সাম্প্রতিক খবর

সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯

শিক্ষকদের সমস্যাগুলি শিক্ষা দপ্তর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সমাধান করবে: দিদি

শিক্ষকদের সমস্যাগুলি শিক্ষা দপ্তর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সমাধান করবে: দিদি

প্রতি বছরের মত এবছরেও সারা রাজ্য জুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হল শিক্ষক দিবস। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই শিক্ষকদের সম্মান জানাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার শিক্ষা রত্ন প্রদান করেন। প্রতি বছরে এই দিনেই কৃতী শিক্ষকদের এই সম্মান প্রদান করা হয়। এই বছর ১৩টি স্কুলকে ৬২টি পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু বিষয়ঃ

১৩ টি স্কুলকে ৬২ টি পুরস্কার দেওয়া হল

শিক্ষা রত্ন সম্মাননা দেওয়া হল

শিক্ষক সমাজের ভূমিকা:

শিক্ষকরা আমাদের অভিভাবক, যারা ছোট থেকে আমাদের মানুষ করেন

শুধু পরিসমাপ্তি ঘটানো নয়, বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ছোট চারাগাছকে বটবৃক্ষ বা মহীরুহে পরিণত করারয় শিক্ষক সমাজের ভূমিকা সবার উর্দ্ধে

শিক্ষাই সমাজ গড়ে
সমাজ সভ্যতা আনে
সভ্যতা সংস্কৃতি ও চেতনা আনে
চেতনা ঐক্য শেখায়
ঐক্য থেকে সম্প্রীতি
সম্প্রীতি থেকে ভাষানীতি

শিক্ষকরাই সমাজ গড়ার কারিগর
শিক্ষা যত বাড়বে জ্ঞানের আল তত বাড়বে

সরকারের কর্মসূচী:

অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে আমাদের সরকার কাজ করছে। এবারও আমাদের ৫৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করতে হবে।

আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে, ডেডিকেশন, ডিটারমিনেশন নিয়ে এই কাজ করেছি।

সৃষ্টিমূলক কাজের প্রচারে আমি সমালোচকদের স্বাগত জানাই।

বাংলা আজ অনেক ক্ষেত্রে সেরা হয়ে গেছে, গর্ব হয় যখন বাংলার কোনও প্রকল্প দেশের মডেল হয়

কন্যাশ্রীর জন্য রাজ্য সরকার রাষ্ট্রসংঘের পুরস্কার পেয়েছে, এটা আমাদের গর্বের বিষয়।

সবুজ সাথী, উৎকর্ষ বাংলাও রাষ্ট্রসংঘের পুরস্কার পেয়েছে।

আজ সব মেয়েরাই কন্যাশ্রী, কোন লিমিটেশন নেই, যাতে মেয়েরা পড়াশোনা করে আরও এগিয়ে যেতে পারে।

কেন্দ্র একটা করে প্রকল্প চালু করে ২ বছর পর বন্ধ করে দেয়, এতে রাজ্য সমস্যায় পড়ে। আইসিডিএস, সর্ব শিক্ষা অভিযান, শস্য বীমা বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়েছে। এখন রাজ্যই কৃষকদের শস্য বীমার কিস্তি দেয়।

বাংলায় জলের ওপর কোন কর বসানো হয়নি। রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা, ২ টাকা কিলো চাল দেয় বাংলা।

কেন্দ্রের হাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে, যখন ইচ্ছে টাকা তুলে নিচ্ছে, নোট বদলে নিচ্ছে। রাজ্য সরকারর হাতে সেইসব সুযোগ নেই।

রাজ্য থেকে কেন্দ্র অনেক টাকা কর বাবদ তুলে নিয়ে যায়। যেটুকু ফিরিয়ে দেওয়ার কথা সেটাও ঠিক করে দেয় না।

গত ৮ বছরে ৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৭০০০ প্রাইমারি মাধ্যমিক স্কুল হয়েছে বাংলায়।

আজ বিধানসভায় হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস হল।

১৮০০ স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিক করা হয়েছে, ১ লক্ষ শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ হয়েছে, ৬৫০০ অধ্যাপক, ২৬৪ অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়েছে।

