Saugata Roy’s Points of Order in the Lok Sabha, quoting Rule 352 of ‘Rules of Procedure and Conduct of Business in Lok Sabha’, about making allegations against another Member and, quoting Rule 115(1) of ‘Directions by the Speaker Lok Sabha’, about correcting wrong statements made in the House

Sir, you have allowed three Ministers to interfere. …. I want to make a very short reference to Rule 362, which says:- “A member while speaking shall not make personal reference by way of making an allegation imputing a motive to or questioning the bona fides of any other member of the House…” Sir, has Rahul Gandhi made reference to any other Member? …. Or has he used utter treasonable, seditious or defamatory words? …. Is mentioning the name of Shiva defamatory? …. सर, आप सफुनए। येलोग नहीं समझतेहै, may be because of their inadequate knowledge of English. …. He did not make any personal reference. …. Raj Nath Singh ji made a point on ‘Agniveer’. There is a method to correct any wrong statement made in the House. Please read Direction 115(1) of Directions by the Speaker. It says: “A member wishing to point out any mistake or inaccuracy in a statement made by a Minister or any other member shall, before referring to the matter in the House, write to the Speaker pointing out the particulars of the mistake or inaccuracy and seek the permission of the speaker to raise the matter in the House.” Has Mr. Raj Nath Singh written to you? …  No, he has not written. …  सर, श्री फशवराज फसंह चौहान इतनेफदनों बाद लोक सभा मेंआए, खड़े होकर बोलनेलगे। … यह मजाक की जगह हैक्या?… He has not given a notice. He cannot point out a mistake. On MSP, he made a statement. What right does he have, without referring, …

Sudip Bandyopadhyay welcomes Speaker Om Birla

Sir, I congratulate you on your becoming Speaker of the House for the second time. My first entry in this Parliament was in the 12th Lok Sabha. I have gathered a long experience. What my impression is, if there is no Leader of the Opposition officially the House does not run properly. We are glad that our country has now got a Leader of the Opposition in the Parliament. Sir, the parliamentary democratic system, upon which we are the firm believers, depends upon secularism, communal harmony and unity of the country. It is my firm belief that somehow the floor of the House always depends on the attitude of the Treasury Benches. So far as the parliamentary democratic process is concerned, the House belongs to the Opposition. This attitude is to be adopted by the ruling party itself. Sir, you may have your good wishes and your good intention. But sometimes, you are to bow down to the ruling party’s pressure. My experience says this. Suspension of 150 MPs in one day has happened in this House. It is not desirable. The hon. Prime Minister has mentioned about the introduction and passing of so many Bills in the House. We appreciate that. But it has also happened that so many Bills had been passed without any discussion. I would humbly submit to you that let some positive decisions be taken so that the Bills be tabled and discussed in a proper manner. We, from the Opposition side, assure you that we will extend all sorts of cooperation so that the House can run properly and smoothly. The Opposition has now got a better strength in this House. So, it should not be the attitude of the Treasury Benches to neglect the Opposition. I would request the hon. Prime Minister and the Treasury Benches to come up and cooperate so that the House runs smoothly and the country of 140 crores of people can actually get some guidance and some hopes that Parliament can contribute for the welfare and benefit of the country. This should be our motto. We want to see that the 18th Lok Sabha runs smoothly and creates a history of reaching its target by running smoothly in the interest of the nation while keeping secularism and communal harmony intact. Our Constitution should be upheld and the situation should never ever be allowed to be disturbed. Thank you, Sir.

রেল এখন পেরেন্টলেস, যাত্রীদের কোন সুরক্ষা নেই: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ সকালে মালগাড়ির ধাক্কা খেয়ে লাইনচ্যুত হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৫ জন মারা গেছেন, আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩০। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাওয়ার বিমানবন্দরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখোমুখি হন তিনি।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:

সকাল ৯টা থেকে যখন কেন্দ্রীয় সরকার খবরও পায়নি হয়তো তখন থেকেই আমাদের প্রশাসন সতর্ক ছিল
আমি নিজে মনিটরিং করেছি

পুরো উদ্ধারকাজ আমরা তদারকি করছি, ডাক্তার পাঠায়, মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করি, ডিসাস্টার টিম পাঠায়, পুরোটাই আমরা করেছি

