February 11, 2018
Vermicompost to improve quality and quantity of tea production

The West Bengal Khadi and Village Industries Board (WBKVIB) has taken up a project for improving the quality of tea grown in the state through the use of vermicompost in the tea gardens.
Vermicompost, which is fully organic, is essential for improving the quality of the soil, and hence the quantity and the quality of production, as well as helps in preventing diseases of plants. Tea grown in vermicompost both tastes and smells better.
The Board has, for a start, selected 560 tea workers from Mainaguri block for training in the production and use of vermicompost. The Finance Department has provided Rs 3 crore for the project.
চা বাগানগুলিতে ভার্মিকম্পোস্ট ব্যাবহারে উৎসাহ দেবে খাদি বোর্ড
পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামোদ্যোগ বোর্ড একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা উত্তরবঙ্গের চাবাগানগুলিতে ভার্মিকম্পোস্টের উৎপাদন ও ব্যবহার করতে উৎসাহ দেবে।
ভার্মিকম্পোস্ট মাটির মান উন্নত করে, ফলন বাড়ায় ও গাছের রোগ কমায় ও চা-এর মান ও গন্ধের বৃদ্ধি ঘটায়। পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামোদ্যোগ বোর্ডের এক উচ্চাধিকারিক বলেন, আমরা জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের ৫৬০ জন চা শ্রমিককে বেছে নিয়েছি যাদের ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদনের প্রশিক্ষন দেওয়া হবে। এছাড়া এই উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল-ও আমরা যোগান দেব। এই সার ব্যবহারে চা-এর মান ও গন্ধ বাড়বে।
চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত, চুড়াভান্ডার, খাগড়াবেড়ী ১, খাগড়াবেড়ী ২, আমগুড়ি এবং ১১টি অন্য জায়গা, রথেরহাট, ভাঙামালি, ভাঙেরহাট, চুড়াবাদের, দেওয়ারিকামারি, হুসলু ডাঙ্গা, বশিলার ডাঙ্গা, ধোলাগুড়ি, খাগড়াবাড়ি, তেকুতুলি, উত্তর খাগড়াবাড়ি এই প্রকল্পের আওতায় পড়ছে।
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের অনেক চাবাগানে ভার্মিকম্পোস্ট সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে তা খুব অল্প মাত্রায় এবং মাত্র কয়েকজনের উদ্যোগে। তিনি আরও বলেন, “এই সার এতদিন মেদিনীপুর ও অন্যান্য কয়েকটি জায়গাতেই পাওয়া জেট, যেখান থেকে নিয়ে আসার খরচ খুব বেশী। আমরা এখানে সমিতি তৈরী করব, প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করব যাতে এখানে এই সার উৎপাদন শুরু হয়।”
বর্তমানে আসামের চাবাগানগুলি থেকে এই সারের চাহিদা রয়েছে। আনারস ও কমলালেবু চাষের ক্ষেত্রেও এই সারের চাহিদা আছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চাহিদা ও যোগানে বিস্তর ফারাক, এই ফারাক পুরন করতেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। রাজ্য অর্থ দপ্তর এই প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি টাকা দিয়েছে। আনাজের উচ্ছিষ্টকে কেঁচোর মাধ্যমে এই ১০০ শতাংশ জৈবিক সার তৈরী হয়। কোনও রকম ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার হয় না এই সার তৈরী করতে।
Source: Bartaman