সাম্প্রতিক খবর

অক্টোবর ২৭, ২০১৯

দূষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ কালী পুজোর উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

দূষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ কালী পুজোর উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

প্রতি বছরের মত এবছরেও দূষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ কালী পুজো সম্পন্ন করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ

ইতিমধ্যেই বাজি পোড়ানোর সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। শব্দের উচ্চসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৯০ ডেসিবেলে। কালীপুজোতে শব্দদূষণ রুখতে যৌথভাবে কাজ করবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং কলকাতা পুলিশ।

পরিবেশ রক্ষা আইন কড়াভাবে প্রয়োগ করা হবে। এই আইনে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল ও ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

সম্প্রতি বিধান নগরের পরিবেশ ভবনে এই বিষয়ে বৈঠক করে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং কলকাতা পুলিশ। এই বৈঠকে বিভিন্ন আবাসনের সমিতিও উপস্থিত ছিলেন।

কলকাতা পুলিশ সকলকে আবেদন জানিয়েছে বাজি বাজার থেকে বাজি কিনতে। পাঁচটি অস্থায়ী বাজি বাজার কলকাতায় ও তিনটি হাওড়া জেলায় বসবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ শীঘ্রই তাদের পরিবেশ অ্যাপে সেইসব বাজির তালিকা নথিভুক্ত করবে যেসব বাজি শব্দের পরীক্ষায় পাস করেছে। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের সবকটি থানা তাদের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ঐ তালিকা লিফলেটের মাধ্যমে বিলি করবে যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন কোন বাজি তারা কিনতে পারবেন না।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা

এ বছর শহরে তিন হাজারের বেশী পুজো হবে। এই উপলক্ষ্যে একদিকে যেমন থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, তেমনই থাকবে বিশেষ বাহিনী।

এছাড়া শহরের বেশ কটি জায়গায় বিশেষ নিরাপত্তার আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া ডিভিশন অনুযায়ী ৬শোর বেশী জায়গায় থাকবে পুলিস পিকেট। থানার গাড়ি এবং মোটর বাইকে এলাকা ঘুরে বেড়ানো ছাড়াও সরু গলিতে ঢোকার জন্য অটোরিকশার বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে পুলিসের পক্ষ থেকে। মেট্রোতেও নজর রাখা হবে।

শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপ এবং মন্দিরে থাকছে দমকলের ইঞ্জিন। উৎসবে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, সে কারণে পুলিসের পক্ষ থেকে দুডজনের বেশী জরুরি পরিষেবামূলক অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। লোডশেডিং হলে প্রস্তুত থাকবে সিইএসসি–র জেনারেটর ভ্যান। বেশ কটি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ছাড়াও থাকবে কটি বিশেষ হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। সেইসঙ্গে থাকছে অনেক ক্যুইক রেসপন্স টিম।

দমকল দপ্তর সরু গলিতে অগ্নি নির্বাপণের জন্য রাজ্যের সকল দমকল সদর দপ্তরে চারটি করে অগ্নি নির্বাপণের যন্ত্র লাগানো মোটরসাইকেল মোতায়েন রাখবে। এছাড়া মোবাইল ফায়ার স্টেশন তৈরী কড়া হবে তিলজলা, তোপসিয়া, ট্যাংরা, টালিগঞ্জ, ভবানীপুর, বেহালা, আমহার্স্ট স্ট্রীট, বৌবাজার, বারাসাতের চাঁপাডালি, নৈহাটি, হাওড়ার ব্যাটরা ও অন্যান্য জায়গায়। ১৮টি পুজো প্যান্ডেলে দমকল দপ্তর স্টল করবে।

প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি

প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ৩৪টি ঘাটকে চিহ্নিত করেছে পুলিস। প্রায় সব কটি ঘাটে পুলিসের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সদস্যরা থাকবেন। প্রতিটি ঘাটে তৈরী থাকবে রিভার ট্রাফিক রেসকিউ টিম। নজর রাখা হবে সিসিটিভি–র মাধ্যমে।

থাকবে ওয়াচ টাওয়ার। বিসর্জনের সময় যাতে কোনও গোলমাল না হয় সে কারণে প্রায় আড়াইশোটি জায়গায় বিসর্জনের যাত্রাপথে পুলিস পিকেট থাকছে।