বিমানের এতো দুর্দশা আমি জানতাম না, সকাল থেকে অনেক চেষ্টা করে এখন ফ্লাইট পেয়েছি

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টের আগে বাগডোগরা যাওয়ার কোনও বাণিজ্যিক উ়ড়ান নেই। রাজ্য সরকার যে বিশেষ বিমানটি নিয়ে রেখেছে, সেটিও অনিবার্য কারণে সোমবার পাওয়া যায়নি।

কি চলছে দেশে জানিনা, একটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা কিভাবে এতো অবহেলিত হতে পারে

দুর্ঘটনা হতেই পারে, সেটা কারো হাতে নেই

আন্টি কোয়ালিশন ডিভাইস আমি তৈরী করে দিয়েছিলাম রেলমন্ত্রী থাকাকালীন, ড্রাইভার ঘুমিয়ে পড়লে বা দুটো ট্রেন কাছাকাছি এলে সিগন্যালের মাধ্যমে সতর্ক করবে এই সিস্টেম

যত না কাজ করেছে , ভাড়া বাড়িয়েছে বেশি

শিয়ালদহে নিত্য যাত্রীদের প্রতিদিনের সমস্যা হচ্ছে

আমি এখন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে যাব, রাতে আমি কোচবিহার যাব, কাল ফিরবো

অন্য নাম না দিয়ে আগে যাত্রীদের সুরক্ষা কবচ দিক

রেলের একটা শ্রী ছিল, পুরো মাধুর্যটা নষ্ট করে দিয়েছে রাতের ট্রেনগুলোয় যে বিছানা দেওয়া হয় নোংরা, বাথরুম পরিষ্কার করা হয় না, খাবারের গুণমান নষ্ট হয়ে গেছে

রেলের বাজেট তুলে দিয়েছে, মন্ত্রীত্বটাই শুধু আছে

রেল এখন পেরেন্টলেস, শুধু কথা আর সৌন্দর্যায়ন হচ্ছে, কিন্তু যাত্রীদের কোন সুরক্ষা নেই

রেলওয়ের অফিসার, সিকিউরিটি, স্টাফদের ও কোন সুরক্ষা নেই, ওদের পুরনো পেনশন তুলে নেওয়া হয়েছে, খবরের কাগজে দেখেছি

আমি সম্পূর্ণভাবে রেলওয়ের কর্মচারী ও রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আছি। তারা সাধ্যমত চেষ্টা করছে।

কিন্তু এই সরকার শুধু নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করে। কিভাবে হ্যাকিং করতে হবে, কিভাবে নির্বাচনে কারচুপি করতে হবে।আমার মনে হয় বড় বড় ভাষণ না দিয়ে, প্রসাশনিক কাজে ওদের আরও মননিবেশ করা উচিত

ইন্ডিয়াই আগামী দিনে সরকার গড়বে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দলের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে শনিবার কালীঘাটে বৈঠক করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ :

ইন্ডিয়াই আগামী দিনে সরকার গড়বে। সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখন আমরা শুধু পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলছি

এটা আপনারা কেউ ভাববেন না যে, ‘ইন্ডিয়া’ এখন কিছু করেনি বলে আগামী দিনে করবে না। আমরা অপেক্ষা করছি। কারণ, মোদীকে কেউ চায় না। এই দেশ পরিবর্তন চায়

এত বড় হারের পর ওঁর উচিত ছিল পদত্যাগ করা। আমি যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেতাম, পদে থাকতাম না

এনডিএ-তে যাঁরা আছেন, তাঁদের চাহিদা অনেক বেশি। আমরা কিছু চাই না। আমরা শুধু মানুষের ভাল চাই

আমরা ২৯ নয়, ৩৫টি আসন জিতেছি। কমিশন জোর করে, লোডশেডিং করে আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। কমিশনের সাহায্যে আমাদের এক জন মহিলা প্রার্থীকেও হারানো হয়েছে

বুথফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে শেয়ার বাজারে দুর্নীতি করা হয়েছে। এটা খুব বড় দুর্নীতি। ভবিষ্যতে এটা নিয়ে আমরা আইনের পথে হাঁটব কি না, সেই ভাবনাচিন্তা করছি। আমরা এর তদন্ত চাই। ভুল বুথফেরত সমীক্ষা দেখানো হয়েছে

তৃণমূলের সাংসদেরা লোকসভায় গিয়ে এনআরসি, সিএএ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও বাতিল করতে হবে

২১ জুলাই আমাদের শহিদ তর্পণের দিন। এই জয় আমরা সে দিনই উদ্‌যাপন করব। ওটা আমাদের জনগণকে ধন্যবাদ জানানোর দিন

আমরা সকলের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলতে চাই। সেই জন্য ‘ইন্ডিয়া’ শরিকদের সঙ্গে আলোচনাও জরুরি। তাই অভিষেক মুম্বই গিয়েছিলেন। সেই পর্যায়েই আমাদের প্রতিনিধি দল হরিয়ানায় গিয়ে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানাবে।

 

জনগণ আজ ম্যান অফ দ্য ম্যাচ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঘোষণা হয় গেলো লোকসভা ভোটের ফলাফল। প্রতিবারের মতো এবারও তৃণমূলেই আস্থা রেখেছেন বাংলার জনগণ।

আজ কালীঘাটে নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

নেত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

বাংলার মানুষকে শুভেচ্ছা

মালিক যা বলবে তা সংবাদ মাধ্যমকে করতেই হবে, তাই তারাও তাই করছিলেন কিন্তু আজ মানুষ জবাব দিয়ে দিয়েছে

তৃণমূল জেতার পরও বিজেপি সার্টিফিকেট দিচ্ছে না কাঁথি তে

আজকে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব জনগণের, যে তারা মোদীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে গুরুত্ব দেননি

কিছু কিছু আসনে জোর করে হারানো হয়েছে, অবজারভার রা রাজনীতি করলে আমার কিছু বলার নেই

কিছু সিটে দরকার হলে পুনরায় গণনা হবে, আমার সময় নন্দিগ্রামে যা করেছিল তমলুকে তাই হয়েছে

রাজ্য পুলিশ কে কাজে লাগেনি, সেট্রাল ফোর্স পাঠিয়ে দিয়েছে , সবচেয়ে বেশি অত্যাচার হয়েছে বাংলার ওপর, বেছে বেঁচে বিজেপি অবজারভার পাঠিয়েছে

মিডিয়া মোদিয়া হয়ে গেছিলো, তবে চির কৃতজ্ঞ আমি বাংলার কাছে

আপনাদের ফেক সার্ভে দেখে, বিজেপির তৈরী করে দেওয়া ফেক সার্ভে দেখে

আমার মনে হচ্ছিল আমি কি নিজের ওপর আস্থা হারাচ্ছি? আমি মানুষের কক্ষ দেখে যা বুঝেছি তা কি ঠিক নয়?

বাংলার নির্বাচন কন্ডাক্ট করেছে বিজেপির এক গদ্দার

যে সন্দেশখালি নিয়ে এতো কুৎসা, সেখানেও আমরা জিতেছি

উত্তরবঙ্গের যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর মেরুদন্ডও ভেঙেছে, একইভাবে তমলুক কাঁথি তেও মেরুদন্ড ভেঙেছে কিন্তু োর এখন গায়ের জোরি দেখাচ্ছে

মোদী সিঙ্গল লার্জেস্ট মেজরিটি পায়নি, বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন মোদী, আমি খুশি, ওনার উচিত ইস্তফা দেওয়া, এখন টিডিপি আর নীতীশের পায়ে ধরতে হচ্ছে

ইচ্ছামতন আইন পাস হবে না সংসদে, ইডি সিবিআই দিয়ে যা ইচ্ছে করতে পারবে না ওরা

অখিলেশ কে, শরদ পাওয়ারকে, উদ্ধব কে শুভেচ্ছা জানিয়েছি

বিহারে যা বলছে ওটা সত্যি না, তেজস্বীর সাথে আমার কথা হয়েছে, বললো গণনা এখনও বাকি

শেয়ার মার্কেট আমি বুঝি না, কিন্তু সেটার পতনের জন্যও বিজেপি দায়ী

ওদের অহংকার চূর্ণ হয়েছে, অযোধ্যাতেও হেরেছে, মোদীজি নিজের সাইট পোস্টাল ব্যালটে হেরেছিলেন

