বিজেপির মতো চোর পার্টি একটাও নেই : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ হুগলি লোকসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ

এত রোদের মধ্যে যে ভাবে এসেছেন তা দেখে আমি আপ্লুত। বিজেপিকে হারাতে গেলে একটা একটা সিট খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের অস্তিত্ব থাকবে না। মা-বোনদের সম্মান থাকবে না। চাকরি ভুলে যান

আপনারা জানেন একটি নির্বাচনে রাজনৈতিক দলকে মানুষ ভোট দেয় দায়বদ্ধতা দেখে। আমরা সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালন করি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে দিয়েছি। বিনা পয়সায় রেশন দিচ্ছি। কৃষকদের ১০ হাজার করে দিচ্ছি। না বলেও অনেক কাজ করেছি

‘বিজেপি কোনও কাজ করেনি। জিতলে ১৫ লক্ষ দেবে বলেছিল বিজেপি, কিন্তু দেয়নি। এই সব মোদীর ভাঁওতা। চাকরিও দেওয়া হয়নি ছেলেমেয়েদের। টোটালটাই ভাঁওতা। আমি ওঁর নাম দিয়েছি প্রচার বাবু। নিজের প্রচার ছাড়া কিছু ছায় না। যে কোনও পোশাক পরে ছবি তুলে ফেলবেন। ছবি তুলতে আর প্রচার করতে ভালবাসেন

আয়ুষ্মান কার্ড করতে বলে। কেন করব? আমাকে ৫০ শতাংশ টাকা দিতে হবে। সব জায়গাতে চিকিৎসা পাবে না। সবাই এই কার্ডও পাবে না। তা হলে এই কার্ড কেন করব? মোদী বলছেন ৭০ বছরের পর আমি চিকিৎসা দেব, আপনার নিজের বয়স কত হয়েছে? নির্বাচনের আগে কেন এই কথা বলেননি? নির্বাচনের সময় বললে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙা হয়। মোদী তা ভাঙছেন। আর নির্বাচন কমিশন পুতুলের মতো বসে রয়েছে। মোদী ঘোরাচ্ছে আর ওরা ঘুরছে

নির্বাচন কমিশন এক বারও দেখেছে মানুষের গরমে কত কষ্ট হয়! এক বারও মানুষের কথা ভেবেছে? নিজেরা এসি ঘরে বসে থাকে। বাংলার সঙ্গে অন্যায় করার প্রতিবাদে এক জন নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছিলেন

প্রতিটা কাজে ভাঁওতা দিচ্ছে। কোনও ফোর টোয়েন্টি গ্যারান্টি। রবীন্দ্রনাথকে চেনেন না। ছবি উল্টো করে ধরেছিলেন। আর বিজ্ঞাপনে বলছে যে উনি বাংলার নেতা। বাংলার দুর্ভাগ্য কোনও দিন হবে না। ও রকম নেতাকে কোনও দিন বাংলা গ্রহণ করবে না

বিজেপি দেশটাকে জেলে ভরে দিয়েছে। নিজেরা দেশের টাকা লুট করছে। চোর-ডাকাতদের নিজেদের ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়েছে। বিজেপির মতো চোর পার্টি একটাও নেই। সারা দেশ বুঝতে পারছে চিজ় ক্যায়া হ্যায়। সারা বিশ্ব বুঝতে পারছে কী চলছে দেশে। চার দফায় বিজেপি হারছে। বাকি তিন দফাতেও হারবে। জুমলাবাজি করেও জিততে পারবে না

লক্ষ্মীর ভান্ডারে কেউ হাত লাগালে খুন্তি, হাঁড়ি, কড়ার খেলা হবে। জানে না বাংলা অন্য রকম। মা-বোনেরা জোট বাঁধলে ওদের বদলে দিতে বেশি সময় লাগবে না

 

দেখতে হবে, দেশ যাতে বিক্রি না হয়, মায়ের অসম্মান যাতে না হয় : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের হয়ে প্রচার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ

নোয়াপাড়ার খুব প্রিয় ছেলে ছিলেন বিকাশ বোস। আমি তখন যুব কংগ্রেসে। তিনিও ছিলেন। পুরো মৃত্যুকাণ্ড চাপা দেওয়া হয়। সিপিএম আমল। নাম বলব না। আপনারা গেস করুন। কে করেছিল। সিপিএম আমলে অনেকে বেঁচেছিল। এখন বিজেপি আমলে সাত খুন মাফ অ্যাডজাস্ট করলেই। বিজেপি ওয়াশিং মেশিলে কালোরা সাদা হয়ে বেরিয়ে আসছে

