তৃণমূলকে হারানোর ক্ষমতা বিজেপির নেই : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ রায়গঞ্জের করণদিঘী কৃষি মান্ডি মাঠে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে রায়গঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জনসভা | ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ

বাংলার ভোট হলে জবাব আমি দিতাম। বিজেপিকে জবাব দিতে হবে। কারণ, নির্বাচনটা দিল্লির। সরকার বদলে দিন।

একটা কোটিপতির ভোটের দাম যা, একটা বিড়ি শ্রমিকের ভোটেরও তাই দাম। সবাই ভোটটা দিন।

বলেছিল, ১৫ লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেবে। দিয়েছে? বিজেপিকে হারাতে হবে তো! আর কংগ্রেস-সিপিএম বিজেপির দুটো চোখ। তৃণমূলের ভোট কাটা ওদের কাজ।

মিছিলে লোক পাচ্ছে না, আপনাদের ডাকছে। টাকা দিলে নিয়ে নেবেন। কারণ, ওটা চুরির টাকা, পাপের টাকা। আমি মনে করি, নেওয়া উচিত না। কিন্তু আপনার মনে হলে টাকাটা নিন। কিন্তু ভোটের দিন ওদের গেঁথে দিন। মানে ভোটটা তৃণমূলে দিন।

প্রত্যেক দিন কাগজে মিথ্যা কথা বলছে। আমাকেই সহ্য করতে পারে না, ওনার নাকি এখন মহিলা ভোট চাই!

কাকের রায় কা-কা ই হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি।চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে বলছে। চুরি করে টাকা ফেরত দেবে? মন খারাপ করবেন না। হতাশ হবেন না। আপনাদের সঙ্গে থাকব। এই রায় বেআইনি রায়। আমি জাজের কথা বলব না। রায়টা একতরফা হয়েছে। বিজেপির কথায় হয়েছে।

‘তৃণমূলকে হারানোর ক্ষমতা বিজেপির নেই। কারণ, মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের সরানোর ক্ষমতা নেই তোমাদের।

সকালে উঠলে ওনার ছবি। চান করতে গেলে দেখবেন ওখানে ছবি। ঘুমোতে গেলে দেখবেন ওনার ছবি। উনি দেশের প্রধানমন্ত্রী না, প্রচারমন্ত্রী। প্রচারমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন।

বিজেপি যাক, আপনারা চান তো? সার্ভে বিশ্বাস করবেন না। আমাদেরও ২০১৬ সালে হারিযে দিয়েছিল। সারা দেশের লোক ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। দেশটাকে গণতন্ত্রের জেলখানা করে দিয়েছে। মোদী যদি জেতেন, আর নির্বাচন হবে না।

আমরা ৪২ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে। ১১ লক্ষ লোক ডিসেম্বরে ৬০ হাজার টাকা পাবেন। প্রথম কিস্তির টাকা শেষ হলে দ্বিতীয় কিস্তিতে আবার ৬০ হাজার টাকা পাবেন। আমরা করে দেব আবাস। এদের শুধু বিদায় করুন। কেউ আর উদবাস্তু থাকবেন না। সবাই পাট্টা পেয়ে যাবেন।

 

বেআইনি রায়, আমরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছি, আশা রাখুন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ রায়গঞ্জের শিরশি আই এম সিনিয়ার মাদ্রাসা মাঠে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে রায়গঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জনসভা | ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ

নিজে জিতবে না ভাল করে জানে কংগ্রেস, বলছে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। একটা অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। বলছে টাকা নেই। যদিও সমর্থন করি না অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা। তোমাদের টাকার অভাব? তেলঙ্গানায় সোনার খনি। কর্নাটকে তোমরা ক্ষমতায়। হিমাচলে কাদের সরকার? তামিলনাড়ুতে যৌথ ভাবে সরকারে। আমরা একটা রাজ্যে। আমরা করি না বলে আমাদের বদনাম করে।

১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি বিজেপি। মা-বোনদের সাম্মানিক দিল না। আজ বলছে, তিন মাস পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তুলে দেব। এত বড় সাহস? আমার ইচ্ছা হলে অন্য ভাষায় আক্রমণ করতাম। তোমাদের মতো নই। তাকালে মনে হয় কেউটে সাপের আগুন বার হচ্ছে। এমন দল তোমরা। সারা দিন গালাগালি দাও।