এতো আশীর্বাদ পেয়ে আমরা আজ জনগণের কাছে মাথা নত করছি, আমি মানুষের চোখের ভাষা বুঝি

আড়াই ৩ মাস ধরে নির্বাচন হতে পারে না, তাহলে উন্নয়নের কাজ হয় না, ১৪৭ জনকে এক্সপেল করে যে কাজ উনি করেছেন তার ফল হিসেবে উনি দুই তৃতীয়াংশ মেজরিটি পাননি

জনগণ আজ ম্যান অফ দ্য ম্যাচ

নির্বাচন কমিশন হল বিজেপির ভয়েস

মোদীজি অনেক দল ভেঙেছেন, তাই আজ মানুষ ওনাকে, ওনার নীতি ভেঙে দিয়েছে

সব আঞ্চলিক দল গুলো যেন নিজেদের প্রাপ্য টাকা ফেরত পায়, ইডি সিবিআই দিয়ে যে কাজ করে তা বন্ধ করতে হবে নাহলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে

আর বলবো দেশের মানুষকে সম্মান করো, ইডি সিবিআই কেসের ভয়ে আর টাকার লোভে বিজেপিতে যেও না, এথলে দেশ আপনাকে ক্ষমা করবে না

মিডিয়া নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি এই এক্সিট পোল বিজেপি টাকা দিয়ে করিয়েছে

এই জয় আমাদের দেশের, কৃষকের, মা বোনেদের, জনগণের আর ইন্ডিয়ার। মোদী যাক, দেশ থাক

আপনি ধ্যান করবেন, ক্যামেরা সঙ্গে নিয়ে কেন? : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে এক পদযাত্রার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ

যাদবপুরকে ভুলতে পারি না। আপনারা প্রতি বারের মতো এ বারও ভোটটা তৃণমূল কংগ্রেসকে দেবেন। দায়িত্ব নিয়ে কথাগুলো বলছি, খুব সম্ভবত, কাউন্টিংয়ে যদি সব ঠিকঠাক হয়, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসছে না

রেশন দেবে বলে দেয়নি বিজেপি। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। সেই বিজেপিকে ভোট নয়

প্রতিবারেই ভোটের আগে কোথাও না কোথাও গিয়ে বসে পড়ে, আর ৪৮ ঘণ্টা পাবলিসিটি খায়। ৪৮ ঘণ্টা সব পাবলিসিটি বন্ধ। আজ সন্ধে ৬টা থেকে পড়শু বিকেল ৬টা পর্যন্ত। আপনি ধ্যান করবেন, ক্যামেরা সঙ্গে নিয়ে কেন?

উনি সমুদ্রের হাওয়া খেতে খেতে প্রচার চালাবেন। নির্বাচনের পরে এ ভাবে প্রচার করতে পারেন না। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব। উনি ধ্যান করতেই পারেন, কিন্তু সংবাদমাধ্যম তা দেখাতে পারে না। কারণ তা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে

কলোনি বলব না। বলব স্থায়ী ঠিকানা। একই ভাবে থাকবেন। বস্তি যেন না বলি। উত্তরণ বলব। ওঁদের ছেলেমেয়েরা এমএ, বিএ পাশ করেছে

সায়নী কোমরে কাপড় কষে লড়াই করার মেয়ে। ওকে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের কারও নেই

 

মোদীর গ্যারান্টি বেআইনি, হাই কোর্ট বলে দিয়েছে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূলের প্রার্থী হাজি শেখ নুরুল ইসলামের সমর্থনে আজ বসিরহাটে জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ

সন্দেশখালির মা বোনেদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তার জন্য হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে দুঃখিত। মা-বোনেদের নিয়ে যেন অসম্মানের খেলা কেউ না খেলে

