জুন ২৭, ২০১৯
পরিবেশ বাঁচাতে বিদ্যুৎ বাঁচানোর নয়া ভাবনা নবান্নের

রাজ্যের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং পরিবেশ রক্ষায় অভিনব পরিকল্পনার কথা ভেবে রাখল রাজ্য সরকার। নবান্নে বিদ্যুৎ ও সেচ দফতরের বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সপ্তাহে এক দিন রাজ্যবাসীকে আধ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার আবেদন জানাবে সরকার। কোন জেলায়, কী বার, কোন সময়ে এই বিদ্যুৎ বন্ধ হবে, তা পরে ঠিক হবে। সরকার আপাতত মনে করছে, আধ ঘণ্টা করে প্রতি সপ্তাহে বিদ্যুৎ বন্ধ হলে, এক দিকে যেমন বিদ্যুৎ ও কয়লা সাশ্রয় হবে, তেমনই তা পরিবেশ রক্ষাতেও সহায়ক হবে। সরকারি অফিস থেকে মন্ত্রীদের দপ্তরগুলিতেও সপ্তাহে এক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে নবান্ন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং পরিবহন ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। স্পষ্ট করে পরিবহন ও সেচমন্ত্রী বলেন, “এটা বাধ্যতামূলক নয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনাতামূলক প্রচার চালানো হবে জেলায় জেলায়।” সামনেই বর্ষার মরসুম। সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরের প্রস্তুতি নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।
সেই বৈঠকে সেভ পাওয়ার, সেভ আর্থ, সেভ এনভায়রনমেন্টের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ বাঁচানোর উপর জোর দিয়েছেন। এলইডির ব্যবহার বাড়ান। সপ্তাহে অন্তত একদিন বাড়িতে আধঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ রাখুন।’
তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা সরবরাহের অঙ্ক বৃদ্ধিতে কেন্দ্র তার দায়িত্ব পালন করছে না, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে পাঁচটি কয়লা খনি কেন্দ্রের তরফে মিলেছিল, সেগুলির মধ্যে বড়জোড়া ও বড়জোড়া উত্তরে কয়লা তোলা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের পাচোরি উত্তরেও কাজ হচ্ছে। এখনও অবশ্য সবচেয়ে বড় খনি দেওচা পাঁচামিতে উৎপাদন শুরু হয়নি। কেন্দ্র সহযোগিতা করছে না।’
সেচমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিতে ক্ষুদ্র সেচের ৬০৭টি প্রকল্প দু’মাস সময়সীমার মধ্যে রূপায়িত হবে। এ ক্ষেত্রেও বিদ্যুতের সরবরাহ নিয়ে যে কোনও সমস্যা হবে না, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’