নভেম্বর ১১, ২০১৯
খড় পোড়ানোর বিকল্পে জোর রাজ্যের

২০১৯ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী রাজ্যে খড় পোড়ানো নিষিদ্ধ হওয়ার পর রাজ্য সরকার কৃষকদের মধ্যে এই পদ্ধতির খারাপ দিক সম্বন্ধে সচেতনতা অভিযান চালাচ্ছে। এর জন্য উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার করে নজরদারিও চালানো হচ্ছে।
সমস্যা
সম্প্রতি প্রযুক্তিগত সফলতার ফলে খারিফ ও রবি শস্যের মধ্যে ব্যবধান কমেছে। তাই জমিকে তাড়াতাড়ি পরের চাষের জন্য উপযোগী করতে কৃষকরা যন্ত্র দিয়ে ফসল কাটেন। এই পদ্ধতিতে শস্যের গোড়া পড়ে থেকে যায়। এগুলোই পড়ে পোড়ানো হয়। এর ফলে হয় বায়ু দূষণ। সেই অঞ্চলের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায় এবং মাটির উর্বরতা কমে যায়। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় আনবিক জীবও ধ্বংস হয়।
সমাধান
কর্তৃপক্ষ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে তারা যদি যন্ত্র ব্যবহার করে ফসল কাটে সেক্ষেত্রে বেলার ব্যবহার করতে। এই বেলার গোড়া থেকেই ফসল কাটে। বেলার ব্যবহার করা, অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া ও মজুত রাখা খুব সহজ। রাসায়নিক পদ্ধতিতে এই কাজ করার বিষয়েও গবেষণা চলছে।
মালদায় কৃষি দপ্তর একটি যন্ত্র পরীক্ষা করছে যা সম্পূর্ণ ফসল উৎপাটন করবে এবং শক্তি তৈরী করবে। দক্ষিণবঙ্গেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।