রাজবংশী, জনজাতি, সংখ্যালঘুদের জন্য কী করেছ? মণিপুরে গির্জা ভেঙেছো। মন্দির ভেঙে এনআইএকে ডেকে আনো।

এনআরসি নিয়ে দিল্লিতে ক’জন মারা গিয়েছেন, জানেন? নালা লাল হয়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশেও মারা গিয়েছে।

সন্দেশখালির মহিলারা খারাপ রয়েছে বলে কেঁদে বেড়াচ্ছে। গুজরাতের নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন খুন হয়েছে। কী করেছ? কুস্তিগীরের অপমান নিয়ে কী করেছ? সন্দেশখালির ঘটনা পরিকল্পিত রচনা।

বলছে বোমা ফাটাবে। বোমা কী? ২৬ হাজার লোকের চাকরি খেয়ে নিচ্ছে। মানুষের জীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার নাম বোমা। কোর্ট কী রায় দেবে আগে জানলি কী ভাবে? সোমবার রায় দেবে, শনিবার জানলি কী ভাবে? যদি রায় নিজেরা লিখে না দিস?

কার বাড়ি সিবিআই যাবে, আগেই বলছে। কী ভাবে? ওহে গদ্দার, এ বার বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না। কাগজগুলোকে দিয়ে সমীক্ষা করাচ্ছে। মিথ্যা কথা। নিজেদের টাকা দিয়ে পোষে। তাদের দিয়ে সমীক্ষা করে বলছে, টিভিতে দেখাও। বলছে বিজেপি ৫০০ আসন পাবে।

যা পেয়েছিল আগের বার, সর্বোচ্চ পেয়েছিল। এ বার পাবে না। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে অর্ধেক চলে যাবে। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশরা লড়াই করছে। আমাদেরও এক জন রয়েছে ওঁর সঙ্গে।

সিএএ-তে আবেদন না করবেন না। এও জানান, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, রূপশ্রী, সবই দেবে রাজ্য সরকার।

বাংলার ভোট হলে আমরা কৈফিয়ত দেব। এটা মোদীর নির্বাচন। তাই তাঁকে জবাব দিতে হবে। কেন বেকার বেড়েছে। কেন ওষুধের দাম বেড়েছে। কেন এনআরসি, সিএএ, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হয়েছে? আগামী দিনে মোদী এলে কোনও ধর্ম থাকবে না।

ওঁরা রামকৃষ্ণকে মানে না। বাইরে থেকে নিয়ে আসা ধর্ম, পচা শামুকে পা কাটা, সে রকম ধর্ম মানে। বলে মমতাদিদি দুর্গাপুজো করতে দেন না। সেই পুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে।

সম্প্রদায়ের লোককেই টিকিট দিতে হয়। মুর্শিদাবাদে কেউ কি জিজ্ঞেস করে ও হিন্দু না মুসলমান? এখানে কেন জিজ্ঞেস করেন? সেলিম মুর্শিদাবাদ ভোট কাটতে ঢুকেছেন। ও বিজেপির পাখির চোখ।

তাঁর নাকি টাকা নেই। দেব একটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। লোকের থেকে আঁচল পেতে টাকা নিচ্ছেন। সব নিজের কাছে রাখবেন। উত্তর দিনাজপুরে আপনার ফসল চলছে। কোথা থেকে আসছে টাকা?

আমরা যা বলি, তা করি। বিজেপি যা বলে, করে না। ১৫ লক্ষ টাকা কি দেয়েছে? ‘বিজেপি ইতিহাস, ভুগোল ভুলিয়ে দিয়েছে।যাঁরা টাকা দিয়েছেন, আর দেবেন না। ভোট দিন তৃণমূলকে।

