To enable better administration, the Trinamool Congress Government created the district of Alipurduar on June 25, 2014, as West Bengal’s 20th district. As a result, people from the region are finding it much easier to access governmental services.
An administrative complex is also coming up in the district capital where all the main administrative, police and district health offices will be located.
Developments brought about in Alipurduar district by the Trinamool Congress Government:
Health
- 2 fair price medicine shops set up at Alipurduar District Hospital and Birpara Hospital
- As a result, almost 43,000 people have benefitted to the tune of Rs Rs 1.24 crore
- Fair price diagnostic centre (FPDC) at Alipurduar District Hospital
- Multi super-speciality hospital being built in Falakata
- 8 sick newborn stabilisation units (SNSUs) set up
- 2 sick newborn care units (SNCUs) – at Alipurduar District Hospital and Birpara Hospital – being constructed
- A critical care unit (CCU) set up at Alipurduar District Hospital
- A 50-bedded AYUSH hospital being built in Topshikhata
Education
- Model schools being built in Kalchini and Madarihat
- 50,000 students got bicycles under Sabuj Sathi Scheme
- Mid-day meals being served in all schools, as a result of which health of students as well as their attendances have improved drastically
- Separate toilets built for boys and girls in all schools
- 18 secondary schools upgraded to higher secondary
- Industrial training institutes (ITI) set up in Kumargram and Kalchini, and a polytechnic college in Kalchini
- Primary teachers’ training institute (PTTI) set up in Patlakhawa
Land Reforms, Agriculture, Fishery, Animal Husbandry
- About 1,500 landless families given patta and 3,500 forest patta given under Nijo Griha Nijo Bhumi (NGNB) Scheme
- Almost 92% of farming families given Kisan Credit Cards (KCC)
- Krishak Bazaar has come up in Falakata
- A fish laboratory and a fishery training centre set up in Falakata
- More than 70,000 ducklings and chickens distributed among self-help groups (SHG) to encourage self-sufficiency
100 Days’ Work
- Rs 247 crore spent to create 78 lakh man-days
Panchayat and Rural Development
- About 22,000 toilets built under Mission Nirmal Bangla
- State Government has facilitated the building of 125 km of roads under Gram Sadak Yojana
- State Government has facilitated the building of 15,000 houses under Indira Awaas Yojana
Minorities’ Development
- Scholarships worth Rs 2 crore given to 10,000 students from minority communities
- To encourage self-employment, Rs 3.5 crore worth loans given to youth from minority communities
- The State has facilitated the spending of Rs 3.5 crore for various projects for minority groups under multi-sectoral development programme (MSDP), including five health sub-centres, 49 classrooms, 20 anganwadi centres and 200 houses
Backward Classes Welfare
- 31,000 students being given scholarships under Shikshasree Scheme
- More than 25,000 SC/ST/OBC certificates given out
Kanyashree Scheme
- 33,500 students covered under Kanyashree Scheme
Khadya Suraksha and Khadya Sathi
- 11 lakh people getting foodgrains at Rs 2 per kg
Welfare for tea gardens
- The State Government has stood by tea garden workers and their families during their times of need
- All tea garden workers’ families getting foodgrains at 47 paise per kg
- Drinking water supply projects in the tea gardens
- 25 anganwadi centres for children in the tea gardens
