Reiterating his stand against the July 1 roll-out of the goods and services tax (GST), West Bengal finance minister, Amit Mitra, on Thursday said the GST hasn’t benefitted either the exporters or the micro, small and medium enterprises (MSME) in the country. Besides, the transition to GST hasn’t been smooth.
“I had repeatedly said to postpone the launch of July 1. What is the impact? It is everyday postponements. They are saying that the Goods and Service Tax Network (GSTN) could not take the load, this is what I had predicted but they did not pay heed to that,” he said during an interactive session with industry body Assocham.
Mitra alleged that the GSTN has to handle around 300-340 crores of up-linking and the government tested it with 200 companies per state, of which 30 per cent “didn’t work well”.
The Mamata Banerjee-led Trinamool Congress (TMC) government is one of the sharpest critics of the July 1 roll-out of the GST. The government’s stance is based on the projection that the MSME segment in particular, which is yet to understand GST, will be hit hard. Also, the state government had questioned the country’s preparedness to meet the July 1 deadline.
“MSMEs are in jeopardy and now I come to know that even exports have been hit. I have asked Union Finance Minister (Arun) Jaitley to produce a white paper and call an emergency meeting. The matter has to be taken up at the GST council. People are desperate,” he added.
The state finance minister also urged industry bodies like Assocham to speak out in case the industry faces difficulties and their associations are unable to voice their concerns on the problems faced in the wake of the GST roll-out. Mitra further, asked the industry body to provide him with inputs so that the ongoing issues can be taken up at the right forum.
জিএসটি নিয়ে শিল্পপতিদেরও সরব হতে বললেন অমিত মিত্র
রাজ্য সরকার নীতিগতভাবে জিএসটি’র পক্ষে। কিন্তু যেভাবে জিএসটি চলছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আদৌ খুশি নন, তা নিয়ে বারবার তিনি সরব হয়েছেন। তাড়াহুড়ো করে এই কর ব্যবস্থা চালু করতে গিয়ে শিল্পমহল বেকায়দায় পড়ছে বলে অভিযোগ এনেছেন রাজ্যের শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও। এবার তিনি শিল্পসভায় এসে এই নিয়ে শিল্পপতিদেরও সরব হতে বললেন। বোঝালেন, জিএসটি’র নামে যা চলছে, তাতে আপনাদেরই ক্ষতি। তবে শিল্পমহলকে এই আরজি জানাতে গিয়ে প্রচ্ছন্নভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচাও দিলেন অমিত মিত্র। শিল্পপতিদের বললেন, আগে যেভাবে আপনারা কোনও বিষয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতে পারতেন বা সরব হতে পারতেন, সেভাবে এখন আর করা যায় না। এখন এই বিষয়ে সরকার অনেক সতর্ক নজরদার। সরকার বলতে তিনি যে নরেন্দ্র মোদির সরকারকেই বিঁধছেন, তা বুঝিয়ে তিনি বলেন, আমি বুঝি এখনকার পরিস্থিতিটা।
সর্বভারতীয় বণিকসভা অ্যাসোচেমের এক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার অমিত মিত্র বলেন, জিএসটি যে একটা বিরাট সমস্যা তৈরি করতে চলেছে, সেই বিষয়ে আমরা সবার আগে সরব হয়েছিলাম। এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, কীভাবে ছোট সংস্থাগুলিকে বিপদে ফেলা হয়েছে। এখন তো দেখা যাচ্ছে যাঁরা রপ্তানি করেন, তাঁরাও বিরাট বিপদে পড়ে গিয়েছেন। এখনও জিএসটি পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। শিল্পের সব কিছুই এখন থমকে আছে। এই নিয়ে জিএসটি কাউন্সিলকে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন অমিতবাবু। তাঁর কথায়, ১ জুলাই থেকে এই করবিধি চালু হয়েছে। কিন্তু তার বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী, তা নিয়ে জিএসটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক হিসাবে কাউন্সিলের কাছে আমরা জানতে চেয়েছি।
জিএসটি’র কারণে ইনসপেক্টররাজ আরও বাড়বে বলে আগেও অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার। এদিনের শিল্পসভায় সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে অমিতবাবু বলেন, শুধু ইনসপেক্টররাজ নয়, এক্ষেত্রে শিল্পপতিদের জেলে পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মন্ত্রীর সাফাই, আমাদের হাতে ভ্যাট থাকার সময় আমরা ছ’বছরে মাত্র দু’টি ক্ষেত্রে কর ফাঁকির বিরুদ্ধে এফআইআর করেছি। কিন্তু একজনকেও জেলে পাঠানো হয়নি। কিন্তু এখানে বলা হয়েছে দু’কোটি টাকার মামলায় জামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি এবং পাঁচ কোটি টাকার মামলায় জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি জুটতে পারে কপালে।
জিএসটি নিয়ে যা চলছে, তার বিরুদ্ধে অ্যাসোচেমকে সরব হতে বলেন অমিতবাবু। অবশ্য এর পাশাপাশি তিনি বলেন, আপনারা এখন তো বেশি কিছু বলতেও পারবেন না। এরপরই অ্যাসোচেমের মহাসচিব ডিএস রাওয়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এর আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তা তো আপনি জানেন। যাঁরাই সরব হবেন, তাঁদের অনুষ্ঠানে মন্ত্রীরা আসবেন না। আগেও সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে সমস্যা হত। সেক্ষেত্রেও হয়তো মন্ত্রীরা রেগে গেলেন। কিন্তু সেই রাগ ১০ দিনে নেমেও যেত। এখন গোটা বিষয়টিকেই দেখা হয় অনেক বেশি নিবিড়ভাবে। ফলে সমস্যা বেশি।