Bengal Health Dept to come up with SOP for performing autopsy

In a bizarre practice, the procedures of performing autopsy were starkly different, till date, among different hospitals in Kolkata and that of districts. This system is set for a change as the State Health Department has come up with a set of ‘Standard Operating Procedures’ (SOP) for autopsies. A draft set of guidelines was prepared in 2015.
As per the new guidelines, the process of autopsy that has to be followed will be clearly mentioned. All hospitals – whether in the State capital or in districts – have to follow that. Additionally, the 5-page SOP lists the basic requirements for the morgues – their dimensions, internal environment etc.
Incidentally, for the last three months, autopsy reports in Kolkata are made available online by the Kolkata Police. An OTP is sent to the mobile number of a relative of the deceased, using which they can download it from the police’s website. Measures are being taken to launch this service across the State.

 

 

ময়নাতদন্তের অভিন্ন নিয়ম চালু হতে চলেছে রাজ্যে

 
একই রাজ্য৷ অথচ এতকাল অস্বাভাবিক প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় বাধ্যতামূলক যে ময়নাতদন্ত , তা চলে আসছিল ভিন্ন ভিন্ন নিয়মে৷ শহরের মেডিক্যাল কলেজে এক রকম, জেলায় অন্য রকম৷ এহেন ব্যবস্থাটা বদলাতে চলেছে৷ গোটা রাজ্যে চালু হতে চলেছে ময়নাতদন্তের অভিন্ন নিয়ম, পদ্ধতি৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে ২০১৫ সালে তৈরি হয় প্রথম খসড়া নিয়মাবলি৷
কী থাকবে নয়া নিয়মাবলিতে? প্রথমত, কোন পদ্ধতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করবেন এক জন বিশেষজ্ঞ, সেটা চিহ্নিত করা রয়েছে৷ পাশাপাশি , মর্গের পরিবেশ কেমন হবে , আকার -আয়তন কেমন হবে , তা -ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে ৫ পাতার ‘এসওপি ’তে৷ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও দিশা দেখাতে চলেছে নয়া নিয়মাবলি৷
মাস তিনেক হল , কলকাতার মর্গে হওয়া ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সরাসরি ডাউনলোডের পদ্ধতি চালু হয়েছে৷ মৃতের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের মোবাইল নম্বরে পাঠানো হয় একটি ওটিপি৷ সেই ওটিপি -র সাহায্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখন সরাসরি কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন নিকটজনেরা৷ এই পদ্ধতি যাতে গোটা রাজ্যেই চালু হয় , সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর৷

Bengal Govt to employ ‘jalasathi’ for safety of passengers

To ensure a secure journey, the State Government has decided to employ river security personnel named ‘jajasathi’. Initially they would be employed in 279 jetties.

A few months back, the government created the model standard operating procedure (SOP) for river-going vessels. Lock gates at jetties, compulsory wearing of life jackets for all those boarded on vessels and river security personnel were some of the suggestions.

The primary work of the jalasathis would be to ensure that the model SOP is followed by all. The jalasathis will be armed with identity cards. They would be working in tandem with the local police stations.

Part of the model SOP too is the employment of vessels with government-specified standards. Thirty per cent or Rs 1 lakh, whichever is higher, of the cost of buying the vessels, which are being built by a few government-appointed companies, would be paid by the government.

জলপথে যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবার জলসাথী নিয়োগ করবে রাজ্য

জলপথে যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ঘাটগুলির জন্য ‘মডেল স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ (এসওপি) নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানে সিকিউরিটি লক তৈরি থেকে শুরু করে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যাত্রীদের সুরক্ষায় লাইফ জ্যাকেট পরে পারাপারের কথাও বলা হয়েছিল। এর জন্য অর্থও বরাদ্দ হয়েছে।

এবার ঘাটগুলিতে যাত্রীদের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে আগামী এক মাসের মধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৭৯টি ঘাটে জলসাথী নিযুক্ত করছে রাজ্য সরকার। ঘাটগুলিতে যাতে এসওপি মেনে যাত্রী পারাপার করা হয়, তা দেখাই প্রধান কাজ হবে জলসাথীদের। জলসাথী নিযুক্ত করার জন্য টেন্ডার ডেকে এজেন্সি বাছাইয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রে খবর।

নিগমের এক আধিকারিক বলেন, জলপথের সুরক্ষা বিধি নিয়ে আগে কোনও গাইডলাইন ছিল না। সেই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। তা বাস্তবায়নে টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে। ঘাটগুলিতে যেমন সুরক্ষা বাড়ানো হচ্ছে, তেমনই ভুটভুটির বদলে সুরক্ষিত, বৈধ জলযান নামানোর জন্য জলধারা প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। জলযানের দামের ৩০ শতাংশ বা সর্বাধিক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে এই প্রকল্পে। গতিধারা প্রকল্পের মতোই এই প্রকল্পটিও আগামীদিনে জনপ্রিয় হবে বলে আশাবাদী নিগমের কর্তারা।

দপ্তরের এক কর্তা বলেন, যাত্রীরা যাতে অযথা জেটিতে ভিড় না করেন, যাতে সিকিউরিটি লক ঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, যাত্রীরা সুরক্ষা বিধি মেনে পারাপার করেন, জলসাথীরা তা দেখবেন। ঘাটের সুরক্ষাবিধি দেখার পাশাপাশি জলযানে যাতে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি যাত্রী না চড়েন, তাও দেখতে হবে জলসাথীদের। বেশি যাত্রী একসঙ্গে পারাপার করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। যত সংখ্যক যাত্রীকে ভেসেলে তোলা যায়, ঠিক ততজনকেই ফেরিঘাটের ‘সিকিউরিটি লক’ অতিক্রম করার অনুমোদন দেবেন জলসাথীরা। ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা একযোগে কাজ করবেন। প্রয়োজনে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করবেন।

নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রীর সংখ্যা বিচার করে বড় ঘাটগুলিতে তিনজন করে জলসাথী থাকবেন। তুলনামূলকভাবে ছোট ঘাটে থাকবেন দু’জন করে জলসাথী। এক আধিকারিকের কথায়, জলপথে সুরক্ষা সংক্রান্ত ধারণা তৈরিতে জলসাথীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

Source: Bartaman