- Scholarships under Shikshasree Scheme being given to about 1,000 students from the tea gardens
Micro, Small & Medium Enterprises (MSME)
- 3 clusters for MSMEs set up – handloom cluster in Kumargram, and clusters for wooden furniture makers in Madarihat and Barvisa
- Bank loans worth Rs 300 crore given to MSMEs in the district
PWD and Transport
- 32 projects involving roads, bridges, etc., worth Rs 150 crore, benefitting 10 lakh people
- Building, renovation and widening of 200 km of roads
- Asian Highway Project: Asian Highway-2 (AH-2), connecting India, Nepal and Bangladesh and AH-48 connecting India, Bhutan and Bangladesh under construction
- Rs 8.37 crore spent on building a road from Andu Basti More to South Mendabari More
Power & Non-conventional Energy
- Under the Sabar Ghare Alo project, 100% rural electrification has been achieved
- Rs 6 crore worth electricity substation at Birpara WBSETCL Compound in Alipurduar
Irrigation
- Dam rectification work of over 50 km completed
- Banks of Majur and Sankosh River, in Falakata block and Kumargram block, respectively, developed
Public Health Engineering
- 16 drinking water projects, worth Rs 45 crore, completed, benefitting 1.5 lakh people
- Drinking water projects in three tea gardens in Loknathpur, Jashodanga and Madarihat blocks set up
- The two-decade old drinking water problem in forest villages in the Jayanti forest area mitigated by piping in purified water from the Jayanti River
- Other drinking water projects: Pipelines built in Falakata block and two major tube well projects completed in Totopara and Madarihat blocks, wherein pipes were sunk to 600 feet and 630 feet, respectively
Tourism
- Dooars Mega Tourism Project: 4 projects, worth Rs 3.5 crore, undertaken; first phase, covering Ratneshwar Jhil, Bakla, Shikiajhora and Hashimara, completed
Labour
- 75,000 unorganised workers brought under the State-Assisted Scheme of Provident Fund for Unorganised Workers (SASPFUW), 46,000 construction workers, under the West Bengal Building and Other Construction Workers Welfare Act (BOCWA), and 3,000 transport workers, under the West Bengal Transport Workers’ Social Security Scheme (WBTWSSS)
- 1,000 youth being given scholarships under the Yuvashree Scheme
Self-Help Groups (SHG)
- Under the Anandadhara Scheme, 2,500 SHGs formed
- Under Swami Vivekananda Swanirbhar Karmasuchi Prakalpa, 2,000 developmental projects, worth Rs 15 crore, sanctioned
Urban Development
- Rs 30 crore has been spent for the development of Alipurduar Municipality
- More than 400 dwellings constructed for the urban poor
Information & Broadcasting
- 1,200 folk artistes being given retainer fees and pensions
Housing
- Under the Gitanjali Scheme, 1,100 dwellings for the economically weaker sections of society built
Youth Affairs & Sports
- Alipurduar Indoor Stadium built at a cost of Rs 4 crore
- Rs 48 lakh sanctioned for setting up 24 multi-gyms
Since its creation as West Bengal’s 20th district in 2014 by the Trinamool Congress Government, Alipurduar has had a lot of development. All departments have put in their best to bring about a lot of change in the region. The states of health, education, minorities’ welfare and everything else are much better. Building and renovation of roads have improved access. Tea garden workers are much better off.
Image: Wikimapia
আলিপুরদুয়ার জেলার অভূতপূর্ব উন্নয়ন
সাড়ে চার বছরে সারা রাজ্যের সাড়ে নয় কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় সাড়ে আট কোটি মানুষের হাতে আমরা কোন না কোন সরকারী পরিষেবার সুবিধা পৌঁছে দিতে পেরেছি । বাকি মানুষদের কাছে আমরা খুব দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছি ।
