Bengal Govt to set up machinery to convert brackish water into drinkable water

The Bengal Government has decided to set up a Rs 108-crore project in Hasnaban in North 24 Parganas district, on the Ichhamati River, with Israeli machinery, to turn brackish water into drinkable sweet water.

This project by the State Public Health Engineering Department for converting brackish water will be able to convert both river and lake water.

The North 24 Parganas district faces the problem of arsenic in ground water, and the rivers and many of the lakes in the Sundarbans region of the district record brackishness in water at 42 to 45 per cent. Hence, this converting of brackish water will provide a sustainable source of drinking water.

The government already provides drinking water piped from the Hooghly River.

 

নদী পুকুরের লোনা জলকে পানযোগ্য করার নয়া প্রকল্প রাজ্যের

লোনা জলের এলাকা তথা সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের জন্য লোনা জলকে মিষ্টি করার নতুন প্রকল্প রাজ্য সরকার। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য ইজরায়েল থেকে মেশিন আনানো হবে। হাসনাবাদের ইছামতী নদীতে প্রায় ১০৮ কোটি খরচ করে এই প্রকল্প তৈরী করবে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর। পাশাপাশি সুন্দরবন অঞ্চলের পুকুরের লোনা জলকেও মিষ্টি করার জন্য পাইলট প্রোজেক্ট নিয়েছে সরকার। এজন্য জার্মানি থেকে অত্যাধুনিক মেশিন আনানো হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে ভূগর্ভস্থ পানীয় জ্বলে আর্সেনিক ও ফ্লোরাইড থাকার সম্ভাবনা থাকে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আর্সেনিকের পরিমাণও মারাত্বক। বিকল্প পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য গঙ্গা থেকে জল তুলে পরিস্রুত করে ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু, সুন্দরবন অঞ্চলের নদীগুলিতে লোনার পরিমাণ প্রায় ৪২-৪৫ শতাংশ। তাই, ওইভাবে পরিস্রুত করা সম্ভব হয় নি।

হাসনাবাদ জেলায় ওই নতুন প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইলেকট্রিক মোটরেই এই প্রকল্প চালানো হবে। নদীর জলের পাশাপাশি সুন্দরবন অঞ্চলের পুকুরের জলকেও মিষ্টি ও পরিস্রুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি বড় প্রকল্পের থেকে অনেক কম টাকা খরচ করে ছোট ছোট এলাকার জন্য এই নতুন ধরনের প্রকল্প তৈরী করা হবে।

সম্প্রতি সুন্দরবন অঞ্চলের হিঙ্গলগঞ্জের চাড়ালখালি এলাকায় স্থানীয় একটি পুকুরে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর পাইলট প্রোজেক্ট করেছে। জারামানি থেকে মেশিন আনালেও যেহেতু এটি ছোট প্রকল্প, তাই, খরচ হয়েছে ৪৪ লক্ষ টাকা। এই প্রকল্পগুলিতে সোলার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

Source: Bartaman

45 cyclone shelters in the Sunderbans

The Bengal Government is constructing 45 cyclone shelters in the Sunderbans region of North 24 Parganas. These ‘multipurpose cyclone shelters’, as they are called, will protect people not only from cyclones but from all types of natural calamities like earthquakes, floods, etc.

After the competition of these, the district would be getting a total of 65 such shelters. Of the 20 being constructed in the first phase, the work for 19 is over.

These shelters are actually large houses but constructed on elevated platforms to protect from rising water levels.

The 45 would be constructed in the blocks of Hasnabad (five shelters), Hingalganj (nine shelters), Sandeshkhali-1 (12 shelters), Sandeshkhali-2 (15 shelters) and Minakha (four shelters). These five, and Haroa, comprise the Sundarbans region in North 24 Parganas.

Of these six, besides Haroa, the others lie in coastal areas, with the rivers Raimangal, Vidyadhari, Ichhamati, Dansa, Kulti and a few others flowing through them.

 

রাজ্য সুন্দরবন অঞ্চলে আরও ৪৫টি মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার করছে

 

সাইক্লোন, ভূমিকম্প, বন্যা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে দুর্গত মানুষদের আশ্রয় দিতে উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলে আরও ৪৫টি নতুন ‘মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার’ তৈরি করছে রাজ্য সরকার।

এর আগে এই জেলাতেই এই ধরনের ২০টি সেন্টার তৈরি হয়েছে। ফলে, নতুন ৪৫টির কাজ শেষ হলে মোট ৬৫টি মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার হবে এই জেলায়। এর ফলে কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। ইতিমধ্যে প্রতিটি জায়গাতেই কাজ শুরু হয়েছে। এই সেন্টারগুলি জি-প্লাস-টু অর্থাৎ তিনতলা হবে।

চলতি আর্থিক বছরে যে ৪৫টি নতুন মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যে সন্দেশখালি-২নং ব্লকে ১৫টি, সন্দেশখালি-১নং ব্লকে ১২টি, হিঙ্গলগঞ্জে ন’টি, হাসনাবাদে পাঁচটি এবং মিনাখাঁয় চারটি তৈরি হচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তর এই সেন্টার তৈরি করছে।

অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় এইসব সেন্টার তৈরি হচ্ছে। যাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেও সেখানে জল না জমে। প্রথম পর্যায়ের ২০টি সেন্টারের মধ্যে ১৯টির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। একটির কাজ আংশিক বাকি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৫টির কাজ যাতে দ্রুত হয়, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের তরফে তদারকি করা হচ্ছে।

Source: Bartaman