The condition of farmers in Bengal now is a far cry from the Left Front days. Over the last six years, the average annual income of farmers has increased by more than 2.5 times. From Rs 91,011 during financial year (FY) 2010-11, it has become Rs 2,39,123 during 2016-17 – an increase by 2.63 times.
This is the result of Chief Minister Mamata Banerjee’s thrust to the agriculture sector, a sector on which the majority of the people depend. For six years in a row, the latest being in 2017, the Bengal Government has received the Krishi Karman Award for highest production in different crops.
The biggest reason for the success in agriculture is the mapping of the soil introduced by the Trinamool Congress Government. As a result, farmers know exactly what to sow when. Then, the government is regular about buying at from farmers at minimum support price (MSP). It is building more warehouses, which is enabling much higher storage capacities of various crops, and hence higher buying capacities by the government.
Not just that, on Mamata Banerjee’s instructions, compensation is paid promptly to farmers whose crops are affected by natural disasters.
Source: Sangbad Pratidin
বাম আমলের তুলনায় রাজ্যে কৃষকের আয় বেড়েছে আড়াই গুণ
বিগত বাম আমলের তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে কৃষকের আয় আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর্থিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ২০১০-’১১ আর্থিক বছরে একজন কৃষকের বার্ষিক গড় আয় ছিল ৯১ হাজার ১১ টাকা। ছ’বছর বাদে অর্থাৎ ২০১৬-’১৭ সালে সেই কৃষকেরই বার্ষিক গড় আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ১২৩ টাকা।
কৃষকদের আয় বাড়ানোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান লক্ষ্য। সেই কারণেই কৃষিজমিতে বহু ফসলি চাষের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। অনাবাদী জমিতেও চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষিতে বিশেষ জোর দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কৃষকদের বিনা পয়সায় বীজ, সার এবং যন্ত্রপাতি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আবার বাংলার ফসল বিমা যোজনায় কৃষকদের প্রিমিয়াম দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যা আর কোনও রাজ্য করেনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা শুরু হয়েছে। এ বছর বরাদ্দ হয়েছে ১,১৮১ কোটি টাকা। নানাভাবে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে এই সরকার। তার ফলে কৃষকদের আয় বেড়েছে বলে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী দাবি করেন। এই মুহূর্তে রাজ্যে প্রায় ৭১.২৩ লক্ষ কৃষক রয়েছেন, তার মধ্যে ৯৬ শতাংশ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক।
উৎপাদিত পণ্যের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পরপর ছ’বার কৃষিকর্মণ পুরস্কার পেয়েছে রাজ্য সরকার। ধান উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে এই রাজ্য। ডাল, ভুট্টা, তৈলবীজ উৎপাদনে অন্য রাজ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
কৃষকদের আয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যই হল, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন করা। আর সে কারণেই গ্রামীণ পরিকাঠামোকে উন্নত করার জন্য নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাংলার গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে রাস্তার হাল ভালো করা হয়েছে। জমিতে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষিযন্ত্র কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট স্কিম ফর ফার্ম মেকানাইজেশন (এফএসএসএম) প্রকল্প চালু হয়েছে। এমনকী কৃষি যন্ত্র ভাড়া দেওয়ার কেন্দ্র চালু হয়েছে। ওই কেন্দ্র চালুর জন্য কৃষি দপ্তরকে প্রকল্প ব্যয়ের ৪০ শতাংশ অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার।