmental schemes at a public meeting in Kotshila, Purulia, that will give a huge boost to employment, infrastructure, healthcare, education and overall development in the district. A new industrial unit and several new projects were initiated.
Building a rapport with the local people by initially speaking in the Kurmari language, she said the head office of the West Bengal Kurmi Development and Cultural Board will be set up in Purulia. The formation of the board had already been announced for the focussed development of tribal people in the region. A special office of the board will be located at Jhargram. A Manbhum Cultural Academy was also being built and would start functioning soon. Some other salient points of her speech:
- Opportunities for the tribal people of the region have increased manifold over the past six years. Food, education, land are among the many benefits that they have been receiving;
- The fear of Maoist attacks has been replaced with peace and security. Now, not only are the residents even in Jungle Mahal areas able to go about their daily activities without apprehension, but tourists are also coming to the district, providing scope for growth and employment;
- About 2 lakh artists are being given a Rs 1,000 monthly assistance as well as jobs through advertised posts. All this was not there before and has been introduced as artists are our pride;
- Issues like free treatment, water supply, roads, farm loans among others have been addressed through various schemes and projects.
We are a government that cares for its people and works for their improvement and growth, the Chief Minister said. There are schemes for the benefit of the poor and underprivileged right from birth to death. The Central Government has stopped funding many projects, even though taxes are collected from the state. But despite these hardships, we are continuing with the schemes, she said.
She asked why should people from our state who go to other states for work to get killed in the process. This is very distressing. There is no need for them to go, we will provide them work, even if it is running a tea stall. Bengal is not like other states. We welcome people from other regions. It is their right. But that does not mean Bengalis will be killed when they go to work in other regions. Please come back. When demonetisation took place, many workers had to come back. We assisted each family with a Rs 50,000 financial aid.
With today’s programme, a total of 30,000 people of this district have been given benefits in one form or the other by the government. We are the only state that has provided 90 percent of its people one benefit or the other. Our job was to return peace in the region, provide rice at Rs 2 a kg, and create opportunities for education. We have done this, for Bengal is our motherland, our pride and our future, she concluded.
বাংলাও কারো ওপর অত্যাচার করবে না; এটা বাংলার মানুষের গর্ব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ পুরুলিয়ার কোটশিলায় একটি জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেখান থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ
আমাদের সরকার আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা এক কথায় অদ্বিতীয়। ২০১৩ সালে আদিবাসী দপ্তর গঠন করা হয়েছিল।
পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হয় কিন্তু বাংলায় তা হয় না।
কিছু লোক টাকা তোলার নাম করে মিথ্যে কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। যখন পুরুলিয়া জেলায় রক্তের খেলা হত, যখন এই জেলার মানুষ মাওবাদীদের ভয়ে বাইরে বেরোতে পারতো না, ছেলেমেয়েদের মাওবাদী তকমা দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হত তখন এরা কোথায় ছিলেন। আগে এই জেলার মানুষের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ ছিল। আজ পুরুলিয়া জেলায় শান্তি ফিরে এসেছে, সবুজ ফিরে এসেছে, স্বস্তি ফিরে এসেছে।পুরুলিয়া জেলায় মানভূম, ঝালদা নতুন সদর দপ্তর হয়েছে। আজ এখানে মানুষ বেড়াতে আসছে।পুরুলিয়া জেলা খুব সুন্দর তাই একে রূপসী বাংলা বলা হয়।
যখন মাওবাদী আন্দোলন হত তখন রাত ৩ টেয় আমি এখানে ঘুরে বেরিয়েছি পুলিশ ছাড়া, এখন এখানে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা আর এই জেলাকে রক্তাক্ত হতে দেব না।
২ লক্ষ শিল্পীকে মাসে ১০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা এবং সরকারী বিজ্ঞাপনে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়। পুরুলিয়ার শিল্পীদের কলকাতার পুজোয় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। শিল্পীরা আমাদের গর্ব। এতদিন শিল্পীদের কোন সম্মান দেওয়া হত না।