ভোটের আগে বিজেপির প্ল্যান-এ ছিল সন্দেশখালি। বাতিল হয়ে গিয়েছে। মা বোনেরাই বাতিল করে দিয়েছেন। এখনও প্ল্যান বি জারি রয়েছে। ধর্মস্থানে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করা

সুন্দরবন নিয়ে নতুন মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছি, আপনাদের জেলা নতুন জেলা হবে বসিরহাটের বেশির ভাগ অঞ্চলগুলি নিয়ে একটা জেলা হবে। ওই দিকে বকখালি সাগরদ্বীপ নিয়ে আরও একটা জেলা হবে

এসব অন্য কথা, এ বার কয়েকটা রাজনৈতিক কথা বলব।২০২১ সালের ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার করে দেব বলেছিলাম, করেছি। কৃষকদের সাহায্য করার কথা বলেছিলাম করেছি। যা যা বলেছিলাম সব করেছি। বিনা পয়সায় আপনারা রেশন পাচ্ছেন। ১০০ দিনের কাজের টাকাও আমরা দিয়ে দিয়েছি। যেটা মোদীর দেওয়ার কথা ছিল

আপনার আমলে ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি মেয়েদের উপর অত্যাচার হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। দলিতদের উপর অত্যাচার হয়েছে। আমাদের এখানে হয় না। আমাদের এখানে যে দু’-একটা ঘটনা হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা নিই। রাম হোক বা রহিম কেষ্ট হোক বা বিষ্টু। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কাউকে ছা়ড়া হয় না

অনেক মাছের ভেড়ি আছে। অনেকে অনেকের ভেড়ি দখল করে নেয়। আমরা তাই একটা পলিসি তৈরি করছি। জোর করে ভেড়ি কেড়ে নেওয়া যাবে না। যার ভেড়ি সে চাষ করুক। না হলে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলো চালাক। কিন্তু সরকারের রেকর্ডে নাম রাখতে হবে। সরকারকেও তার জন্য একটা শুল্ক দিতে হবে। তাতে ভেড়িতে অধিকার বজায় থাকবে

মোদীবাবু খবরের কাগজে বড় বড় বিজ্ঞাপন দিয়েছিল মোদীর গ্যারান্টি বলে। আমাদের আক্রমণ করছিল। এটা বেআইনি। আমরা বারবার বিচার চেয়েও পাচ্ছিলাম। অবশেষে হাই কোর্ট কাল বলে দিয়েছে, হ্যাঁ এটা বেআইনি

বিজেপি চক্রান্ত করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে, ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না

ভোটের আগে কাউকে ২০০০, চক্রান্ত করার জন্য ৫০০০, তাকে দিয়ে লিখিয়ে নিচ্ছে ওরা, চক্রান্ত করাচ্ছে, এই তো পার্টি অফিস থেকে কোটি কোটি টাকা বের হচ্ছে। আর যে সেটা ধরল, তাকেই নির্বাচন কমিশন সাসপেন্ড করে দিল। কী ভাবে চলছে আমাদের দেশটা

একজন বোমা ফাটিয়ে নাচছিলেন ধিন তাক ধিন তাক তা। কী না ২৬ হাজার চাকরি খেয়েছে!

যদি আপনাদের মনে হয়, কারও উপরে রাগ আছে। আপনাদের বলার অধিকার আছে। আপনারা একটা চিঠি আমার বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আমি একদিন হোক দু’দিন হোক, আমি ঠিক দেখে নেব। চিঠিটা আর্জেন্ট হলে আগে করে দেব। সব করতে পারি তা তো নয়। কিন্তু ৯৯.৯ শতাংশ ক্ষেত্রে যতটা করতে পারি, করে দিই

বুকে পদ্ম ফুলটা লাগিয়ে রাজনীতি করুন,এ ভাবে আড়ালে থেকে নয় : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ বাঁকুড়ার ওন্দায় তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের সমর্থনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ

আজ আমার এখানে সভা ছিল না। আমি জবাব দেব বলে এসেছি

উনি কী করেছেন, শুধু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আমি ক’টা ট্রেন করেছি। কত প্রকল্প করেছি!

আমি কী বলেছিলাম, জয়রামবাটি সারদা মায়ের জন্মস্থান। আমি অনেকবার এসেছি। আপনি কতবার এসেছেন?