পরশু বালুরঘাটে একটা ঘটনা হয়েছে। সীমান্ত থেকে বিএসএফের লোক বেরিয়ে এসে গুলি চালিয়েছে। এফআইআরের কপি পড়েছি। যে গুলি খেয়েছে, হাসপাতালে আছে। আমাদের একটা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামে এসেছে বিএসএফ। বলেছে, বিজেপিকে ভোট দিন। গ্রামের লোক প্রতিবাদ করেছে। গুলি চালিয়েছে। একটি ছেলের গায়ে লেগেছে। তার বাবা, ভাই এফআইআর করেছে। আগে থেকে লিখিয়ে নিচ্ছে, ভোটে কারও মৃত্যু হলে বিএসএফ দায়ী হবে না। কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে মানুষ ভয় পায়নি। আমাদের ভোট দিয়েছে। মোদী বাবুরা ভয় পেয়েছেন। ভাবলেন গেল। ঘাবড়ে গেছেন। এখন উল্টোপাল্টা বকছেন।

আমাদের সাংসদেরা জীবন দিয়ে লড়াই করে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিজেপির কিছু গদ্দার বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করেছে? আমি একটা কথা বলতে চাই, এটা কি বাংলার নির্বাচন যে আমার কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হচ্ছে? এটা দিল্লির নির্বাচন। তাই কৈফিয়তও মোদীকে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে বলে গিয়েছেন মমতাজি করতে দিচ্ছে না। আমি বলছি চোখ খুলে দেখুন। বালুরঘাট বিমানবন্দরের কাজ হয়েছে কি হয়নি? আমরা তো বেলুরঘাট নয়, বালুরঘাটে এসে বলছি। বিমানবন্দর পুরো তৈরি, কিন্তু আপনি বিমান দিচ্ছেন না। তাই চালু হচ্ছে না।

নির্বাচনের সময় যদি আপনি বিমানবন্দর চালু করে দেন, তবে অনেক মানুষের মনে হবে আমাদের প্রেসারে করে দিয়েছেন। আমি আপনার প্রেসার কুকার। আমাকে তো প্রেসার দিতেই হবে।

বিজেপির অনেক টাকা আছে, তা-ই মিথ্যে কথা বলে রোজ কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। অথচ ১০০ দিনের কাজের টাকা নেই। তিন বছর টাকা দিল না গরিব লোকগুলোর।

দূরদর্শনটা দেখেছেন তো? আর কেউ দেখবেন না। ওটাকে দূর করে দিন। একদিন এটা আমাদের গর্ব ছিল। কাল থেকে গেরুয়া করে দিয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার কী করেছে, তা বলতে শুরু করে তবে দিনরাত একাকার হয়ে যাবে। একটা রামায়ণ, একটা মহাভারত, একটা কোরান, একটা বাইবেলে কুলাবে না।

আমাদের সাংসদেরা জীবন দিয়ে লড়াই করে। আর তোমরা তাঁদের পেটাও, তোমরা বাতিল করে দাও। মহুয়া মৈত্র একজন মহিলা সাংসদ, তাঁকে তোমরা বার করে দিয়েছ।

আজ পর্যন্ত সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখিনি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালুরঘাটে তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের প্রচারে অংশগ্রহণ করলেন তিনি। বালুরঘাটে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ :

সময় কম, রোদ, ধুলোর ঝড়, এই অবস্থায় আমারও গলা ভেঙে যাচ্ছে। আপনারা কী ভাবে কষ্ট করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন! অনেক ধন্যবাদ।

এটা বংলার নির্বাচন নয়। দিল্লির নির্বাচন। জবাব চাই জবাব দাও। যখন পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আসে, হাজার বার কৈফিয়ত দেব। জবাব দাও গদ্দাররা।

একটা কাজ করেছ? কী করেছ? আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করেছ। সারা দেশ বিক্রি করেছ। ইতিহাস, ভুগোল বিক্রি করেছ। সময় থাকলে বিস্তারিত বলতে পারতাম।

বলে বোমা ফাটাব। একটা কালিপটকা ফাটিয়ে দেখো। বোমা তোমাদের বিরুদ্ধে ফাটাব। কালো টাকা কোথায় গেল? গদ্দা জবাব দাও। সকলকে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলেছিল। কেউ টাকা পেয়েছেন? কোভিডের ইনজেকশন দিল। তাতেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি।

