সাম্প্রতিক খবর

অক্টোবর ২৭, ২০১৯

দক্ষিণেশ্বর ও কালীঘাটে স্কাইওয়াক – তীর্থযাত্রীদের উপহার দিদির তরফে

দক্ষিণেশ্বর ও কালীঘাটে স্কাইওয়াক – তীর্থযাত্রীদের উপহার দিদির তরফে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্য সরকার রাজ্যের কালী তীর্থগুলির সংস্কার, নির্মাণ করেছে। পাশাপাশি মন্দির চত্ত্বরগুলিতে অনেক সুবিধার বন্দোবস্ত করেছে।সাম্প্রতিক হল দক্ষিণেশ্বর ও কালীঘাটের আধুনিক স্কাইওয়াক। প্রথম স্কাইওয়াকটি গত বছর কালী পুজোর ