সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
রাজ্যপালের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, আমাদের রাজ্যপাল নির্বাচিত সরকারকে না জানিয়ে বিজেপি নেতাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথাকথিত উদ্ধার করতে যান।
বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়ও ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপির ছাত্র সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান সরকারকে না জানিয়ে।
সেখানে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে বিজেপির ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়া ও যাদবপুরের পড়ুয়াদের মধ্যে।
রাজ্য পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অপেক্ষা করছিল। সহ উপাচার্যের সঙ্গে কোনও কথা না হওয়ায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি।
মাননীয় রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই সেখানে যান। যাওয়ার পথে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে বারংবার অনুরোধ করেন রাজ্যপাল যেহেতু রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, এই মুহূর্তে সেখানে তাঁকে না যেতে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে এও অনুরোধ করেন যে, রাজ্য সরকারকে কিছু সময় দিতে শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
কিন্তু, রাজ্যপাল সরকারকে অন্ধকারে রেখে বিজেপিকে সাহায্য করতে সেখানে যান। সেখানে পৌঁছানোর আগে তিনি দুটি প্রেস বিবৃতি দেন, “এই ঘটনা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবস্থা তুলে ধরছে।”
রাজ্যপাল আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিজেপি ও এবিভিপির তান্ডবের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
আমরা তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারার বিরোধীতা করছি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। এই ঘটনা সম্পূর্ণ বিজেপি নেতা, বিজেপি ছাত্র সংগঠন বনাম বাম ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ঘটেছে।
সুতরাং, এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলার কথা আসছে না। রাজ্য পুলিশ রাজ্যপাল ও বিজেপি নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে বের করে এনেছে।
আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপির গুন্ডারা যা করেছে তা পরিষ্কার প্রমাণ করে লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাজনৈতিক মিছিলে কি হয়েছিল এবং বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি কারা ভেঙেছিল। এই গুন্ডামি ও তছনছের প্রতি ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের নেই।
পার্থ চ্যাটার্জি
মহাসচিব, তৃণমূল কংগ্রেস