এত দিন রাজনীতি করছি। এত দিন ইছাপুরে সব বন্দুক তৈরি হত। আজ অর্ডার পায় না। কারণ, ইছাপুর গান শেল ফ্যাক্টরির অর্ডার কেড়ে ইজরায়েলকে দিয়েছে। বা অন্য কোনও দেশকে। কারণ, ‘বিশ্বগুরু’ হবেন তিনি। ‘বিশ্বগুরু’ এক জনকেই চিনি। তিনি কবিগুরু

এখানকার প্রার্থীর নামের বিষয়ে কথা বলতে চাই না। ছেলেকে দিয়ে উল্টো ছবি কেন দিলেন? রবীন্দ্রনাথের ছবিটাও চেনা যায় না? বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দিতে হয়, রবীন্দ্রনাথের ছবি উল্টে দিতে হয়? সোজা করে দিতে পারেন না? ছবি যখন দেয়, বলে ‘মোদীজি জিন্দাবাদ’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জিন্দাবাদ বলে না

রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান শান্তিনিকেতন বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এটা নতুন নয়। সকলে জানেন, বাংলার সংস্কৃতি ওরা জানে না। আমরা কিন্তু দেশের সংস্কৃতি জানি। আমরা বলি, এ মাটি আমাদের গর্ব

আমরা বাংলা, পথ দেখাব। আগামী দিনে জেনে রাখবেন, মোদীর গ্যারান্টি আসছে না। ছোট্ট করে বলি, যাতে বোর না হন। এটা আমাদের ভোট নয়। ২০২১ সালের ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিনামূল্যে রেশন, স্মার্টকার্ড করেছি। সবুজসাথী ম্যানিফেস্টোয় ছিল না। তবু দিই। কথা দিয়ে কথা না রাখলে আগেই মৃত্যু হবে আমার। যতটা পারব, ততটাই বলব। আমার জীবন কথার ভান্ডার

বিজেপি কী বলে ভোট চাইছে? ১০ বছর আগে বলেছিল, ১৫ লাখ টাকা দেবে। পেয়েছেন? ২ কোটি লোককে চাকরি দেবে বলেছিল। পেয়েছেন? রান্নার গ্যাস পেয়েছেন? মোদী গ্যারান্টি ফোর টোয়েন্টি। বিনামূল্যে নাকি রেশন, জল দিচ্ছেন। পেয়েছেন? আমার নামটা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মনে আসে। কারণ, ভয় দেখালে আমি একমাত্র ভয় পাই না

নিজের কথা বলা উচিত না। তখন জ্যোতি বসুর রাজত্ব। প্রায় চুল কাটাতে যেতেন। মানুদা গল্প করেছিলেন। জ্যোতিবাবুর নাপিত কানের কাছে বলতেন, মমতা। চুল খাড়া হয়ে যেত জ্যোতিবাবুর। চুল কেটে দিতেন নাপিত। মানুদা বলতেন সেই গল্প। মোদীর এখন এক হাল। আমার নাম নেয়

বিনা পয়সায় গ্যাস কি পাচ্ছেন? না। তা হলে সব গেলে থাকল কী? এখন বলে বোমা ফাটাব। কী ফাটাল? নাকি ২৬ হাজার জনের চাকরি খেল। চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোসাঁই

গত বছরের লোকসভা নির্বাচন মনে আছে? দাঙ্গা লাগিয়েছিল। আমি ছুটে এসেছিলাম। আমায় গালাগাল দিয়েছিল। আমি থামিনি। সব পার্টি অফিস রং করিয়েছি। সব জায়গায় একা ঘুরে বেড়িয়েছি। আয়, কত ক্ষমতা আছে? আমি একা লড়তে পারি

এক জন স্বজন আছে। জেলে বসে খুনের পরিকল্পনা করে। যেমন বিকাশকে করেছিল। এদের ছুঁতে নেই। আমাদের সঙ্গে ছিল। মাঝে এসেছিল, ভেবেছিলাম বদলেছিল। ময়লা যায় না ধুলে, কয়লা যায় না মলে। বলছে আমরা চোর। এত বিজ্ঞাপন দিচ্ছিস কী করে? সকাল থেকে মোদীর মুখ আর প্রচার। এ দিকে ১০০ দিনের লোকের টাকা নেই। আমরা দেব। ভাটপাড়া মিল আমরা খুলিয়েছি

ইছাপুর কারখানা বন্ধ করে দেশের বরাত কেন বিদেশে দিয়েছ? সৌধ, রাস্তাঘাট, জল করেছি। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ছয় লেনের করা হয়েছে। ডানকুনি থেকে কল্যাণী পর্যন্ত ইকোনমিক করিডোর হচ্ছে। বলে, ওরা এমস করেছি। আমরা ১৮০ একর জমি দিয়েছি বিনামূল্যে। ওরা কি বলে? বলে না। এই জলে আমরাও টাকা দিই। বলে না

মাছের তেলে মাছ ভাজা হচ্ছে। আমরা গত ২ বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কেন্দ্র টাকা দেয়নি। ওদের ভাগের ১২ হাজার কোটি টাকা দেয়নি। আমরা দিয়েছি ওদের ভাগের টাকা। মোদীর ছবি কেন থাকবে?

মোদী এসে বলেন, ‘মাছ খাবেন না।’ যে যা ভালবাসে, তাই খাবে। চিংড়ি পটল, চিংড়ি মালাইকারি, যার যা ইচ্ছা খাবে। মোদীবাবু আপনি খেয়ে দেখুন না স্বাদটা কেমন? কথা দিচ্ছি, কাউকে দিয়ে করাব না, নিজে রান্না করব। ছোট থেকে রান্না করি। আপনি যদি বলেন ধোকলা খেতে, খাব। আমি খেয়েছি। গুজরাতে পাওয়া যায়। আমার কাছে জাতপাত বলে কিছু নেই। আসল মানুষ

বলছে, ‘ইস বার ৪০০ পার’। আমি বলি পগারপার। এ বার ইন্ডিয়া জোট জিতবে। রাজ্যে শুধু তৃণমূলকে ভোট দেবেন। সিপিএমকে ভুলেও নয়। ওরা যা করেছিল। আর নয়

হাজার টাকার বিনিময়ে মায়েদের দিয়ে যা ইচ্ছা লিখিয়ে নিচ্ছে। সন্দেশখালি মোদীর জঘন্য কেলেঙ্কারি। মনে রাখবেন, এ জিনিস যেন না হয়। বাংলা এ সব বরদাস্ত করে না। আমাদের ভাই-বোনেরা একে অপরকে সম্মান করে। যদি কোথাও কোনও ঘটনা ঘটে, আমরা ব্যবস্থা নিই। যদি দাঙ্গা না চান, একটি ভোটও নয় বিজেপিকে। ভোট চলছে। গরমে ভোটের হার একটু কম। যাঁর যাঁর ভোট নিজে দেবেন, যাতে ভোটার তালিকায় নামটা থাকে। ভোট গণতান্ত্রিক অধিকার

পার্থকে আপনারা সকলে চেনেন? ওঁকে ভোট দেবেন। ও রাজ্যের মন্ত্রী। কিন্তু ও বলেছে, আমার মন্ত্রিত্ব চাই না। মানুষের হয়ে কাজ করতে চাই। সংসদে তাঁদের কথা তুলে ধরতে চাই

 

 

তুমি ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করেছ, কিন্তু আমি চালু করেছি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে উলুবেড়িয়ায় জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ

আমরা যা কথা দিই তা রাখি। বিনামূল্যে রেশন, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্মার্ট কার্ড— এই ধরনের যা কথা দিয়েছি, তা রেখেছি। কিন্তু মোদী কিছু করে না। শুধু মিথ্য়া কথা বলে, কুৎসা রটায়

সব জায়গায় মোদীর ছবি। নিজেকে প্রচার করতে উনি যে এত ভালবাসেন! এ তো পিসি সরকারের ম্যাজিককেও হারিয়ে দেবে

বিজেপি করলে সিবিআই, আয়কর, ইডি কেউ যাবে না। চোরেদের নেতা বিজেপির নেতারা

তুমি ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করেছ, কিন্তু আমি চালু করেছি। ৫০ দিনের কাজ পাবেন জব হোল্ডাররা। দরকার হলে আরও ১০ দিন পাবে

বাংলা চোর আর উত্তরপ্রদেশ সাধু? বাংলা চোর নয়, সবচেয়ে বড় চোর বিজেপির রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, বিহার। তোমাদের ফাইল খুললে বুঝবে, গ্যারান্টি নয় ফোর টোয়েন্টি

যাঁদের চাকরি দিচ্ছি, তাঁদের চাকরি খেয়ে নিচ্ছে। একটা করে কেস করছে। সব শিক্ষার্থীদের পাশে আমরা আছি। আপনাদের সকলকে বলব পাশে থাকার জন্য। কিছু করতে পারবে না। বলেছিল বোমা ফাটাবে, কী করল ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিল। কী স্পর্ধা

সন্দেশখালি নিয়ে চক্রান্ত করল। মা-বোনেরা জানেনও তাঁদের হাত দিয়ে কী লিখিয়েছে। তাঁদের দিয়ে লিখিয়ে চক্রান্ত করেছে

আমাকে রাজভবনে ডাকলে আর যাব না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ সপ্তগ্রামে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ

মাননীয় রাজ্যপাল, আমার কী দোষ আপনি বলুন? আমি তো জানিই না ঘটনা পুরো। আমাকে বলছেন, দিদিগিরি চলবে না। আপনি ইস্তফাটা কবে দেবেন? এক জন মহিলার উপর অত্যাচার করার আপনি কে?

