Bengalis are synonymous with being fish-eaters. Keeping that in mind, the State Government is firming up plans to set up a fish tourism circuit. And not just Bengalis, anyone can partake of delicious fish dishes to be served as part of tours.
The State Fisheries Development Corporation (SFDC) is preparing the blueprint for the tourism circuit. The circuit would centre around the hotels run by SFDC in places like Digha, Udaypur, Henry Island, Bishnupur, Jamunadighi and Siliguri.
A typical tour would consist of a two days-one night package, with fish as the focal theme – be it food or sightseeing. And fish dishes to be served would comprise the traditional favourites of Bengalis as well as newly-introduced varieties in the state like chanos (also called milkfish), pompano, cobia (all marine fishes) and vannamei (a type of shrimp).
The fish tourism circuit would begin functioning with tours to Digha.
Salient points:
· Air-conditioned luxury buses would take tourists to the SFDC-run hotels (from Kolkata, in the case of Digha).
· Lunch and dinner would consist of a range of fish dishes, cooked both in the Bengali as well as in foreign styles.
· Supper would consist of fish pakoda or fish fry, along with coffee.
· After lunch, films where fish is the focal theme, like Ganga and Padma Nadir Majhi, would be shown.
· During the evening, the hotel would arrange fishing trips.
· Early morning the next day, the guests would be taken to bheris or fish farms to watch live huge fishes being caught for commercial exploitation.
· After coming back to the hotel, breakfast would be served, which would consist of fish kachori, fish sandwich or fish-stuffed paratha.
· Breakfast would be followed by sightseeing (to places like Mandarmani and Talsari, in the case of the Digha tour).
· Coming back, lunch would be served, again consisting of a huge fish spread.
· Later, the tourists would be taken back home/to their bases aboard the luxury buses.
মাছের পদে মন ভরিয়ে ঘোরার আমেজ রাজ্যজুড়ে
কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। নিপুণ হাতে কাঁটা বেছে মাছ খাওয়ার যে কৌশল বাঙালি যুগ যুগ ধরে রপ্ত করেছে, সেই রেওয়াজকে আর চার দেওয়ালে আটকে রাখতে চায় না রাজ্য সরকার।
দুপুরে সরষে বাটা-কাঁচালংকা অথবা আদা-পিয়াজ-রসুনের রসায়নে মাছের ঝাল খেয়ে যাদের অরুচি ধরে গিয়েছে, তাদের জন্য একেবারে নতুন আয়োজন। রেস্তরাঁয় গিয়ে ভিন্ন স্বাদের মাছ চাখা নয়। শুধু মাছকে থিম করেই আস্ত একটা পর্যটন প্যাকেজ চালু করতে চলেছে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। শুধু নিছক বেড়ানো নয়। ঝালে-ঝোলে-অম্বলে মাছ দিয়ে পাত সাজিয়ে বাজিমাৎ করতে চায় নিগম। সেই ভাবনা থেকেই মাছকে থিম করে সকাল-সন্ধ্যা অতিথি আপ্যায়নে এবার রাজ্যে আসছে ফিশ ট্যুরিজম।
