Gandhi Bhawan in Beleghata to be taken over by State Govt

The Bengal Government has decided to take over Gandhi Bhawan in Beleghata (Kolkata).

Mahatma Gandhi had chosen to stay here because the Muslims and Hindus lived close to each other in Beleghata at that time, and there seemed to be no let-up in the bloodbath that began in 1946. As a tribute to his stay, the house was named Gandhi Bhawan.

After taking over, the State Government will be fully in charge of maintaining the house. The museum will be opened up for all and sundry. The government has plans for promoting the place as a major tourist spot, as it is intimately connected with the Mahatma’s philosophy of non-violence.

The museum houses artefacts used by Mahatma Gandhi during his stay. It also houses documents and letters.

Every year, his birth and death anniversaries, on October 2 and January 30, respectively, are celebrated with much fanfare here.

 

বেলেঘাটা গান্ধীভবন অধিগ্রহণ করবে রাজ্য

বহু স্মৃতিবিজড়িত বেলেঘাটার গান্ধীভবনে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, এই ঐতিহাসিক ভবনটি সরকার দেখভাল করবে। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে। গান্ধীভবনের কিছু কাজ পূর্ত দপ্তর দেখত। এখন পুরোটাই সরকার দেখবে।

স্বাধীনতার আগে দাঙ্গার সময় বেলেঘাটায় বড় গোলমাল হয়। দু’পক্ষই দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। গান্ধীজি আসেন। তিনি অনশনে বসেন। দু’দিন পর দুই সম্প্রদায়ের কয়েকজন প্রতিনিধি গান্ধীজির সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা শান্তিতে থাকব। আর গোলমাল হবে না। গান্ধীজি অনশন প্রত্যাহার করে নেন। গান্ধীভবনের এই বাড়িটির আগে নাম ছিল হায়দারি মঞ্জিল।

দাঙ্গার সময় প্রায় মাসখানেক গান্ধীজি বেলেঘাটায় ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই বেলেঘাটার এই গান্ধীভবনে ২ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন ও ৩০ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যুদিন পালন করা হয়। একটি মিউজিয়ামও রয়েছে। গান্ধীজির ব্যবহৃত চরকাটিও সযত্নে রাখা আছে এই গান্ধীভবনে। বহু দুষ্প্রাপ্য ছবি রয়েছে। দেওয়ালে পর পর টাঙানো রয়েছে এই ছবিগুলি।

গান্ধীভবনে এসে নিয়মিত যাতে দর্শকরা সব কিছু দেখতে পান, তার জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নেবে। সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে গান্ধীভবনের দরজা। প্রচার করা হবে।

গান্ধীভবনটি দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব কলকাতা গান্ধী স্মারক সমিতি এবং পূর্ব কলকাতা বাপুজি স্মারক সমিতি যৌথ উদ্যোগে দেখাশোনা করে। বিভিন্ন সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে এই দুই সমিতি। এবার বড় কাজটি করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Source: Aajkal