ভয় পাবেন না, কপিটা আমার কাছে আছে। আমি রেখেছি। যেটা এডিট করেছেন সেটাও আমার কাছে আছে। এখনও তো সব বেরোয়নি। আর একটা পেন ড্রাইভ আমি পেলাম।আমাকে রাজভবনে ডাকলে আর যাব না। রাস্তায় ডাকবে, রাস্তায় গিয়ে দেখা করে আসব। যা কীর্তি শুনছি, আপনার পাশে বসাও পাপ

ফোন করে আমাদের নেতাকে বলেছে, যদি বসে না যাস তা হলে ভোটের পর দেখে নেব। তৃণমূল কাউকে ভয় পায় না। ৩৪ বছর লড়াই করে সিপিএমকে যদি ছুড়ে ফেলতে পারি, তা হলে আপনাকেও ভারতবর্ষ থেকে ছুড়ে ফেলে দেব, এটা মাথায় রাখবেন।

রচনা ভোটে দাঁড়াতে চাইছিল না। আমাকে বলেছিল, দিদি আমি কোনও দিন রাজনীতি করিনি। আমি ওকে বলি, আমরা কেউই বুঝতাম না। মানুষের কাজ করাই হল আসল কথা। আর এখানে দাঁড়ালে তোমার সুবিধাই হবে। দিদি নম্বর ওয়ানে আরও অনেক কিছু করতে পারবে। রচনাকে রাজি যখন করালাম, আপনারা কি ওকে ভোটটা দেবেন না?’

তৃতীয় দফার পর তো চোখ ফেটে জল বেরিয়ে এসেছে। আরও দেখতে থাকুন।

সন্দেশখালিতে কী হয়েছিল, আপনারা সবাই দেখেছেন ওখানে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। একটা মেয়ের আত্মসম্মান চলে গেলে আর ফিরে আসে না। সে জানেও না, তাকে দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা আগেকার দিনে হত। বেচারা জানতেই পারত না।

বলছে, লক্ষ্মীর ভান্ডার তুলে দেব। আমি বলি, হাতটা দিয়ে দেখো, তার পর কী করি… সারা জীবন আমি কম মার খাইনি। কিন্তু আমাকে ধমকে, চমকে কাজ হবে না। আপনি যদি চমকে বলেন, এটা করতে হবে, ঠাসিয়ে দুটো চড় মারব। আমি ঘরেও শাসন করি, বাইরেও করতে পারি।

 

ভোটের মাধ্যমে সন্দেশখালির বদলা হবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের সমর্থনে সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগের কালীপুর মাঠে তাঁর সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ

‘সিপিএমের হার্মাদেরাই এখন বিজেপির হার্মাদ হয়েছে। আমার থেকে ভাল ওদের আর কেউ চেনে না। গড়বেতা থেকে আরামবাগ পর্যন্ত সিপিএম মাটির নীচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রেখেছিল। মানুষ খুন করে সেখানে ফেলে দিত। আর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যেত না

আমাদের কেউ বদমায়েশি করলে আমি থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দিতে পারি। বিজেপি সেটা করবে না। সিপিএমের হার্মাদ এখন বিজেপি হয়ে গিয়েছে। টাকা দিয়ে ভোট কিনছে

মিতালি বাগদি সম্প্রদায়ের মেয়ে। উচ্চশিক্ষা করেছে। অনেকে বলেন, বাগদি বাউড়িরা টিকিট পান না। আমরা ওঁকে টিকিট দিয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছি

ওঁর নাম আমি দিয়েছি প্রচারমন্ত্রী। ঘুম থেকে উঠলে, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সর্বত্র ওঁর ছবি। শুধু নিজের প্রচার করতে ভালবাসেন

সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিলের স্থগিতাদেশ নিয়ে মমতা বলেন, বিজেপি চাকরিখেকো বাঘ। ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিল। বেতন ফেরত দিতে বলল। আমি সে দিন থেকে বলেছিলাম, চিন্তা করবেন না। পাশে আছি। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে মিছিল করছিলাম। মনটা পড়ে ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কী রায় হয় তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। রায় শুনে মনটা স্নিগ্ধ, তৃপ্ত হয়ে গেল। এরা মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়। এরা মানুষ নয়, দানব

এর আগে কেউ ভুল করে থাকলে, আমরা ভুল শুধরে নিয়েছি। এই কেন্দ্রে আমরা এ বার নতুন প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছি। মিতালি প্রান্তিক ঘরের মেয়ে। ওঁকে জেতান

দেখলেন তো সন্দেশখালিতে কেমন টাকার খেলা হয়েছে? মা, বোনেদের সম্মান চলে গেলে তা কি টাকা দিয়ে ফেরত আসে? এর বদলা চাই। ভোটের মাধ্যমে সন্দেশখালির বদলা হবে

 

বাংলার সব ক’টি লোকসভা আসনে ‘খেলা হবে’ : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের সমর্থনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষ্ণুপুরের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ

বিজেপি যেটা বলে সেটা করে না। আমরা যেটা বলি, সেটা করি। আমরা বলেছি এনআরসি করতে দেব না। দিইনি। মরে যাব। তা-ও দেব না। সিএএ করতে দিয়েছি? দেব না। এখন ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে এসেছে, যাতে তফসিলিরা অস্তিত্ব হারায়। আমরাও অস্তিত্ব হারাই। আর মোদী একা লাঠি ঘুরিয়ে বেড়াবে

মোদী ম্যাজিক শেষ। মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও। এটাই স্লোগান হওয়া উচিত

বাংলার সব ক’টি লোকসভা আসনে ‘খেলা হবে’।মোদীবাবুকে বিদায় দেওয়ার খেলা হবে। ভোটটা এ বার তৃণমূলকে দিতেই হবে

প্রায় দেড় মাস বাড়ির বাইরে আছি। বলতে গেলে, কথা বলার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলছি চিৎকার করতে করতে। তাই মলয়কে (মন্ত্রী মলয় ঘটক) বলছি, তুমি উন্নয়নের কথাগুলো তুলে ধরো। আর মা, বোন এবং ভাইদের সান্ত্বনা দিয়ে বলছি, জেনে রাখবেন, বাঁকুড়া, রঘুনাথপুর জুড়ে দেড় লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। তার কারণ, আমরা ডানকুনি থেকে বড়জোড়া ইকনমিক করিডর তৈরি করছি। পানাগড়, বাঁকুড়া হয়ে রঘুনাথপুর যাবে। দয়া করে আর বাইরে কেউ যাবেন না।

জোড়াফুল আপনাকে এনআরসি, ‘ক্যা’ থেকে রক্ষা করবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের দলীয় প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে প্রচার করতে যান। সাঁইথিয়ার মেলার মাঠে এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। ওখানে ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ

বীরভূম, বর্ধমান আমাদের শস্যভাণ্ডার। আপনারা আমাদের শস্য দেন, তাই দিয়ে আমরা জীবনধারণ করি। আগামী দিনে ডেউচা-পাঁচামিতে এক লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। কোনও ঘরে বেকার থাকবে না। এটা আপনাদের গর্ব

বিনা পয়সা শস্য়বিমা আমরা দিই। কেন্দ্রীয় সরকার দেয় না। সারা দেশটাকে লুট করে দিয়েছে মোদী সরকার। আমি বললে দোষ হবে। যখন অর্থমন্ত্রীর স্বামী দাঁড়িয়ে বলেন, দেশ লুট হয়ে গেল, দেশে আর কোনও দিন ভোট হবে না যদি মোদী আবার আসে। নোটবন্দির সময় জনগণের টাকা লুট করেছে। সব লুট করেছে

আমি সেই কথাই বলি, যা আমি রাখতে পারব। যে কথা রাখতে পারব না, তা আমার মুখ দিয়ে বলানো যাবে না। আমাকে দেখতে হয় আমার কাছে টাকা আছে কি না। দিল্লি তো সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের ১ কোটি ৭৪ লক্ষ বকেয়া। সব বন্ধ

ন’কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় চাল দিতে গেলে বছরে ৩২ কোটি টাকা লাগে। এই সব টাকা আমরা দিয়েছি। দু’বছর ধরে একটা টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। ভেবেছিল আমরা রেশনটা বন্ধ করে দেব, কিন্তু আমরা তা করিনি

তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ করতে দেয় না বাংলাকে। তা সত্ত্বেও আমরা নিজেদের ক্ষমতার জোরে একটা কর্মশ্রী প্রকল্প করছি। যেখানে জব কার্ড হোল্ডাররা বছরে ৫০ দিনের কাজ পাবেন। সব টাকা আমরা দেব

মোদিরা যা বলেছিল, কিচ্ছু করেনি। দু’কোটি ছেলেমেয়েকে চাকরি দেবে বলেছিল, কিন্তু চাকরি তো দেয়ইনি, উল্টে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। উপরন্তু আমাদের ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি ওরা কোর্টে কেস করে খেয়ে নিয়েছে। আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে আছি

সন্দেশখালিতে কী ভাবে প্ল্যান করে মেয়েদের অসম্মান করেছে, দেখেছেন তো? ওরা জানে না, মেয়েদের কাছে টাকাটা বড় কথা নয়। তাঁদের কাছে আত্মসম্মান, মেয়েদের গরিমা— এটার সম্মান অনেক বেশি। নির্বাচনে জিততে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছে। বেশি চক্রান্ত কোরো না, এক দিন ফাঁস হবেই

সিএএ, এনআরসি, ইউনিফর্ম সিভিল কোড করতে দেব না। দরকার হলে জীবন দেব, কিন্তু বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করব না