আমি কী বলেছি? আমি কেন একটা ইনস্টিটিউশনের বিরুদ্ধে হব? আমি রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে নয়। আমি কেবল দু’একজনের কথা বলেছি। তার মধ্যে একজন হল ওই কার্তিক মহারাজ। আমি ওঁর কথা বলেছি। কারণ আমি খবর পেয়েছি উনি তৃণমূলের এজেন্টদের বসতে দেন না। এলাকায় ধর্মের নামে বিজেপি করে বেড়ান। উনি ছানার ব্যবসায়ীদের উসকাচ্ছেন। সব খবর আসে আমার কাছে উনি রাজনীতি করতেই পারেন। আমার তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু আমি বলব বুকে পদ্ম ফুলটা লাগিয়ে রাজনীতি করুন। এ ভাবে আড়ালে থেকে নয়

রামকৃষ্ণ মিশনর বিরুদ্ধে কেন হব? এই তো সে দিনও এক মহারাজ অসুস্থ হয়েছিলেন। আমি গিয়েছি। ওঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল। বিবেকানন্দের বাড়ি আমি রক্ষা করেছি। সারদা মায়ের বাড়ি আমি রক্ষা করেছি। ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি আমি বাঁচিয়েছি। কিন্তু সবাই এক রকম নয়। আমি সেটাই বলেছি। আমি সেই কয়েক জনের কথাই বলেছি।

 

ফোর টোয়েন্টির নতুন গ্যারান্টি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ

নন্দীগ্রামে ওরা সে দিন লোডশেডিং করিয়ে জিতেছিল। ডিএম বদলে দিয়েছিল। সে কথা আমি ভুলিনি। এর বদলা আমি নেব। আজ না হয় কাল এর বদলা নেবই। চিরকাল বিজেপি থাকবে না। চিরকাল, ইডি-সিবিআই কোলে করে রাখবে না। চিরকার এনআইএ, ইনকাম ট্যাক্স পাশে থাকবে না। এর বদলা আমি নেবই

মনে রাখবেন, আমি এখানে অনেক কাজ করেছি। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন করেছি। আমি না থাকলে দিঘা-তমলুক হত না। নন্দীগ্রামে যখন এসেছি, তখন কেউ আসেনি। এখানে কলেজ থেকে শুরু করে জলের লাইন, মাছের ব্যবসা এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য পরিকাঠামো সব করেছি আমি

দিঘাতে কে সৈকতসরণি করেছে? বম্বের মতো মেরিন ড্রাইভ? তিনটে সেতু তৈরি করতে হয়েছে। এত সস্তার কাজ এগুলো নয়। শয়ে শয়ে কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তাই এখন দিঘায় এলে লোকে বলে কী ছিল আর কী হয়েছে। দিঘায় জগন্নাথের মন্দির থেকে শুরু করে দিঘা গেট থেকে শুরু করে, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, জাদুঘর, মাতঙ্গিনী হাজরার বাড়িতে গ্যালারি, পিছাবনী স্মৃতিসৌধ আরও অনেক কিছু করেছি। যে ভাবে আমি দিঘা, হলদিয়া, নন্দকুমার, নন্দীগ্রামকে সাজিয়ে দিয়েছি, খেজুরিকে সাজিয়ে দিয়েছি… খেজুরিতে আগে কী করত? এখন ওখানে মস্তানি করছে

ভোটের সময় কয়েকটা কথা বলতে চাই। মোদীকে আমি মোদীবাবু বলব না। বলব গ্যারান্টিবাবু। যেমন গদ্দার বলি, নাম নিই না। তেমনই এখানেও আমি নাম নেব না। আমি গ্যারান্টিবাবু বলব। তিনি কী বললেন, বিনা পয়সায় চাল দিচ্ছেন। দু’বছর ধরে এক টাকাও দিচ্ছেন? আমি বলছি হয় আপনি ক্ষমা চান, না হলে বলুন আপনি টাকা দিয়েছেন চালের। ফোর টোয়েন্টির নতুন গ্যারান্টি। টিভিতে, কাগজে, বিজ্ঞাপনে সর্বত্র বলছে বিনা পয়সায় গ্যাস দিয়েছে। দিয়েছে? তার মানে গ্যারান্টিবাবু, ফোর টোয়েন্টি গ্যারান্টি, গ্যাসবেলুনের থেকেও বড় গ্যাসবেলুন, নো গ্যারান্টি। বলুন তো বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ দেবে বলেছিল, দিয়েছে? তার মানে নো গ্যারান্টি ফোর টোয়েন্টি