দূরদর্শন দেখেছেন? মন কি বাত, তিনি নিজেই বলেন। নিজেই শোনেন। কাউকে বলতে দেন না। আজ পর্যন্ত প্রেস মিট করতে দেখিনি ওঁকে। নিজেরাই সাজিয়ে গুছিয়ে সমাজমাধ্যমে বসিয়ে দাও।

দূরদর্শনের রং গেরুয়া হচ্ছে কী ভাবে? রেল স্টেশনের রং কী ভাবে হচ্ছে? আমাদের গর্ব সেনাবাহিনীর বাড়ির রং গেরুয়া হচ্ছে। যাঁরা সাধু হচ্ছেন, তাঁদের অপমান নয়? কাশিতে পুলিশকেও গেরুয়া পরিয়েছেন। কবে বলবে দেখবেন, সকালে গেরুয়া শরবত খেতে হবে। কে কী পরবেন, রং পছন্দ করবেন নিজের বিষয়।

ওরা বলে, আমি এনআরসি করতে না দেওয়ার কে? কোন হরিদাসপাল। আমি বলেছি করতে দেব না। অসমে করেছিল। সেখানে প্রতিবাদ করেছিল একমাত্র তৃণমূল।

টাকা বাঁচাতে তৃণমূলের সব খেয়েদেয়ে এখন বিজেপিতে গেছিস। কার বিরুদ্ধে বোমা? মনে রাখবে উপরের দিকে থুতু ফেললে থুতু নিজের দিকে লাগে। বোমা ফাটালে জবাব হবে কালিপটকা দিয়ে।

সব থেকে বড় ডাকাত বিজেপি। বলে আমরা আবাস করতে দিইনি। ৪২ লক্ষ আবাস করেছি। সত্যি হলে কান মুলে ক্ষমা চাইবেন। সত্যি না হলে মিথ্যে বলবেন। সব পঞ্চায়েত আমাদের নয়। তা সত্ত্বেও সব দেখে ৪২ লক্ষ বাড়ি আগে করেছিয় আরও ১১ লক্ষ বাড়ি করব। কেন্দ্র এই টাকা একা দেয় না। মাছের তেলে মাছ ভাজে। বলে আমরা টাকা খেয়েছি। ৪২ লক্ষ বাড়ি ওরা একা করেছে।

জিজ্ঞেস করুন, হরিদাস গদ্দার। কী ছিলে, কী হয়েছ? আঙুল ফুলে কলাগাছ। কেন বিজেপিতে গেলে? টাকা বাঁচাতে, পরিবার বাঁচাতে। বিজেপি কাল থাকবে না, তোমাদের মতো গদ্দারদের জায়গা দেব না।

ভুলেও এনআরসির আবেদন করবেন না। করলেই বিদেশি করে দেবে।

বিজেপি দেশ বিক্রি করে দিয়েছে। সংবিধান ভেঙে দিয়েছে। আমাদের লোকেরা বুক চিতিয়ে সংসদে লড়াই করে। আপনাদের সাংসদ ঠান্ডা ঘরে ঘুমায়। কোনও কথা বলে না। বলে বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়ো না। যে লোক বলে বাংলাকে বঞ্চিত করো, টাকা দিয়ো না, তাঁদের আপনারা ভোট দেবেন? এঁরা বার বার প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলেছে বাংলাকে টাকা দেবেন না।

মানুষের আর কোনও ক্ষমতা থাকবে না। স্বাধীনতা থাকবে না এরা ক্ষমতায় এলে। এই নির্বাচনকে গুরুত্ব দিন। জলপাইগুড়িতে সিপিএম বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছে, ভোট বিজেপিকে দাও। ফরওয়ার্ড ব্লককে নয়। কংগ্রেস ভোট ভাগ করার জন্য দেখে দেখে দাঁড়িয়েছে। একটা বিজেপির আসন কমলে দিল্লিতে বিজেপির চলে যাওয়া।

কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে পথ আটকালে খবর দেবেন পার্টি অফিসে। আমাদের লোক এসে আপনাদের পৌঁছে দেবে। এই জিনিস কোচবিহারেও হয়েছিল।

 

কেন এত দিন ধরে ভোট? : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মালদহের গাজোলের মহাবিদ্যালয়ের মাঠে আজ জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ উত্তরের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচার করলেন তিনি। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য