জেলার , ব্লকের , গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী পরিবারগুলির উন্নয়নে আমরা নিরন্তর রূপায়ণ করে চলেছি একগুচ্ছ প্রকল্প :-
আলিপুরদুয়ার জেলায় উন্নয়ন:- এক নজরে
২০১৪ সালের ২৫শে জুন, এই অঞ্চলের মানুষজনের দীর্ঘদিনের দাবিকে সম্মান জানিয়ে, জলপাইগুড়ি জেলাকে বিভক্ত করে আলিপুরদুয়ারকে পশ্চিমবঙ্গের ২০তম জেলা হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। এর ফলে, আলিপুরদুয়ারের দূরদূরান্তের মানুষের সরকারি এবং অন্যান্য কাজে প্রভূত সুবিধা হয়েছে।
রাজ্য ও অন্যান্য জেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে নবগঠিত এই আলিপুরদুয়ার জেলায়। এই জেলায় ৮১ শতাংশ মানুষের কাছে বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান :-
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল এবং বীরপাড়া হাসপাতালে ২টি ন্যায্য মুল্যের ঔষধের দোকান চালু হয়ে গেছে। জেলার এই সকল ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কেনার ফলে প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার ছাড় পেয়েছেন।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ঊতভক্ষ ঙক্ষভদন ঈভতফশষড়ঢ়ভদ ইনশঢ়ক্ষন চালু হয়ে গেছে।
এই জেলায় মোট ৮টি SNSU চালু হয়ে গেছে।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে SNCU চালু হয়ে গেছে। বীরপাড়া হাসপাতালে SNCU নির্মান চলছে।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে একটি CCU চালু হয়ে গেছে।
ফালাকাটায় উন্নতমানের মাল্টি-সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নির্মান চলছে।
তপসিখাতায় একটি ৫০-শয্যা বিশিষ্ট আয়ুষ হাসপাতাল নির্মানের কাজ চলছে।
শিক্ষা:
কুমারগ্রামে আই.টি.আই কলেজ নির্মান সম্পন্ন হয়েছে।
কালচিনিতে একটি আই.টি.আই কলেজ এবং একটি পলিটেকনিক কলেজ নির্মানের কাজ দ্রূতগতিতে চলছে।
এই জেলায় ৫০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল প্রদান করা হচ্ছে।
কালচিনি ও মাদারীহাটে নতুন মডেল স্কুল নির্মানের কাজ চলছে।
পাতলাখাওয়ায় একটি পি.টি.টি.আই কলেজের নির্মান সম্পন্ন হয়েছে।
জেলায় গত দেড় বছরে ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্তরে উন্নীত করা হয়েছে।
সব স্কুলে মিড-ডে-মিল চলছে যার ফলে পুষ্টি এবং উপস্থিতির হার বেড়েছে এবং স্কুল ছুট ছাত্রের সংখ্যা কমেছে।
প্রতিটি বিদ্যালয়ে ছেলে ও মেয়েদের জন্যে পৃথক শৌচাগার নির্মিত হয়েছে।
ভূমি সংস্কার, কৃষি, মৎস্য ও পশুপালন
জেলার প্রায় দেড় হাজার যোগ্য ভূমিহীন পরিবারের হাতে জ্ঞনিজ গৃহ নিজ ভূমিঞ্চ প্রকল্পে পা-া তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি বন পাট্টা প্রদান করা হয়েছে।
এই জেলার প্রায় ৯২% কৃষক পরিবারকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। বাকিদের ও খুব দ্রুত কিষান ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হবে।
ফালকাটায় একটি কৃষক বাজার চালু হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি আরও ৫টি কৃষক বাজার নির্মানের কাজ চলছে :-আলিপুরদুয়ার-১, আলিপুরদুয়ার-২, কুমারগ্রাম, কালচিনি ও মাদারিহাটে।
জেলার ফালাকাটায় প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্লক-স্তরের মৎস্য পরীক্ষাগার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার ফলে প্রচুর মৎস্যজীবি এবং তাঁদের পরিবার উপকৃত হয়েছেন।
জেলায় প্রাণী সম্পদ উন্নয়ণ দপ্তর ৭০ হাজারেরও বেশি হাঁস ও মুরগীর বাচ্চা, বিভিন্ন স্বনির্ভর দলের মধ্যে বিতরণ করেছে।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন:
আলিপুরদুয়ার জেলায় বিভিন্ন ব্লকে ১০০ দিনের কাজে ২৪৭ কোটি টাকা ব্যয় করে প্রায় ৭৮ লক্ষ শ্রম দিবস সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৬ সালের মে মাসের মধ্যে বিভিন্ন চালু প্রকল্প রূপায়ণের মাধ্যমে আরও অতিরিক্ত ১৩৩ কোটি টাকা খরচ হবে।
গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ১২৫ কি. মি. রাস্তা নির্মিত হয়ে গেছে। আরও ২২ কি.মি. রাস্তা আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