মোদী জিতবে না। যদি জিতে যায়, তা হলে গ্যাসের দাম ২০০০ টাকা হয়ে যাবে। বাহবা গ্যারান্টিলাল, বাহবা গদ্দার দালাল!

যখন তৃণমূল কংগ্রেস করি বাপও-ব্যাটাও ছিল না। এখানে ছিল অখিল গিরি। ওরা কংগ্রেসে ছিল। আমাদের হাত ধরে জেতার আগে ওরা অনেক বার হেরেছে। এখন বিজেপিতে গিয়েছে টাকা বাঁচানোর জন্য

পার্টির নামে টাকা চাইলে দেবেন না। আমার পার্টি আপনাদের টাকা চাইবে না। আমাদের যতটা ক্ষমতা ততটাই করব। বিজেপির মতো বিজ্ঞাপন দিই না। তবে আমাদের কাছে বেশি এক্সপেক্ট করবেন না। আমরা কারও পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে আসতে পারব না

দেশ থাক, মোদী যাক, ধর্ম থাক, মোদী যাক। তাই বলি অলি গলি মে শোর হ্যায়। আপনারা বলবেন ফোর টোয়েন্টি চোর হ্যায়

অল ইন্ডিয়া লেভেলে আমরা বিরোধী জোট ইন্ডিয়া তৈরি করেছিলাম। আমরা জোটে থাকব। অনেকে আমাকে ভুল বুঝেছে। আমি জোটে আছি। আমি ওই জোট তৈরি করেছি। আমি জোটে থাকবও। এখানকার সিপিএম নেই। এখানকার কংগ্রেস নেই। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে আমরা জোটে থাকব। ভুল বোঝাবুঝির কোনও জায়গা নেই। ভুল খবর ছড়িয়েছে। এতে বিভ্রান্তি হচ্ছে

তমলুক কাঁথি দুটোই তৃণমূলের সিট, তৃণমূলকে দিন। গদ্দাররা দখল করেছে। ওদের দখলমুক্ত করুন

যদি এনআরসি, সিএএ না চান, বিজেপিকে ভোট দেবেন না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

লোকসভা ভোটের প্রচারে ঝাড়গ্রামে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামে কালীপদ সোরেনের সমর্থনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ

জঙ্গলমহলে যাঁর হাত ধরে ঢুকি, তার নাম ছত্রধর মাহাতো

আগে পড়াশোনায় পিছিয়ে ছিল জঙ্গলমহল। আজ এখানে ছেলেমেয়েরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে, বড় বড় অফিসার হচ্ছে। এটা আমার গর্ব। সাঁওতালি ভাষাকে কেউ গুরুত্ব দিত না। আমরা এসে প্রথম এই ভাষাকে গুরুত্ব দিই

বিদেশে পড়তে গেলে বা কাজ করতে গেলে অনেক বছর থাকলে যেমন একটা করে গ্রিন কার্ড দেয়, সিএএ তেমনই একটা ভাঁওতা

আমি চাইলেই ওঁর ছাড়পত্র আটকে দিতে পারতাম। ওদের বেশি লোভ তো। ভাবলাম, যাক। টাকা করে আসুক। এলাকায় ডাক্তার নেই। উনি ভোটে লড়লে ডাক্তারি কে করবে? মানুষ পরিষেবা কোথায় পাবেন?

দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ ক্ষমতায় এলে এনআরসি, সিএএ, ইউনিফর্ম সিভিল কোড আমরা বাতিল করব। বাংলায় সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। দিল্লিতে আছে

যদি এনআরসি, সিএএ না চান, বিজেপিকে ভোট দেবেন না। বিজেপির মতো এত বড় চোর, ডাকাত কোথাও নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে