Bengal Govt to employ ‘jalasathi’ for safety of passengers

To ensure a secure journey, the State Government has decided to employ river security personnel named ‘jajasathi’. Initially they would be employed in 279 jetties.

A few months back, the government created the model standard operating procedure (SOP) for river-going vessels. Lock gates at jetties, compulsory wearing of life jackets for all those boarded on vessels and river security personnel were some of the suggestions.

The primary work of the jalasathis would be to ensure that the model SOP is followed by all. The jalasathis will be armed with identity cards. They would be working in tandem with the local police stations.

Part of the model SOP too is the employment of vessels with government-specified standards. Thirty per cent or Rs 1 lakh, whichever is higher, of the cost of buying the vessels, which are being built by a few government-appointed companies, would be paid by the government.

জলপথে যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবার জলসাথী নিয়োগ করবে রাজ্য

জলপথে যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ঘাটগুলির জন্য ‘মডেল স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ (এসওপি) নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানে সিকিউরিটি লক তৈরি থেকে শুরু করে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যাত্রীদের সুরক্ষায় লাইফ জ্যাকেট পরে পারাপারের কথাও বলা হয়েছিল। এর জন্য অর্থও বরাদ্দ হয়েছে।

এবার ঘাটগুলিতে যাত্রীদের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে আগামী এক মাসের মধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৭৯টি ঘাটে জলসাথী নিযুক্ত করছে রাজ্য সরকার। ঘাটগুলিতে যাতে এসওপি মেনে যাত্রী পারাপার করা হয়, তা দেখাই প্রধান কাজ হবে জলসাথীদের। জলসাথী নিযুক্ত করার জন্য টেন্ডার ডেকে এজেন্সি বাছাইয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রে খবর।

নিগমের এক আধিকারিক বলেন, জলপথের সুরক্ষা বিধি নিয়ে আগে কোনও গাইডলাইন ছিল না। সেই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। তা বাস্তবায়নে টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে। ঘাটগুলিতে যেমন সুরক্ষা বাড়ানো হচ্ছে, তেমনই ভুটভুটির বদলে সুরক্ষিত, বৈধ জলযান নামানোর জন্য জলধারা প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। জলযানের দামের ৩০ শতাংশ বা সর্বাধিক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে এই প্রকল্পে। গতিধারা প্রকল্পের মতোই এই প্রকল্পটিও আগামীদিনে জনপ্রিয় হবে বলে আশাবাদী নিগমের কর্তারা।

দপ্তরের এক কর্তা বলেন, যাত্রীরা যাতে অযথা জেটিতে ভিড় না করেন, যাতে সিকিউরিটি লক ঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, যাত্রীরা সুরক্ষা বিধি মেনে পারাপার করেন, জলসাথীরা তা দেখবেন। ঘাটের সুরক্ষাবিধি দেখার পাশাপাশি জলযানে যাতে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি যাত্রী না চড়েন, তাও দেখতে হবে জলসাথীদের। বেশি যাত্রী একসঙ্গে পারাপার করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। যত সংখ্যক যাত্রীকে ভেসেলে তোলা যায়, ঠিক ততজনকেই ফেরিঘাটের ‘সিকিউরিটি লক’ অতিক্রম করার অনুমোদন দেবেন জলসাথীরা। ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা একযোগে কাজ করবেন। প্রয়োজনে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করবেন।

নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রীর সংখ্যা বিচার করে বড় ঘাটগুলিতে তিনজন করে জলসাথী থাকবেন। তুলনামূলকভাবে ছোট ঘাটে থাকবেন দু’জন করে জলসাথী। এক আধিকারিকের কথায়, জলপথে সুরক্ষা সংক্রান্ত ধারণা তৈরিতে জলসাথীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

Source: Bartaman

State Govt to make life jackets compulsory for passengers travelling on vessels

The State Government is soon going to make rules to ensure that wearing life jackets becomes compulsory for passengers on vessels criss-crossing the Hooghly.

Life-saving jackets have already been started to be handed to passengers at jetties. Another almost 5,000 life jackets are being bought by the State Government to implement the new rules.

The government has also banned the unstable small motor boats (called ‘bhutbhuti’ in Bengali) and is gradually bringing in launches. Twelve launches would be introduced by the first week of December.

Further, from January 1, 2018, every jetty along the Hooghly is going to have two certified and uniformed volunteers called ‘jalasathi’, armed with identity cards, to ensure that rules and regulations are being adhered to. They would be working in tandem with the local police stations.

In related developments, it needs mention that the State Transport Department is implementing a standard operating procedure (SOP) in 362 jetties across Bengal at a cost of Rs 36.2 crore. New RO-RO services are also being launched shortly between Kakdwip and Sagar Island, in time for the Sagar Mela this coming January.

Source: Bartaman

 

ভুটভুটি বা লঞ্চে গঙ্গা পারাপারে লাইফ সেভিং জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক হচ্ছে

এবার গঙ্গাবক্ষে ভুটভুটি বা লঞ্চে পারাপারের সময় লাইফ সেভিং জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সমস্ত ফেরিঘাটে লাইফ সেভিং জ্যাকেট দেওয়া হয়েছে। আরও প্রায় পাঁচ হাজার লাইফ সেভিং জ্যাকেট কেনা হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যেই সেগুলি সমস্ত ফেরিঘাটে দিয়ে দেওয়া হবে। তারপর লাইফ সেভিং জ্যাকেট ছাড়া কাউকে নদী পারাপার করতে দেওয়া হবে না। এছাড়াও ভুটভুটি বন্ধ করতে তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে প্রতিটি ঘাটে দু’জন করে জলসাথি নিয়োগ করা হবে। তাঁদের পরিচয়পত্র থাকবে। তাঁরা নির্দিষ্ট পোশাক ও টুপি পরে থাকবেন। এই জলসাথিরা স্থানীয় থানার সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলবেন। ঘাটের অপারেটররা অনেক সময় বিপদ সত্ত্বেও ফেরি সার্ভিস চালু রাখেন। এছাড়াও বেশি লোক চাপানো হয়। এতে বিপদের আশঙ্কা থাকে। এই জলসাথিরা সেই বিষয়টিতে নজরদারি চালাবেন।

মন্ত্রী আর বলেন, রাজ্যে ৩৬২টি জেটিতে ৩৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিওর শুরু হয়েছে। এতে যাত্রীদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্য আরও বাড়ানো যাবে। এছাড়াও জলপথে নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশও অনেকগুলি পদক্ষেপ নিয়েছে।

গঙ্গাসাগরে মেলার আগে সুন্দরবনের সমস্ত ঘাট পরিদর্শন করা হবে। সেই সময় ওই ঘাটগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। সেগুলির মেরামতের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ওই কাজ কেমন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই সুন্দরবনের ঘাট দেখা হবে। এছাড়াও জলধারা প্রকল্পও জনপ্রিয় করে তুলতে আরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।