জোড়াফুল আপনাকে এনআরসি, ‘ক্যা’ থেকে রক্ষা করবে

মায়ের আত্মসম্মান চলে গেলে, তা ফিরে পাওয়া যায় না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিতকুমার মালের সমর্থনে এই প্রচার সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ

আমি আজকে মা ফুল্লরার মাটিতে দাঁড়িয়ে। কঙ্কালীতলায় আমি নিজেই মাঝেমাঝে চলে যেতাম। আমি দেখতাম, একটা ছোট্ট পুকুর আছে। আমার এখনও কয়েকটা জায়গায় যাওয়া হয়নি। চাকাইপুর আমার পিতৃভূমি। তবে আমার এখনও সেখানে যাওয়া হয়নি। আমি কুসম্বা গ্রামে জন্মেছি। সেখানে অনেক বার গিয়েছি। চাকাইপুরে আমাদের অনেক দেবোত্তর সম্পত্তিও ছিল। সেগুলি বাবা আমার জ্যাঠামশাইয়ের ছেলেদের দিয়ে দিয়েছি। ওঁরাই সেটা দেখাশোনা করেন

বীরভূমে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমি মনে করি, কেষ্ট আজ জেলে থাকলেও এই ছেলেটাই জেলার উন্নয়নকে হাতের মুঠোয় রেখে কাজ করত। তাই পর পর চারটে সেতু করেছি আমরা। বিজেপি সাজিয়ে-গুছিয়ে কেস করেছে। তাতে কী এক দিন না এক দিন তো বেরোবেই

সন্দেশখালির কথা আপনারা কেউ ভাবতে পেরেছিলেন? প্রধানমন্ত্রী এসে কত কাঁদছেন। কিন্তু ঘটনাটা কী ভাবে সাজিয়েছিল, এক বারও কেউ বুঝতে পেরেছিলেন? সন্দেশখালি কী ভাবে টাকা দিয়ে সাজানো হয়েছিল? আমি বিজেপিকে বলব, টাকা দিলে টাকা পাওয়া যায়, কিন্তু মায়ের আত্মসম্মান চলে গেলে, তা ফিরে পাওয়া যায় না

রোজ কাগজে এখন বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। কিন্তু তিন বছর ধরে একশো দিনের টাকা কেন দেননি? বার বার কেন্দ্রীয় টিম পাঠাচ্ছেন। আমি বলেছিলাম বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের আর বাংলার রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ্যে আনতে। কিন্তু আপনারা জানতেন এখানে কিছু হয়নি

মোদীর দল, ক্ষমতা থাকলে আমার আর অভিষেকের নাম নিয়ে বিজ্ঞাপন করো। আমি দেখতে চাই কত বড় বুকের পাটা

বিজেপি কয়লা মাফিয়া। ওদের মন্ত্রীরা টাকা খান। গরু আমাদের বিষয় নয়, ওটা বিএসএফ দেখে

মিথ্যে নাটক করতে করতে, ফেক ভিডিয়ো বানাতে বানাতে বিজেপি স্পর্ধা বেড়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির কালি ঢাকতে, এখন তৃণমূলের ঘরে কালি ঢালার চেষ্টা করছে

বিজেপি বলছে এই ওসিটাকে চেঞ্জ করতে, করে দিচ্ছে। ডিআইজি পাল্টে দিচ্ছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যা করতে বলছে, তাই করছে। এটা নির্বাচন কমিশন? তিন জনই বিজেপির কোলের সন্তান

আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই, ক্রিকেট ম্যাচ সব গুজরাতে কেন হয়? সারা ভারতবর্ষে কেন হয় না?

অমর্ত্য সেনকে জমিহারা করে দিতে চেয়েছিল। সে দিন আমরা সবাই রুখে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বিশ্বভারতীর ভিসি কী করেছিলেন সে দিন? বীরভূমের বদনাম করে দিয়েছিলেন

কেষ্ট কে ধরে রেখেছে কেন? নির্বাচনের জন্য। ওকে বলেছে তুমি বিজেপিকে মদত করে দাও, তোমায় ছেড়ে দেব। দেখবেন বীরভূমের ভোট হয়ে যাবে, কেষ্টও ছাড়া পেয়ে যাবে

 

নরেন্দ্র মোদী ফুটো ভাঁড় : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ রানাঘাট লোকসভায় জোড়া প্রচারসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুটমণি অধিকারী সমর্থনে শনিবার বীরনগরে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ

যা কথা দিয়েছি, সবই রেখেছি। কন্যাশ্রী, পড়ুয়াদের ভাতা নিয়ে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, পালন করা হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘তাঁতিদের ভাসবাসি। চারদিকে তাঁতিদের রমরমা। তাঁতিদের জন্য প্রকল্প করেছি। বাংলার সব ব্লকে বাংলার শাড়ির দোকান খুলব। তাঁতিদের হাতে বোনা শাড়ি বিক্রি হবে সেখানে

