সাম্প্রতিক খবর

অগাস্ট ২৩, ২০১৯

সেরা গ্রন্থাগারের সম্মান চালু রাজ্যে

সেরা গ্রন্থাগারের সম্মান চালু রাজ্যে

ইন্টারনেটের আগ্রাসনে বই পড়ার অভ্যাস ক্রমেই কমছে মানুষের। বিশেষ করে নয়া প্রজন্ম সোশ্যাল মিডিয়ার গোলকধাঁধায় নিমজ্জিত। তাই সেরা গ্রন্থাগার সম্মান চালু করল রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে সম্মানিত হবেন সেরা পাঠকও।

জেলা, টাউন ও গ্রামীণ—এই তিনস্তরেই শ্রেষ্ঠ সরকারি, সরকার পোষিত গ্রন্থাগার বাছাইয়ের কাজ চলেছে পুরোদমে। পাশাপাশি, জেলাস্তরে বাছাই হবেন শ্রেষ্ঠ পাঠকও। রাজ্যে সেরা গ্রন্থাগারের সম্মান এই প্রথম চালু হল। সেরা পাঠক বাছাইয়ের পর্বটি অবশ্য শুরু হয়েছে বছর দুয়েক আগেই।

কেন এই উদ্যোগ?

আজকের ব্যস্ত জীবনের টানাপোড়েনে বই পড়ার অভ্যাস কিছুটা হলেও কমেছে। বই পড়ার মতো সুঅভ্যাস মানুষের জীবনে ফিরিয়ে আনতে শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার বইয়ে ঠাসা গ্রন্থাগার। যেখানে একই ছাদের তলায় আগ্রহী পাঠক নানা বিষয়ের উপর অজস্র বই হাতের কাছে পাবেন। তাই গ্রন্থাগার সম্মান চালু করা হচ্ছে যাতে শহর-পাড়ায়-গ্রামে গ্রন্থাগার মানুষের নিত্য দিনের জীবনযাত্রার অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। আর নতুন প্রজন্মের মধ্যেও বই পড়ার অভ্যাস বাড়ে।
অত্যন্ত নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কতকগুলি বৈজ্ঞানিক মাপকাঠির ভিত্তিতেই তিনটি স্তরে সেরা সরকার পোষিত গ্রন্থাগার (২০১৮-১৯) বাছাই করা হবে। যেমন –

· ডিস্ট্রিক্ট-টাউন-গ্রামীণ লাইব্রেরির ক্ষেত্র এই ধরণের মাপকাঠির অন্যতম সংশ্লিষ্ট গ্রন্থাগারে সংগৃহীত বই, পত্রপত্রিকা ও পুঁথিপত্রের সংখ্যা।
· লাইব্রেরির সংগ্রহের পরিসংখ্যান-নথি সংরক্ষণে কতটা মনোযোগ দেওয়া হয়।
· গত এক বছরে লাইব্রেরি থেকে বাড়িতে বই নিয়ে পড়েছেন কতজন, লাইব্রেরিতে বসে পড়েছেন কতজন ইত্যাদি।
· কী কী অনুষ্ঠান লাইব্রেরিগুলি পালন করেছে, তা-ও বিচার্য।

বেশ কয়েকটি আর্থিক শর্তও রয়েছেঃ

· গত এক বছরে কত টাকার বই কেনা হয়েছে, এর মধ্যে শিশুপাঠ্য-পাঠ্যপুস্তক-পত্রপত্রিকার সংখ্যা কত বা বই বাঁধানোতে খরচ কত হয়েছে।
· গ্রন্থাগারের পরিকাঠামোগত নানা বিষয়—যেমন কত তলা ভবন, কত জন পাঠক বসে পড়তে পারেন, শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা কেমন, খতিয়ে দেখা হবে।
· সাধারণ ভাবে, শ্রেষ্ঠ পাঠকের বাছাইয়ের ক্ষেত্র অন্যতম শর্ত বই পড়তে নিয়ে ঠিক সময়ে ফেরত দেওয়ার মাপকাঠিতে কোন পাঠক সবার চেয়ে এগিয়ে।

সৌজন্যেঃ এই সময়