কলেজে স্থায়ী, অস্থায়ী আর অতিথি লেকচারার এই তিন ধরনের পদ তুলে দিয়ে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজে শিক্ষকদের ক্যাটাগরি ১ ও ২ করা হয়েছে।

ছাত্রসমাজের দায়িত্বঃ

শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করতে হবে

বাংলাকে সঠিকভাবে বিশ্ব বাংলায় পরিণত করার দায়িত্ব এখন ছাত্রদের

অতিথি শিক্ষকদের জন্যও চাকরি সুনিশ্চিত করা হয়েছে

ক্যাটাগরি ১> ইউজিসি কোয়ালিফিকেশন
১০ বছরের বেশি কাজ করলে ৩০ হাজার টাকা
১০ বছরের কম কাজ করলে ২৬ হাজার টাকা

ক্যাটাগরি ২> ইউজিসি কোয়ালিফিকেশন
১০ বছরের বেশি কাজ করলে ২০ হাজার
১০ বছরের কম কাজ করলে ১৫ হাজার।

এই ১৫ হাজার টাকাটা পে প্রোটেকশন দিয়ে প্রতি বছর ৩% হারে বেতন বৃদ্ধি

চাকরি শেষে ১০ বছর হলে গ্রাচুইটি হিসাবে ৩ লক্ষ টাকা

ভারতবর্ষের সব রাজ্যে এবং কেন্দ্রীয় সরকার পেনশন তুলে দিয়েছে একমাত্র বাংলায় এটা পেনসন দেওয়া হয়। বাংলার শিক্ষকদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পেনসন গ্রাচুইটি তুলে দেওয়া হয়নি।

ট্রেনিংপ্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষকদের গ্রেড পে ২৬০০ টাকা থেকে ৩৬০০টাকা

প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের ২৫০০ টাকা থেকে ২৯০০ টাকা করা হয়েছে।

প্রাইমারি স্কুলের পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ১০ হাজার আর আপার প্রাইমারিতে করা হয়েছে ১৩ হাজার টাকা।

শিক্ষকদের মাসের প্রথমে বেতন দেওয়া ও ই-পেনসন দেওয়া হয়।

১৩ লক্ষ স্কুল শিক্ষকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে

স্বাস্থ্যসাথীর মধ্যে শিক্ষক শিক্ষিকা অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে

চাইল্ড কেয়ার লিভ ৭৩০ দিন করা হয়েছে।

পিতৃত্বকালীন ছুটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কলেজে শিক্ষক নিয়োগের বয়স ৩৭ থেকে বৃদ্ধি করে ৪০ করা হয়েছে।

কলেজ শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বৃদ্ধি করে ৬৫ করা হয়েছে।

কলেজ শিক্ষকদের উচ্চ শিক্ষার জন্য অন সবেতন ছুটি দেওয়া হচ্ছে।

কলেজ শিক্ষকদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য বেড়াতে যাওয়ার ভাতা করে দেওয়া হয়েছে

সর্বশিক্ষা অভিযান কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। এই খাতে ১৭ হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকারের এখনও পাওনা। রাজ্যসরকার নিজস্ব টাকায় এখনও চালিয়ে যাচ্ছে।

আশা কর্মীদেরও কাজও বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকার নিজস্ব দায়িত্বে এখনও আশা কর্মীদের কাজ চালাতে সাহায্য করছে।

বিশ্বাস আর ভরসা রাখুন। আমার সীমাবদ্ধ ফান্ডের মাধ্যমে আমি শিক্ষকদের জন্য কাজ করবো।
শিক্ষকদের সমস্যাগুলি শিক্ষা দপ্তর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সমাধান করবে।
শিক্ষকদের মাধ্যমেই সমাজে মূল্যবোধ, মানবিকতার গঠন হয়।
ভারতবর্ষের সংবিধান ইতিহাস ঐতিহ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি,সভ্যতা বদলানো যায় না। শিক্ষক সমাজে এই নিয়ে জাগরণ দরকার।
এই বাংলাই ভারতবর্ষকে পথ দেখাবে। বাংলাকে বিশ্ববাংলা গড়ার দায়িত্ব আমাদের সবার।
উন্নততর সমাজ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগন্য।