শিশুরা ও ছাত্রছাত্রীরাই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। তপশিলি ও আদিবাসী ভাইবোনেদের স্কলারশিপি দেওয়া হয়। প্রাইমারি স্কুলে বিনা পয়সায় ব্যাগ, জুতো, পোশাক, খাতা, মিড ডে মিল পায়। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া হয়।
কন্যাশ্রীর মেয়েরা আমাদের গর্ব। এই প্রকল্পের আওতায় ১৮ বছর বয়সের পর তারা এককালীন ২৫০০০ টাকা পায়। K -3 প্রকল্পের আওতায় যারা আর্টস পড়বে তারা মাসে ২০০০ টাকা ও যারা সাইন্স পড়বে তারা ২৫০০ টাকা সাহায্য পাবে। ১.৭১ কোটি সংখ্যালঘু ছেলেমেয়ে স্কলারশিপ পেয়েছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে। ৫৭ লক্ষ SC/ST ও আদিবাসী ছেলেমেয়েরা শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে স্কলারশিপ পাচ্ছে।
আমাদের সরকার সাঁওতালি, অল চিকি, কুরুক, কুর্মালি, নেপালি, গুরুমুখি ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কূর্মি উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। উন্নয়নের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আমরা কাজ করে দেখাই আর কিছু লোক শুধু ভাষণ দিয়ে বেড়ায়।
এই জেলায় ২ টি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। এই জেলাকে ৮ টি মাতৃযান দেওয়া হচ্ছে। বাংলার সব জেলাকে আরও ১০০০ মাতৃযান দেওয়া হচ্ছে। এই জেলায় ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকরন করা হয়েছে। SNCU, CCU, HDU তৈরি হয়েছে। আই টি আই, পলিটেকনিক কলেজ চালু হয়েছে এই জেলায়।
কৃষকদের সব খাজনা মুকুব করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাদের জমি নষ্ট হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই জেলার পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর জন্য পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প চালু হয়েছে। নতুন রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে।
আমাদের সরকার প্রথম জঙ্গলমহলের জন্য শুরু করেছিল ২টাকা কিলো দরে চাল দেওয়া। আজ সারা বাংলার ৮.৫কোটি মানুষকে আমরা ২টাকা কিলো দরে চাল ও গম দিই ৫ কিলো করে মাসে। আর কেউ এরকম কাজ করে দেখাতে পারবে না। গরীব, সাধারন, মধ্যবিত্ত মানুষ আমাদের সম্পদ।
সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসা তৃণমূল কংগ্রেস সরকার দেয়।কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, যুবশ্রী, ২টাকা কিলো চাল, সবুজশ্রী, বিনা পয়সায় সাইকেল দেয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।মৃতদেহ সৎকারের জন্য ২০০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে ৩০০০ কবরস্থান সংস্কার করা হয়েছে। আমরা আগামী বছর ১৫০০ শ্মশানঘাট সংস্কার করা হবে।
দিল্লীর সরকার আমাদের দয়া করে না, আমাদের ভাতে মারার চেষ্টা করে। ২.৫ লক্ষ বিধবা, প্রতিবন্দী, বয়স্ক যারা ভাতা পেতেন, সব ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা রাজ্য সরকারের ২৫৮কোটি টাকা দিয়ে সব চালু রেখেছি। কেউ যেন বঞ্চিত না হয়।
খরার জায়গা গুলোতে চেক ড্যাম তৈরি হচ্ছে যাতে জল ধরে রাখা যায়। সেচ প্রকল্প ও যাতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ হয়, তার জন্য ২৬৬৮ কোটি টাকার একটা প্রজেক্ট তৈরী করেছি। পুরুলিয়ায় জল সরবরাহের জন্য নতুন প্রজেক্ট করছি।
রঘুনাথপুরে জল সরবরাহ চালু হয়ে গেছে, মুরাডি, তেলকুপি, বল্লমপুর ও বাঘমুণ্ডিতে ইকো ট্যুরিস্ম প্রকল্প শুরু হয়ে গেছে। এখানে ১টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আছে, আরও কেউ করতে চাইলে সরকার সব সাহায্য করবে।
আমাদের রাজ্যের লোক বাইরে গেলে তাঁকে কেন মরতে হবে? এরম হলে, যারা বাইরে আছেন তাদের বলব, ফিরে আসুন এখানে। যখন নোটবন্দী করেছিল দিল্লীর সরকার, ১ লক্ষ পরিবার ফিরে এসেছিল, আমরা প্রতিটা পরিবারকে ৫০০০০ টাকা করে দিয়েছিলাম।
বাংলার মানুষ সবাইকে ভালবাসে, বাংলার মানুষের ওপর অত্যাচার করা যাবে না। আর বাংলাও কারো ওপর অত্যাচার করবে না। এটা বাংলার মানুষের গর্ব।
বিজেপির নেতারা কিছু বোঝেই না, ঝাড়খণ্ডে যা মিনারেলস আছে, ওই রাজ্যটা আমাদের হাতে থাকলে, আমরা সোনা ফলিয়ে দিতাম। কিছু না থেকেও বাংলা আজ এক নম্বরে চলে গেছে অনেক ব্যাপারে। ঝাড়খণ্ডে করতে পারেন না, বাংলায় কি করবেন? গুজরাটে দলিতদের ওপর অত্যাচার করে, রাজস্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করে, অন্য জায়গায় খৃস্টানদের ওপর অত্যাচার করে। কেন করবেন? দলিত, খৃস্টান, সংখ্যালঘু, সাধারন মানুষ আমার ঘরের ভাই বোন। পার্থক্য আমরা করি না। আমরা সবাই এক, আমরা মানবিক পরিবারের সদস্য।আমরা চাই পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েরা সারা পৃথিবী জয় করুক।
আজ এই সভামঞ্চ থেকে ৩০ হাজার মানুষের কাছে বিভিন্ন রকম সরকারী পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হল। বাংলা একমাত্র রাজ্য যেখানে ৯০ শতাংশ লোকের কাছে সরকারী পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাও কারো কারো সাধ মেটে না।
আমার কাজ শান্তি ফিরিয়ে দেওয়া, আমি তা দিয়েছি। ২ টাকা কিলো চাল দিয়েছি। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিয়েছি।
বাংলার মাটি গর্বের মাটি, এ মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। এই মাটি আমাদের জন্মভূমি, কর্মভূমি, মাতৃভূমি। মানুষ ভালো থাকুক।