নবদ্বীপকে হেরিটেজ টাউন করা হয়েছে। কৃষ্ণনগরে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণীতে এডুকেশন হাব করেছি। যদিও বলার কথা ছিল না। তা-ও বলছি। মায়াপুরে ইসকনকে ৭০০ একর জমি দিয়েছি। তীর্থ শহর গড়ে উঠছে। মসলিন তীর্থ, সরতীর্থ হচ্ছে। নবদ্বীপে তাঁতের হাট তৈরি হচ্ছে

আগামী দিন বাংলায় কেউ উদ্বাস্তু থাকবেন না। আগামী দিনে সকলে জমির দলিল পাবেন। রানাঘাটে ২৭টি কলোনিকে জমির দলিল দেওয়া হয়েছে

আমরা যা বলি তা-ই করি। এটা আমাদের নির্বাচন নয়। দিল্লির নির্বাচন। মোদী সরকারকে আর আনবেন না

সন্দেশখালি নিয়ে ভাল নাটক তৈরি করেছিলেন। আসল তত্ত্ব ফাঁস। অনেক দিন ধরে বলছিলাম, এটা পরিকল্পনা, বিজেপির তৈরি করা নাটক। ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আমি ডিটেলস দেখিনি। নিশ্চয়ই দেখব

কেন্দ্রের প্রতিনিধি মাননীয় রাজ্যপাল। দেখছেন কীর্তি- কারখানা! রাজভবনের কর্মীদের সঙ্গে কী করছেন! মেয়েদের ডেকে কী করছেন! তাঁর বাড়িতে রাতযাপন করে প্রধানমন্ত্রী চলে গেলেন। যিনি সন্দেশখালি নিয়ে বড় বড় সন্দেশ দেন, কই, কিছু তো সন্দেশ দিলেন না

মতুয়াদের ঠকিয়ে চলেছেন। ২০১৪ সালে বলল, মতুয়া ভোট দাও, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেব। ২০১৯-এও বলল। ২০২১ সালেও বলল। এখন বলল ভোট দাও, ক্যা (সিএএ) করে দেব। কেউ যায়নি। যে যাবে, সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি করে দেবে। লজ্জা থাকলে বলতাম দড়ি-কলসি দিলাম, জল তুলে নিয়ে এসো

বড়মা মারা গিয়েছেন ক’বছর আগে। যখন অসুস্থ হতেন, ছাত্র-যুব রাজনীতির সময় থেকে আমি নিয়ে যেতাম হাসপাতালে। বালু (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) গিয়ে বলত, দিদি বড়মা অসুস্থ। আমি বলতাম বেলভিউতে ভর্তি কর। কেউ খোঁজ রাখত না

আমার প্রতি বিশ্বাস রয়েছে? তা হলে আপনাদের কেউ তাড়াতে পারবে না। অসমে যা হয়েছে, বাংলায় হবে না। তাই আমার উপর রাগ দেখায়। টাকা বন্ধ করে। আমার কিছু যায়-আসে না। আমরা সকলে নাগরিক। কেউ পড়াশোনা করেন। চাষের জমি রয়েছে। ভোট দেন সকলে। ভোটের সময় তো কেউ বলেনি। এখন বলছে দরখাস্ত করো

নরেন্দ্র মোদী ফুটো ভাঁড়। বলছে ঘরে ঘরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, রেশন দিই বিনা পয়সায়। গ্যাসবেলুন। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে আমরা রেশন দিই। মোদী দেন না। চ্যালেঞ্জ করছি। নিজের নামে প্রচার করছে। গরিব লোকের ১০০ দিনের কাজের টাকা দেন না। ৫০ দিনের কাজের ব্যবস্থা করেছি

রেশন তিনি দিলে ২ বছরে ১৪ হাজার কোটি টাকা দিতে হত। ৯ হাজার দেয় রাজ্য। ৭ হাজার দেয় কেন্দ্র। ২ বছর ধরে দেননি। ১৬ হাজার-১৬ হাজার করে ৩২ হাজার টাকা আমাদের দিতে হয়েছে। আমরাই চাষিদের চাল কিনি

মোদীবাবু, আপনার কাছে ধর্ম শিখতে হবে না। নির্বাচনের সময় হরিচাঁদ ঠাকুর করেন। পরে পাত্তা দেন না। আমরা করি। ধর্ম আমার মা। উৎসব আমার মা। এটা সকলের জন্য। উনি আমায় ধর্ম শেখাচ্ছেন। উনি রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ শেখাচ্ছেন। এক দিন দাঁড়াবে জনগণের সামনে। দুটো মঞ্চ থাকবে। ব্যাখ্যা করে দেব রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ কী। তুমি জানো না। মা দুর্গার ক’টা ছেলেমেয়ে, জানো? আমায় বলে, মন্ত্র জানি না। চ্যালেঞ্জ করছি, আমি যা মন্ত্র জানি, এক কণাও যদি জানো, বলব মাথা নত করে দাও, চরণধুলার তলে