কাঠফাটা রোদ। প্রতি বার এই সময়ে ভোট ফেলা হয়। অন্যান্য বার মে মাসের মধ্যে ভোট শেষ হয়ে যায়। এ বার জুন অবধি চলবে। কাকে সুবিধা করিয়ে দেওয়ার জন্য? বিজেপি আসলে মানুষের কষ্ট বোঝে না। ওরা সারা দেশে ঘুরে বেড়াবে, পার্টির হয়ে প্রচার করবে। আমাদের হোটেল ভাড়া করে থাকতে হয়। মোদী প্লেন ব্যবহার করেন। সব সুবিধা নেন।

খগেনবাবু, আপনাকে ভোট দিতাম যদি আপনি বাংলার হয়ে আওয়াজ তুলতেন। কেন ১০০ দিনের কাজ বন্ধ? কেন সংসদে প্রশ্ন তোলেননি? আপনি কোথায় ছিলেন? কংগ্রেস কোথায় ছিল?

বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ নেই। আমি ওই জোট তৈরি করেছিলাম। কিন্তু এখানে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ভাই ভাই। এখানে ওদের কাউকে ভোট দেবেন না।

কোনও সমীক্ষা বিশ্বাস করবেন না। সব বিজেপি টাকা দিয়ে করিয়েছে। বিধানসভায় ২০০টি ভোট পাবে বলেছিল। পায়নি। এ বারও পাবে না।

১০০ দিনের কাজের টাকা ওরা দেয়নি। আটকে রেখেছে। কিন্তু বাংলা ভিক্ষা চাইবে না। যত বেশি সাংসদ আমরা নেব, তত বেশি দিল্লি থেকে কাজ করতে পারব। বাংলার প্রাপ্য আদায় করব। আমরা প্রকল্প চালু করেছি— কর্মশ্রী। এর মাধ্যমে জব কার্ড হোল্ডারদের ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে। কেউ চাইলে ৬০ দিনও করতে পারেন।

আয়ুষ্মান ভারত’ করলে কেন্দ্র অর্ধেক টাকা দিত, বাকি আমাদের দিতে হত। পেত মাত্র ৫০ লাখ মানুষ। স্বাস্থ্যসাথীতে ১০ কোটি মানুষ পরিষেবা পান। কেন ‘আয়ুষ্মান ভারত’ করতে দেব বাংলায়?

পরিযায়ী শ্রমিকেরাও ভোট দিয়ে যাবেন। যাতে দুষ্টুমি করে আপনাদের নাম বাদ দিতে না পারে। আমি কথা দিচ্ছি, সিএএ, এনআরসি এখানে করতে দেব না। এটা হলে সকলে পরিচয়, নাগরিকত্ব হারাবেন। মাছ, মাংস, ডিম খেতে বারণ করছে ওরা। কে কী খাবে নিজের ব্যাপার। কেন ধমকাবেন আপনারা?

প্রসূনকে ভোটটা দিয়ে দেখুন। ও এখানে আপনাদের জন্য পড়ে থাকবে। আপনাদের কথা বলবে। ওকে ভোট দিয়ে দেখুন। আমার আর এক প্রার্থী আছেন শাহনওয়াজ ভাই। ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নামী ছাত্র। সব ছেড়ে এখানে এসেছেন মালদহের মানুষকে ভালবেসে।

 

 

২০০ আসনও পাবে না বিজেপি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার কৃষক বাজার ময়দানে আজ জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানের সমর্থনে প্রচার করলেন তিনি। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য

এই মুর্শিদাবাদেই গদ্দার মীরজাফর বাংলাকে হারিয়ে দিয়েছিল। যারা প্রচুর টাকা করেছে তারাই বিজেপি করে। ওরাই ইডি সিবিআইকে দিয়ে ভয় দেখায়। ১০ বছরে একটা কাজও করেনি বিজেপি।

পরিযায়ী শ্রমিকেরা যাঁরা রমজানে বাড়ি এসেছেন, ভোট না দিয়ে নড়বেন না এক পা-ও। ভোট না দিলে আধার কার্ড থেকে আপনার নাম বাদ দিয়ে দেবে। সিএএ, এনআরসি-তে নাম ঢুকিয়ে দেবে। বাংলায় এনআরসি হতে দেব না।

দরকার হলে না খেয়ে থাকব, তবে বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। জীবন বাজি রেখে বলছি। আমার জীবন থাকতে এনআরসি করতে দেব না।

বাংলায় সিপিএম এবং কংগ্রেস বিজেপির দালালি করে। তাই এখানে ওদের সমর্থন করব না।

আয়ুষ্মান ভারত’ করতে দেব কেন? কারও ঘরে স্কুটার থাকলে টাকা পাওয়া যাবে না। সবাই টাকা পাবে না এতে। আমরা নয় কোটি মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছি। আমরা কেন ওই প্রকল্প করতে দেব?

কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। ৫০ দিনের কাজ করতে পারবেন। কেউ চাইলে ৬০ দিনও করতে পারেন।

আমি মিথ্যা কম বলি। সংসারে শান্তি বজায় রাখার জন্য যেটুকু প্রয়োজন, তার বাইরে মিথ্যা বলি না। রাজনীতিতে এই কারণেই আমি টিকে আছি।

কেউ কেউ বলছে, আমরা ‘ইন্ডিয়া’, আমাদের ভোট দিন। ‘ইন্ডিয়া’ এখানে নেই, ওটা দিল্লির। আমিই তৈরি করেছি। কংগ্রেস, সিপিএম এখানে ‘ইন্ডিয়া’ নয়। ওরা বিজেপি করে। ওদের একটা ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে দু’টো ভোট দেওয়া। একটা ভোটও দেবেন না।

যার বিয়ে সে-ই পুরোহিত— এটা প্রথম দেখছি। কী করে রাজ্যের পুলিশকে পুরো বাদ দিয়ে আপনারা শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাচ্ছেন? যাতে লোকে ভোট দিতে না পারে?

দেশে ২০০টি আসনও পাবে না বিজেপি। সব সমীক্ষা ভুয়ো। লক্ষ লক্ষ টাকা ঢেলে সমীক্ষা করেছে। ওতে কান দেবেন না। মানুষের চোখ বলছে, বিজেপি জিতবে না।

বিজেপি ইডি, সিবিআই, এনআইএ-র ভয় দেখাচ্ছে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ ময়নাগুড়িতে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ড. নির্মল চন্দ্র রায়ের সমর্থনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জনসভা করেন।ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ :

১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি এই বছরেই করব। ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা রিলিজ করব, কথা দিয়ে যাচ্ছি।

যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে তাঁদের বাংলার বাড়ির টাকা পাবেন।

বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দিচ্ছেন। আর ওরা দিল্লিতে গিয়ে টাকা বন্ধ করে দিচ্ছে।

বিজেপি ইডি, সিবিআই, এনআইএ-র ভয় দেখাচ্ছে আর সব বিজেপিতে যাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় চোর কারা। সবচেয়ে বড় চোর তো ওরাই। গরীব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। সবচেয়ে বড় চোর বিজেপি। ১০০ দিনের টাকা লুঠ করছে। পিএম কেয়ার ফান্ডের নামে টাকা লুঠ করছে।

ইয়ং জেনারেশনের কাছে আমি আবেদন করছি, বিজেপি দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছি। দেশটাকে বাঁচান।

রামনবমীর দিন বিজেপি অশান্তি করতে পারে। সংখ্যালঘু ভাইয়েরা অশান্তি বাড়তে দেবেন না।

আমার গাড়ি দেখে ওরা চোর বলছে। আমি কারও পিতৃদেবের টাকায় এক কাপ চাও খায়নি। চাইলে লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন, পেনশন নিতে পারতাম। নিইনা। কারণ আমার দরকার নেই। আমার দরকার মানুষকে। মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। ওদের জিভ টেনে নিতে পারতাম। কিন্তু ভোট বলে কিছু বলিনি। তা ছাড়া আমি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ নই। ওঁরা বলেন বেছে বেছে জেলে পাঠাব। উল্টো ঝুলিয়ে সিধে করে দেব। আমি সেটা বলব না।

 

বিজেপির নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসেন বাংলাকে টাকা দিতে হবে না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার ডিমডিমা চা-বাগানের যাত্রা ময়দানে তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইকের সমর্থনে প্রচারে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জায়গার নাম জানেন না, অথচ প্রচারে এসেছেন বাংলায়। এরা দেশের মানুষের স্বাধীনতা, ধর্ম, অধিকার সব নষ্ট করে দেবে। আপনারা কি চান যে বিজেপি সব কিছু বিক্রি করে দিক?

