অক্টোবর ২০, ২০১৯
আট বছরে বাংলার স্বাস্থ্য বাজেট বেড়েছে তিনগুণ

গত আট বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বাড়িয়েছে প্রায় তিনগুণ। ২০১০-১১ সালে বাজেট ছিল ৩৫৮৪ কোটি টাকা যা ২০১৯-২০ সালে বেড়ে হয়েছে ৯৫৫৭ কোটি টাকা। এই বিপুল বৃদ্ধির মাধ্যমেই বোঝা যায় রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যে কতটা গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দপ্তরের কান্ডারী হওয়ায় যেকোনও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হতে সেরম সময় লাগে না। এর ফলে রাজ্যবাসী জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সেরা পরিষেবা পাচ্ছেন।
ডাক্তারদের সংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ২০১১ সালে যেখানে ডাক্তার ছিলেন ৪৮০০ জন, ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১১৭০০ জন। এই একই সময়ে নার্সের সংখ্যা ৩৭ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৫২৮৫০।
৬৪৮৩ জন প্যারামেডিক ও ৩০ হাজার সহকর্মী সহ ৪২টি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরী হয়েছে রাজ্যে। রাজ্যে সরকার পরিচালিত হাসপাতালে নার্স বাড়ানোর লক্ষ্যে ২৭টি বেসরকারি নার্সিং স্কুলের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সাথী পরিবার স্বাস্থ্য বীমা যোজনা এক অন্যতম সফল প্রকল্প। এর ফলে রাজ্যে সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হয়েছে। এর ফলে প্রতি মানুষ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে পারবেন বিনামূল্যে।
প্রসব, টীকাকরণ, শিশু ও মায়ের মৃত্যুর হার কমানোয় বাংলা দেশের সেরা। অসুস্থ শিশুদের জন্য বিপুল সংখ্যায় সিক বেবি ইউনিট খোলা হয়েছে রাজ্যে। সরকারি হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর পাশাপাশি খোলা হয়েছে ট্রমা কেয়ার ইউনিটও।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে অস্ট্রেলীয় সরকার আগ্রহ দেখিয়েছে কিভাবে অস্ট্রেলীয় এবং রাজ্য সরকার একযোগে প্রত্যন্ত অঞ্চলে, বিকল্প ওষুধে, ক্রনিক ব্যাধি ব্যবস্থায়, ক্রিটিকাল সাপোর্ট, গেরিয়াট্রিক কেয়ার, মহিলাদের স্বাস্থ্য পরিষেবায় বেশী করে যোগদান করানো এবং গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারে।