April 6, 2017
People will reject ideology-less CPM, directionless Congress and issue-less BJP: Abhishek at Barasat

Trinamool Youth Congress President and Lok Sabha MP Abhishek Banerjee today addressed a mega rally at Barasat Kacchari Maidan. This was his second public rally after recovering from the frightful car accident in October, 2016.
The first rally, which Abhishek termed as the beginning of a ‘second innings’, was held at Diamond Harbour SDO ground on April 2, 2017.
Abhishek slammed the Opposition calling the CPI(M) ideology-less, Congress as directionless and BJP as issue-less power greedy party. He said that more the attempts are made to malign Mamata Banerjee, the stronger Trinamool will become.
“We will not allow any communal violence in Bengal. We will not allow the peace and harmony of the State to be destroyed,” he said. He asked party workers to prepare posters warning people to beware of ‘chhoddobeshi’ CPI(M) and ‘poddobeshi’ BJP. He slammed the BJP saying Modi promised development but his party is full of rioters and child traffickers. He also said what someone wears or eats is their personal choice and no one should interfered.
On demonetisation he said that Trinamool wants black money to be recovered but not at the cost of the poor people. He slammed the BJP for not allowing obituary references in Parliament to those who died due to demonetisation. “People do not have the right to access their own money. What times are we living in? Our leader held protests across the country on this issue”.
Calling the BJP “Bangla Jalao Party” and “Bachcha Jharo Party”, Abhishek Banerjee said, Trinamool has fulfilled the promises made in the Manifesto and is working towards turning Bengal around. He asked the party workers to start preparing for Panchayat elections.
নীতিহিন সিপিএম, চরিত্রহীন কংগ্রেস আর উদ্দেশ্যহীন-ক্ষমতালোভী বিজেপিকে বাতিল করবে মানুষঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ বারাসাতের কাছারি ময়দানে এক বিশাল জনসভায় অংশগ্রহণ করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর অক্টোবর মাসের দুর্ঘটনার পর এটা হবে তাঁর দ্বিতীয় জনসভা।
গত রবিবার ডায়মন্ড হারবারের এসডিও মাঠে অভিষেক নিজের রাজনৈতিক জীবনের “দ্বিতীয় অধ্যায়” শুরু করেন। সেই সভায় বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হন অভিষেক।
“বাংলা কারো কাছে মাথা নত করে নি। যা করার করুক, আমরা দিল্লীর সামনে হারব না। ইস্যুহীন কংগ্রেস, চরিত্রহীন সিপিএম ও দিশাহীন ক্ষমতা লোভী বিজেপি একসঙ্গে হয়েছে,” বলেন তিনি।
তাঁর বক্তব্যের কিছু বিষয়ঃ
- আপনাদের আশীর্বাদ দোয়া, প্রার্থনার জন্য আজ আমি আপনাদের সামনে এসেছি। উন্নয়নের রথ অব্যাহত রয়েছে সেটা আপনাদের জনসমুদ্রতেই প্রমাণিত
- তৃণমূল সাধারণ মানুষের অহংকার, অলংকার, জেদ ও আবেগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যত কুৎসা হয় দল ততই শক্তিশালী হয়
- আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পর উত্তর ২৪ পরগনার কোন গ্রামে সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেস কে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই রাজ্যে নীতিহিন সিপিএম, চরিত্রহীন কংগ্রেস আর উদ্দেশ্যহীন-ক্ষমতালোভী বিজেপি এক হয়ে তৃণমূল নেত্রীকে কলঙ্কিত করে চলেছে। মানুষ এটা মেনে নেয়নি আর নেবেও না
- সিবিআই, ইডি দেখিয়ে তৃণমূলকে দমানো যাবে না। এই বাংলাকে ভাগ হতে দেব না। কোন রকম সাম্প্রদায়িকতা বরদাস্ত করব না
- নেতাজি বলেছিলেন, ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও। আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’। বিজেপি বলে আমাকে কুর্সি দাও, আমরা বাংলায় রক্তের বন্যা বইয়ে দেব।
- আগে ছদ্মবেশী সিপিএম মুখে লাল কাপড় বেঁধে মানুষকে অত্যাচার করত, এখন মুখে গেরুয়া কাপর বেঁধে পদ্মবেশী বিজেপি এই বাংলাকে হিন্দু-মুস্লিমে ভেঙে দিতে চাইছে।
- যতই সিপিএম জঘন্য ভাষায় আমাদের আক্রমণ করুক, আমি আমাদের দলের কর্মীদের বলব ‘সংযত থাকো উত্তরটা ব্যালট বাক্সে ওরা পেয়ে যাবে’।
- পোস্টার বানান, ‘ছদ্মবেশী ও পদ্মবেশী হইতে সাবধান’। বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্ত করছে কেন্দ্র। কেন্দ্র কোন টাকা পাঠাচ্ছে না।
- মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল উন্নয়ন করবে। কিন্তু তিনি বাংলায় দুটি জিনিস দিয়েছেন। দাঙ্গাবাজ ও বাচ্চা চোর। শিশু পাচারে যারা জড়িত তার পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত।
- আমাদের সরকার কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, নতুন রাস্তা, খাদ্য সাথী, স্কলারশিপ, গীতাঞ্জলী, হাসপাতাল সব করেছে। আমাদের লক্ষ্য বাংলার মানুষের পাশে থাকা এবং বাংলার মানুষের হয়ে লড়াই করা।
- আমাদের কর্মীরা আমাদের সম্পদ, পুরনো যেসব কর্মীরা লড়াই করে রক্ত দিয়ে সংগ্রাম করেছে, তাদেরকে সম্মান দিতে হবে। তৃণমূল যারা করবে তাদের দিদির সংগ্রামকে পাথেয় করে চলতে হবে।
- কে কি পরবে, কে কি খাবে সেটা তাদের পার্সোনাল চয়েস, আমার টাকা আমার কাছে থাকতে পারছে না। এরকম খারাপ দিন আগে কখনও আসেনি। ২০১৯-এ বিজেপি এসবের ফল পেয়ে যাবে।
- বিজেপি মানে বাংলা জ্বালাও পার্টি আর বাচ্ছা ঝাড়ো পার্টি। আমরা চাই কালো টাকা ধ্বংস হোক কিন্তু গরীবের চোখের জল ফেলে নয়। আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বে আমরা একাধিক আন্দোলন করেছি সারা দেশে। ডেরেক ও ব্রায়েন রাজ্যসভাতে এক মিনিট নীরবতা চেয়েছিলেন যারা মারা গেছেন তাদের উদ্দেশ্যে, কিন্তু, বিজেপি সে প্রস্তাব হেসে উড়িয়ে দিয়েছে।
- আমাদের ইস্তেহারে যা বলা ছিল, আমরা তা করেছি। যেমন সিঙ্গুরের জমি আমরা ফেরত দিয়েছি। কিন্তু, বিজেপি তাদের কথা অনুযায়ী কালো টাকা ফেরত আনতে পারেনি।
- আমাদের লড়াই বাংলার সোনালী দিন ফিরিয়ে আনার লড়াই। বিরোধীরা সব কিছুতেই কোর্টে চলে যায়, ওরা কোর্টে থাকুক আর আমরা ভোটে থাকবো। তৃণমূল বাংলার মানুষের মনের মধ্যে রয়েছে।
- আপনারা এমন ভাবে লড়াই করুন যাতে আগামী পঞ্চায়েতে সিপিএম কংগ্রেস বা বিজেপি কোথাও মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারে। সততার কোনও বিকল্প হয় না। উন্নয়নের বার্তাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন। সবাইকে শুভ নববর্ষ।