আমাদের খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন করতে হচ্ছে। তিন মাস ধরে ভোট হচ্ছে। মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা কিছুই বোঝে না ওরা। বিজেপির কিসে সুবিধা হবে, শুধুমাত্র সেটাই দেখা হচ্ছে। বিরোধীদের আওয়াজ কেড়ে নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেউ আওয়াজ করলে জেলে পুরে দেওয়া হয়। যে সব সরকারি আধিকারিকেরা ভাল কাজ করেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ সিবিআই, ইডির চোর অফিসারদের কাজে লাগানো হয়। অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। এ রকম কোনও প্রধানমন্ত্রী দেখিনি

যারা চোর, তারা গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেয়। আমাদের মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে সরিয়ে দেওয়া হল বিজেপির কথায়। এখন মালদহ-মুর্শিদাবাদে যদি হিংসা হয়ে যায়, তা হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। আমি জানি কারা হিংসা সামলাতে পারে। কমিশন বিজেপির কথায় রাজ্য থেকে বেছে বেছে অফিসারদের সরিয়ে নিয়েছে। একটাও হিংসার ঘটনা ঘটলে আমরা আপনাদের ধরব। আমি যদি কৃষকদের জন্য ২৬ দিন অনশন করতে পারি, তা হলে আপনাদের অফিসের সামনেও ৫২ দিন ধর্না দিতে পারি। দেখে নেব, কত জেল আর পুলিশ আছে। কত মারবেন দেখে নেব। আমি লড়তে জানি

আলিপুরদুয়ারের জমির সমস্যা মিটিয়েছি। চা-বাগানের জমির সমস্যাও মিটিয়েছি। নির্বাচনের পর ফালাকাটায় আসব

বিজেপির নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসেন বাংলাকে টাকা দিতে হবে না। ওরা প্রকল্পের টাকা দেয় না। চা-বাগান বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছি। ১০০ দিনের কাজের জন্য কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না

দেশকে রক্ষা করতে হবে। মানুষকে এবং তাঁদের অধিকার বাঁচাতে হবে। মানুষ এই লড়াইয়ে শামিল না হলে বিজেপি দেশকে বিক্রি করে দেবে। ভবিষ্যতে কোনও ভোট হবে না দেশে

বিজেপি সবচেয়ে বড় ডাকাত : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করেন। ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া সমর্থনে প্রচার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য :

আগামী দিনে সারা পৃথিবীর ইতিহাসে কোচবিহারের নাম জ্বলজ্বল করবে। বিজেপি দেখবে, জ্বলবে আর লুচির মতো ফুলবে।

মোদী আগের দিন এখানে এলেন। জলপাইগুড়িতে ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষগুলোর কথা বললেন না। তৃণমূল নাকি দুর্নীতিগ্রস্তদের পার্টি! আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। বিজেপি সবচেয়ে বড় ডাকাত।

ক্ষমতা থাকলে ঘোষণা করুন শ্বেতপত্র। বাংলায় কোথায় কটা দুর্নীতি হয়েছে, কমিশনের রিপোর্ট ঘোষণা করুন। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের কথাও ঘোষণা করুন। বাংলা চোর নয়। চ্যালেঞ্জ করছি।

ইস্তাহারে দেখলেন তো, আমি যা বলেছিলাম তাই হল। আমি আগে বলি, পরে সবাই সেটা বলে। ইউনিফর্ম সিভিল কোড ইস্তাহারে রেখেছে। দেশ তো বেচে দিচ্ছে। তফসিলিদের কোনও পরিচয় থাকবে না। আদিবাসীদের অধিকার থাকবে না।