জেলায় ১৫ হাজারের বেশি ইন্দিরা আবাসন ঘর আগামী মে মাসের মধ্যে নির্মিত হয়ে যাবে।
জেলায় মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে প্রায় ২২ হাজার শৌচালয় নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন :
বিগত দেড় বছরে ১০ হাজারের বেশি সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীকে প্রায় ২ কোটি টাকা স্কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে। আরও সাড়ে ১০ হাজার ছাত্রছাত্রী আগামী মে মাসের মধ্যে স্কলারশিপ পেতে চলেছে।
এছাড়া স্বনির্ভরতার জন্য সংখ্যালঘু যুবক-যুবতীদের সাড়ে ৩ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
MSDP তে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয় করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে বিবিধ প্রকল্প রূপায়িত করা হয়েছে।
MSDP প্রকল্পে কালচিনি ব্লকে ৫টি হেলথ সাব-সেন্টার, ৪৯টি অতিরিক্ত শ্রেণী কক্ষ, ২০টি অঙ্গনওযাড়ী কেন্দ্র ও ২০০টি বাসগৃহ গড়ে তোলা হয়েছে।
অনগ্রসর কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ণ:
প্রায় ৬১ হাজার ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে সহায়তা পাচ্ছে। আরও ৩৭ হাজার ছাত্র-ছাত্রী আগামী মে মাসের মধ্যে প্রকল্পের আওতাভূক্ত হতে চলেছে।
আলিপুরদুয়ার জেলায় বিগত দেড় বছরে, ইতিমধ্যেই ২৫ হাজারেরও বেশি জাতি শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে।
নারী ও শিশু উন্নয়ন:
নবগঠিত আলিপুরদুয়ার জেলায় সাড়ে ৩৩ হাজারেরও বেশি ছাত্রী কন্যাশ্রীর আওতায় এসেছে।
খাদ্য সুরক্ষা কর্মসূচী– খাদ্য সাথী প্রকল্প :
জেলায় প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ ২/- টাকা কেজি দরে খাদ্যশস্য পাচ্ছেন।
চা বাগান :-
রাজ্যের প্রায় ২৮০টি চা বাগানে ১২ লক্ষেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন। বর্তমান সরকার এই সমস্ত অঞ্চলে আবাসন, পানীয় জল সরবরাহ, রেশন, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রভৃতি সহ একাধিক ক্ষেত্রে পরিষেবা প্রদান করে চলেছে।
খাদ্য সুরক্ষা কর্মসূচীতে চা বাগানের প্রতিটি পরিবারের জন্যে আমাদের সরকার প্রতি মাসে ২ টাকা কেজি দরে ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য প্রদান করছে।
এছাড়া প্রত্যেককে মাসিক মাথা পিছু ৭০০ মিলি কেরোসিন তেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সকল যোগ্য শ্রমিককে FAWLOI প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আওতায় প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক মাসে ১৫০০/- টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
১০৬টি চা বাগানে রেশন দোকান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে চালানোর কাজ শুরু হয়েছে।
চা বাগানগুলি থেকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বিনামূল্যে অ্যম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
শিল্প:
জেলায় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের ৩টি ক্লাস্টার গড়ে উঠেছে, এগুলি হল:- কুমারগ্রামে হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার, মাদারীহাট ও বারভিসাতে কাঠের আসবাব তৈরীর ক্লাস্টার।
ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে এই জেলায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ প্রদান করা হয়েছে, আগামী বছর মে মাসের মধ্যে আরও অতিরিক্ত ৫০ কোটি ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হবে।
পূর্ত ও পরিবহন :
বিগত সাড়ে চার বছরে এই জেলায় পূর্ত দপ্তর ৫০টি রাস্তাঘাট, ব্রীজ ইত্যাদি প্রকল্প রূপায়ণের কাজ হাতে নিয়েছে, যার মধ্যে ৩২টি প্রকল্পের কাজ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। বাকি ৯টি প্রকল্পের কাজ আগামী মে মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
জেলার সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জেলায় বিগত সাড়ে চার বছরে ২০০ কিমি রাস্তা নির্মাণ/পুর্ননির্মাণ/সম্প্রসারণ ও উন্নীতকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এশিয়ান হাইওয়ে প্রোজেক্ট-এর অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ সংযোগকারী নেপাল-বাংলাদেশ এশিয়ান হাইওয়ে-২ এবং ভূটান-বাংলাদেশ এশিয়ান হাইওয়ে-৪৮ নির্মানের কাজ চলছে।
বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি :-
সমগ্র আলিপুরদুয়ার জেলায় জ্ঞসবার ঘরে আলোঞ্চ প্রকল্পে ১০০% গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার এর বীরপারা WBSETCL Compound এ নূতন ৩৩/১১ কেভি আলিপুরদুয়ার (দমনপুর) সাবস্টেশন তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৬ কোটি টাকা।
সেচ :
আলিপুরদুয়ার জেলায় ৫০ কিমি দৈর্ঘ্যের বাঁধ সংরক্ষণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরী :
বিগত সাড়ে চার বছরে ১৯টি জলপ্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, এর মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬টির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এর ফলে জেলার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।
আলিপুরদুয়ার ২নং ব্লকের অন্তর্গত লোকনাথপুর, যশোডাঙ্গা এবং মাদারিহাট ব্লকের অন্তর্গত ধুমচি পাড়া চা বাগান, গারগান্ডা চা বাগান, মুজনাই চা বাগান গুলির পানীয়জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।
কালচিনি ব্লকের অন্তর্গত জয়ন্তী নদীর জলকে কাজে লাগিয়ে জয়ন্তী বনবস্তির দুই দশকের পানীয় জল সমস্যা নিরসণ করা গেছে।।
ফালাকাটা ব্লকের অন্তর্গত ছোটোশালকুমার মৌজায় পানীয়জল সরবরাহ প্রকল্পের জলাধার নির্মানের কাজ সম্পূর্ন হয়েছে।
মাদারিহাট ব্লকের অন্তর্গত টোটোপাড়াতে অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের অর্থানুকুল্যে প্রায় ৬০০ ফুট গভীর নলকুপ বসানোর কাজ সফল হয়েছে। মাদারিহাট ব্লকের অন্তর্গত মাকড়াপাড়া জলসরবারাহ প্রকল্পের কাজ চলছে।।এখানে ৬৩০ ফুট গভীর নলকুপ সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয়েছে।
পর্যটন :
এই জেলায়, Dooars Mega Tourism Project এর অর্ন্তগত প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পর কাজ চলছে। রত্নেশ্বর ঝীল, বাকলা, শিকিয়াঝোরা এবং হাসিমারা এই প্রকল্পগুলির প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে।
শ্রম :
এই জেলায়, SASPFUW প্রকল্পে অদ্যাবধি প্রায় ৭৫ হাজার অসংগঠিত কর্মী নথিভুক্ত হয়েছেন।
BOCWA প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশি নির্মান কর্মী নথিভুক্ত হয়েছেন।
অনুরূপভাবে, WBTWSSS প্রকল্পে ৩ হাজারেরও বেশি পরিবহন কর্মী নথিভুক্ত হয়েছেন।
যুবশ্রী প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার জন যুবক-যুবতী উৎসাহ ভাতা পাচ্ছেন।
স্বনির্ভর দল ও স্বনিযুক্তি কর্মসূচী :-
আনন্দধারা প্রকল্পে আড়াই হাজারের বেশি স্বনির্ভর দল গঠিত হয়েছে, আগামী মে মাসের মধ্যে আরও ২ হাজারের বেশি স্বনির্ভর দল গঠিত হতে চলেছে।
বিগত সাড়ে চার বছরে স্বামী বিবেকান্দ স্বনির্ভর কর্মসূচী প্রকল্পে প্রায় ২হাজার উদ্যোগ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ১৫ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
জেলায় আলিপুরদুয়ার-১ ও কালচিনি ব্লকে কর্মতীর্থ নির্মাণের কাজ চলছে।
পুর ও নগরোন্নয়ণ :
নবগঠিত আলিপুরদুয়ার জেলায় মিউনিসিপ্যালিটি ৩০ কোটি টাকারও বেশি পরিকল্পনা খাতে ব্যয় করেছে। শহরাঞ্চলে গরীবদের জন্যে ৪০০ এর বেশি বাসস্থান নির্মিত হয়েছে।
তথ্য ও সংস্কৃতি:
বর্তমানে আলিপুরদুয়ার জেলায় ১২০০ জন লোকশিল্পী রিটেনার ফি ও পেনশন পাচ্ছেন। আরও প্রায় ২৫০ লোকশিল্পী রিটেনার ফি ও পেনশন পেতে চলেছেন।
আবাসন :
আলিপুরদুয়ার জেলায় আর্থিক ভাবে দুর্বল মানুষদের জন্যে গীতাঞ্জলী ও অন্যান্য প্রকল্পে প্রায় ২ হাজার বাসস্থান নির্মিত হচ্ছে, এর মধ্যে প্রায় ১১০০ বাসস্থানের নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়ে গেছে। বাকি বাসস্থান নির্মাণ আগামী মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ :
ক্রীড়ার মান উন্নয়নে জেলায় ৪৭টি ক্লাবকে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে।
জেলায় ২৪টি মাল্টি জিম সেন্টার গড়ে তুলতে ৪৮ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে।