Chief Minister Mamata Banerjee, during the inauguration programme of Mati Utsav on January 2 announced bravery awards for 57 Kanyashree clubs in Purba Bardhaman district that helped stop around 116 child marriages in the last five months.
She also handed over appreciation certificates to 10 such clubs.
According to district administration officials, the Kanyashree beneficiaries played a crucial role in combating child marriage in the district.
Clubs have been formed in 781 schools in the district. The members, who are all girls, act as the eyes and ears of the district administration and alert the authorities whenever a child marriage is about to happen. They also help the officials counsel the parents of minors against child marriages.
Source: The Times of India
১১৬টি নাবালিকা বিয়ে আটকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা পেল কন্যাশ্রী ক্লাব
পূর্ব বর্ধমানে মাটি উৎসব উদ্বোধনের মঞ্চে জেলায় পাঁচ মাসে ১১৬টি নাবালিকা বিয়ে আটকানোর জন্য কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যদের প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কত সাহস নিয়ে কন্যাশ্রীর মেয়েরা বাল্যবিবাহ রুখেছে। ওদের প্রতি আমার ভালবাসা ও আশীর্বাদ রইল। পুলিশকে ওদের সাহসিকতার জন্য পুরস্কার দিতে বলব।”
আগে পড়াশোনা, পরে বিয়ে— পুরুলিয়ার রেখা কালিন্দী, বীণা কালিন্দী, আফসানা খাতুনদের এই লড়াই এখন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যে। এই সব মেয়েদের হাত আরও শক্ত করছে স্কুলে-স্কুলে গড়ে ওঠা ‘কন্যাশ্রী ক্লাব’। সহপাঠীরা সবাই স্কুলে আসছে কি না, নিয়মিত খোঁজ রাখে পূর্ব বর্ধমানের কন্যাশ্রী ক্লাব। কেউ টানা দিন কয়েক না এলেই বাড়িতে হাজির হয় তারা।
এই কাজের জন্য এ দিন দশটি কন্যাশ্রী ক্লাবের সভানেত্রীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী প্রকল্পের পূর্ব বর্ধমান জেলা আধিকারিক বলেন, “আমাদের চোখ ও কান হচ্ছে কন্যাশ্রী মেয়েরা। সহপাঠীর বিয়ে রোখার পাশাপাশি, কন্যাশ্রীরা সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের কাউন্সেলিংও করছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় ২০১৩ সালের ১লা অক্টোবর এই প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাল্যবিবাহ রোধ করা। রাজ্যের প্রতি অঞ্চলের প্রায় ১৫,৫০০ প্রতিষ্ঠান–প্রথা বহির্ভূত বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ, মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ব বিদ্যালয় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিল্প প্রশিক্ষণ, এমনকি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রায় ৪০লক্ষ কিশোরীকে এই প্রকল্পের অধীনে আনা হয়েছে।
৫০০০-এরও বেশী মেয়েকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে জনপরিষেবা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বাংলার প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ প্রথম পুরস্কার পায়। ৬৩টি দেশের ৫৫২ প্রকল্পকে হারিয়ে সেরার শিরোপা পায় কন্যাশ্রী। এর ফলে অসাধারন ভাবে কমেছে স্কুলছুটের হার। এখন স্কুল ও কলেজের গণ্ডী পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও পাড়ি দিয়েছে কন্যাশ্রী।