মৎস্য দপ্তরের আওতায় থেকে এখন চুটিয়ে ব্যাবসা করছে মৎস্য উন্নয়ন নিগম। কাঁচা মাছ বিক্রি তো আছেই, পাশাপাশি রয়েছে তাদের নিজস্ব রেস্তরাঁয় রকমারি খাওয়ার আয়োজন। রাজ্যের নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নিগমের ফুড কোর্ট। কলকাতার পাশাপাশি দীঘা, উদয়পুর, হেনরি আইল্যান্ড, বিষ্ণুপুর, যমুনাদিঘি বা শিলিগুড়িতে আছে সেসব হোটেল। দপ্তরের কর্তাদের কথায়, যেখানে যেখানে নিগমের বড় ভেড়ি রয়েছে, সেই সব এলাকার আশপাশে তৈরি করা হয়েছে হোটেলগুলি। সেগুলিতেই এই ফিশ ট্যুরিজম চালু করছে নিগম। নলবনে এমনই আহারি পর্যটনের উদ্বোধন করেন মৎস্যমন্ত্রী।
ভারতে কোথাও আলাদা করে মাছ কেন্দ্রিক পর্যটন নেই, এমনটাই দাবি করছেন দপ্তরের কর্তারা। রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌম্যজিৎ দাস বলেন, যারা মাছ ভালোবাসেন, তারা যাতে মাছকে সঙ্গী করে ঘুরে-বেড়াতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই করছি আমরা। সেখানে থাকবে ছিপ নিয়ে মাছ ধরার বিলাসিতা বা ভেড়ি থেকে মাছ ধরা চাক্ষুষ করার আয়োজন। থাকবে সাইট সিয়িং। সঙ্গে থাকবে নানা ধরনের মেছো পদ। দীঘা বা উদয়পুর বা বকখালির কাছে হেনরি আইল্যান্ডে যেমন সেগুলি সহজে হবে, তেমনই বিষ্ণুপুর, বর্ধমান বা শিলিগুড়িতেও পর্যটকরাও আনন্দ পাবেন। নিগমের এই উদ্যোগটিকে কাজে লাগাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি প্রথম সারির ট্যুর অপারেটর সংস্থাকে।
সংস্থাটির কর্ণধারের কথায়, আমরা যেমন গোটা ট্যুরে পর্যটকদের চিরাচরিত মাছ খাওয়াব, তেমনই থাকবে চ্যানোস, পমপ্যানো, কোবিয়া বা ভেনামাই’য়ের মতো মাছ। রান্নাতেও থাকবে কেরামতি। সব মিলিয়ে মাছ দিয়েই পর্যটনের নতুন দরজা খুলতে তৈরি রাজ্য।
মেছোবিলাসঃ-
দীঘায় যে ফিশ ট্যুরিজম চালু হচ্ছে, সেখানে সকালে কলকাতা থেকে বিলাসবহুল বাসে পর্যটকদের নিয়ে যাবে নিগম। এক রাত-দু’দিনের প্যাকেজে পরের দিন ফের কলকাতায় ফেরা।
দুপুরের খাবার পাতে থাকবে পাঁচ রকমের মাছের পাঁচ পদ। কোনওটা আবহমানকালের বাঙালি রান্না, আবার কোনওটায় বিদেশি ‘টাচ’ দিয়ে ফিউশন। খাওয়ার শেষে ভাত-ঘুমের আগে ভিসিডিতে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ বা ‘গঙ্গা’র মতো সিনেমা, যেখানে মাছই থিম।
বিকালে ফিশ পকোড়া বা ফিশ ফ্রাই সহযোগে কফি। ছিপ দিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা করে দেবেন কর্মকর্তারাই। রাতে ফের খাবার পাতে পাঁচ রকমের মাছ দিয়ে আয়োজন।
ভোরবেলা মাছ ধরা দেখতে নিয়ে যাবেন উদ্যোক্তারা। কীভাবে পেল্লায় সাইজের গলদা জালে ধরা পড়ছে, সেসব দেখা যাবে একেবারে ‘লাইভ’।
ফিরে এসে মাছের কচুরি, ফিশ স্যান্ডউইচ বা মাছের পুরভরা পরোটার মতো জলখাবার খেয়ে বেড়াতে বেরনো। নিজস্ব টোটোতে মন্দারমণি বা তালসারির মতো সাইট সিয়িং করাবেন উদ্যোক্তারাই। ফিরে এসে ফের পাঁচ রকম পদ সাজিয়ে লাঞ্চ।
দীঘার মতোই মৎস্য উন্নয়ন নিগমের হাতে থাকা রাজ্যের সবক’টি হোটেলেই এমন প্যাকেজ ট্যুর থাকছে।
Source: Bartaman