সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ৭, ২০১৯

জয়েন্ট এন্ট্রান্সে বাংলার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে রাজ্যজুড়ে মিছিলঃ দিদি 

জয়েন্ট এন্ট্রান্সে বাংলার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে রাজ্যজুড়ে মিছিলঃ দিদি 

আজ তৃণমূল ভবনে বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক হয়। সেখানে আগত সব স্তরের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দলের কান্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঐ বৈঠকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

তিনি বলেন, দলের সকলের সঙ্গে কথা হয়েছে। অনেকে বলছে যে কোনও সময় অযোধ্যা নিয়ে রায় বেরোতে পারে তাই সকলে শান্তির আহ্বান জানাতে পারে। আমরা এ বিষয়ে আগে থেকে কিছু বলতে পারছি না কারণ এটা আদালতের বিষয়। কিন্তু, আমাদেরও কর্তব্য সকলকে শান্ত থাকতে বলা। যদি এই বিষয়ে কিছু বলার থাকে, আমি বলব, আর কেউ কিছু বলবে না। আমরা দায়িত্ববান। আমরা চাই দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকুক।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাকে অবহেলা করার বিষয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জয়েন্ট এন্ট্র্যান্সে গুজরাটি ভাষাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গুজরাটি ভাষা নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আমি সব ভাষাকেই ভালোবাসি। কিন্তু, আমার বক্তব্য, অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা অন্তর্ভুক্ত হবে না কেন? বাংলা সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় জয়েন্ট এন্ট্র্যান্স পরীক্ষা চালু করতে হবে। মেডিক্যালও চালু করতে হবে। এতে ছেলেমেয়েরা উপকৃত হবে। সব ভাষাই শেখা ভালো। কিন্তু, মাতৃভাষায় সকলে বেশী স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে।

এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষামন্ত্রী দুমাস আগেই চিঠি পাঠিয়েছিলেন বাংলাকেও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। ওনারা বলছেন গুজারাট আর মহারাষ্ট্র আবেদন করেছিল। তাই, গুজারাটিকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাহলে, মারাঠি কেন অন্তর্ভুক্ত হল না? শিক্ষানীতি থেকে শুরু করে অনেক নীতিই পালটে দেওয়া হয়েছে। মৌলনা আবুল কালাম আজাদের জন্মবার্ষিকীতেও ওনাদের অন্য কোনও নেতার নামে অনুষ্ঠান হবে।

বাংলা ভাষায় জয়েন্ট এন্ট্র্যান্সের দাবী আরও জোরালো করতে তিনি মিছিলের ডাক দেন। তিনি বলেন, জয়েন্ট এন্ট্র্যান্সে বাংলার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ১১ তারিখ দুপুর ২টো থেকে ৩টে বাংলার সমস্ত ব্লকে ব্লকে মিছিল করা হবে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসকেও মিছিল করতে বলা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও অনুরোধ জানাবো তাদের রাজ্যে এই দাবীতে মিছিল করতে।

মানুষের মনে এনআরসি ও সিএবি নিয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। সকল মানুষকে আশ্বস্ত করতে তিনি বলেন, এনআরসি নিয়ে প্রচার চলবে। কারণ, আমরা সকল ধর্মের পক্ষে। আমরা ধর্ম জাতির ভিত্তিতে এনআরসি সমর্থন করিনা। আমরা মনে করি যারা এখানে থাকে সকলেই নাগরিক।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই ভেদাভেদ নিয়ে সোচ্চার হয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, মাঝে মাঝে বলা হয়, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল করে ওপার বাংলা থেকে আগত লোকেদের নাগরিকত্ব দেব। ইন্দিরা গান্ধী ও মুজিবুর রহমানের চুক্তি অনুযায়ী তারা এমনিতেই নাগরিক। একজনকে কতবার করে নাগরিক হতে হবে? ওনাদের সব প্রয়োজনীয় কার্ড-নথি তো ইতিমধ্যেই আছে।

বাংলায় আসন্ন বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে নেত্রী সকলকে শুভেচ্ছা বার্তা দেন ও বলেন, ১০ তারিখ নবী দিবস আছে। আগামী ১২ তারিখ গুরু নানকের  ৫৫০তম আবির্ভাব দিবস। ১১ তারিখ ময়দানে গুরু নানকের আবির্ভাব উপলক্ষ্যে যে অনুষ্ঠান হয়, সেখানে সন্ধ্যেবেলা যাব আর ১২ তারিখ শিলিগুড়ি পৌঁছে সেখানকার গুরুদ্বারাতে যাব। ১৩ তারিখ কোচবিহারের রাসমেলায় যাব। ১৪ তারিখে কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে মিটিং করে ১৫ তারিখে ফিরে আসব। ১৮-২০ তারিখ মালদা, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে অনুষ্ঠান আছে। ২২ তারিখ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আসছে ইডেনে। সেখানেও আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।