এত মিথ্যে বলেন মোদী। সুব্রতদা (মুখোপাধ্যায়) বেঁচে থাকলে বলতেন, দাঁতের মাড়ি চলে যেত। বলে, আমরা সরস্বতী পুজো করতে দিই না। জানেন বাংলার সংস্কৃতি? আপনি তো বলেছেন, মাছ, ডিম খাবেন না। আপনার রাজ্য গুজরাত, মধ্যপ্রদেশে বন্ধ। এখানে এসে বলছে, কেন মাছ খান? কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। আমরা কী খাব, তুমি ঠিক করে দেবে না

সকাল সকাল ভোট দিন। ক্যা (সিএএ)-তে সই করবেন না। আর একটা ভয়ঙ্কর জিনিস করেছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। তাতে জনজাতিদের অস্তিত্বই থাকবে না। থাকবে শুধু মধু আর বিধু। বুঝেছেন তো কাদের কথা বলছি? মধু, বিধু দুই ভাই, মিথ্যে কথা বলে যায়! ওদের আপনারা বিদায় দিন

ক’দিন ধরে খুব সন্দেশখালির সন্দেশ দেখাচ্ছিল। সব বেরিয়ে গিয়েছে। কলসি ফুটো হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে প্ল্যান করেছিল বিজেপি! আমি এখনও দেখার সময় পাইনি। গিয়ে দেখব। দু’জন সাংবাদিকের মুখে শুনলাম। পরিকল্পনা করবে, দাঙ্গা করবে, ওদের জুড়ি কেউ নেই। শয়ে শয়ে লোক মেরে নদীতে ভাসিয়ে দেবে। এদের জুড়ি কেউ নেই। যাহা সিপিএম, তাহাই বিজেপি। সিপিএমের হার্মাদ এখন এসে বিজেপিতে ঢোকে।’’ বিজেপি যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সেই নিয়ে কথা বলার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দিয়েছে

চারদিকে ঝুটা গ্যারান্টি দিয়ে বেড়াচ্ছেন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা ছিল নদিয়ার তেহট্টের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ স্টেডিয়ামে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ

কাল আবার মিথ্যা বলতে আসছেন মহুয়ার এখানে। কারণ, মহুয়াকে নিয়ে ওঁদের খুব জ্বালা। মহুয়া যে মুখের উপর কথা বলে দেয়, ভয় পায় না। মহুয়া বাঘের বাচ্চার মতো লড়াই করে। ও সবাইকে বলে দিয়েছিল দেশে কী চলছে। তাতে কী রাগ! আসলে কেঁচো খুঁড়তে গেলে তো দিল্লির নেতাদের সাপ বেরিয়ে যাবে

মহুয়াকে ভয় পায় বলে ওকে ওরা তাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু পার্লামেন্ট থেকে তাড়ালেও মানুষের মন থেকে ওকে তাড়াতে পারেনি। আপনারা আবার ভোট দিয়ে ওকে জেতান। ও আবার সংসদে আপনাদের হয়ে লড়বে

কী বলতে আসবেন আপনি? ১০০ দিনের টাকা তো দেননি। পাকা বাড়ির টাকা দেননি, রাস্তার টাকা দেননি। রেশন বিনামূল্যে দেননি। রোজ মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছেন। সাধারণ মানুষ মিথ্যা বললে লজ্জা পান। কান ধরতে হয় তাঁদের। আর মিথ্যা বললে মোদীকে পুজো করতে হয়

উনি তো রোজ নিজের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। শুধু নিজের প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। যে দিকে তাকাই, ওঁর ছবি দেখা যায়। চারদিকে ঝুটা গ্যারান্টি দিয়ে বেড়াচ্ছেন

এত গরম। আমার লু লেগে গিয়েছে। গলা ভেঙে গিয়েছে। গত এক মাস ধরে আমি বাড়ির বাইরে আছি। আরও এক মাস টানতে হবে। গরমে সকলের এত কষ্ট হচ্ছে। কেন এত দিন ধরে ভোট চালানো হল? বিজেপি নিজের ইচ্ছা মতো লোক দিয়ে কমিশন বানিয়েছে

ভোটের দিন লোকে জানল এত শতাংশ ভোট পড়েছে। কিছু দিন পর সেই সংখ্যা উল্টে গেল! কোনও দেশে এটা হয় না

আগামী দিনে ইন্ডিয়া জোটই দেশ তৈরি করবে। কিন্তু বাংলায় ওই জোট নেই। এখানে সিপিএম বা কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকেই ভোট দেওয়া। বাংলা থেকে আমরা যত বেশি আসন পাব, তত কেন্দ্রে বাংলার জোর থাকবে