ওঁরা বলছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোন বাড়াবেন। টাকাই তো দেন না। লোন বাড়াবেন কী করে? আমাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা ৯০ লাখ। স্কুলের পোশাক তারাই তৈরি করে। এই গোষ্ঠীর জন্য আগামী দিনে বড় বাজার তৈরি করে দেব। ওরা নিজে রোজগার করবে।

এখানকার বিজেপি প্রার্থী গুন্ডাদের মাফিয়া। আগের বারের শীতলখুচির মতো আবার গুলি চালিয়ে দেবে। ১৭ তারিখ ওদের হিংসা করার দিন। সকলকে বলছি, গালাগালি দিলেও মাথা ঠান্ডা করে আল্লাকে ডাকবেন। প্ররোচনায় পা দেবেন না। ওরা হিংসা চায়। ভোট চায় না।

আয়ুষ্মান ভারত’ কেন করব? ওই প্রকল্পে কেউ চাকরি করলে, স্কুটার চালালে টাকা পাবেন না। কাটছাঁট করে মাত্র এক কোটি লোক পেতেন। বাকি ১০ কোটি পেতেন না। আমরা দেখি না কার সাইকেল আছে , কার মোটর আছে।

অভিষেকের একটা বৈঠক ছিল। ওর কপ্টারে আয়কর চলে গিয়েছে। সেখানে নাকি সোনা আর টাকা আছে। আমরা ও সব নিয়ে ঘুরি না। ওটা বিজেপি করে। আমাদের কিছু প্রয়োজন হলে মায়ের কাছে আঁচল পেতে দাঁড়াব।

কেন বাংলা থেকে টাকা নিয়ে যান? : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভোটের প্রচারে আবার উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তিনি সভা করলেন জলপাইগুড়িতে। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য

গত ১৩-১৪ দিন ধরে আমি উত্তরবঙ্গেই আছি। এখানেই থাকব এখন। ১৭ তারিখ পর্যন্ত আপাতত আছি। সে দিন অসমে যাব।

তিন মাস ধরে ভোট কখনও শুনেছেন? পাঁচ বছরের সরকার তিন মাস লোকসভা ভোট, তিন মাস বিধানসভা ভোট, এক মাস পঞ্চায়েত। একটা বছর চলে গেল ভোট করতে। তাহলে কাজ হবে কবে?

বিধানসভায় গৌতম দেবকে টিকিট দিয়েছিলেন। ওঁর সভায় উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। কিন্তু ও জিতল না। এটা আমার দুঃখ। কেন বিজেপি জিতল? ওরা এখানে কী করেছে? যদি কিছু দিয়ে থাকে, আমার আপত্তি নেই। কিন্তু কাজ আমরা করেছি।

ভোটের আগে একটা ছোট্ট ‘সন্দেশ’ পেয়েছিল। ওখানে কোনও খুনও হয়নি। যা হয়েছিল, মিটিয়ে দিয়েছি। সব ফিরিয়ে দিয়েছি। আমাদের লোককে আমরা গ্রেফতার করেছি।

আপনারা বলছেন বাংলাকে টাকা দেবেন না। তাহলে আমাদের থেকেও টাকা নেবেন না। কেন বাংলা থেকে টাকা নিয়ে যান? গত পাঁচ বছরে কেন্দ্র বাংলা থেকে জিএসটি বাবদ ৬,৮০,০০০ কোটি টাকা নিয়েছে।

কেন্দ্রে আমরা সরকার গড়তে সাহায্য করব। কিন্তু বাংলায় একটি ভোটও সিপিএম বা কংগ্রেসকে নয়। দেশের ক্ষেত্রে বিষয়টা আমরা আলাদা করে বুঝে নেব। এখানে ওরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে।

আগের বার এসে বলল, ১৫ লাখ অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেব। এক লাখও দিয়েছে? আসলে ওঁদের ফুটো ভাঁড়।

বেঙ্গালুরুতে একটা ঘটনা ঘটল। ওরা বলল বাংলা নিরাপদ নয়। ভুলে গেছে, বেঙ্গালুরু আলাদা বাংলা আলাদা। ওদের বাড়ি কর্নাটকে। দু’ঘণ্টার জন্য মেদিনীপুরে লুকিয়ে ছিল। আমাদের পুলিশ খুঁজে দিয়েছে।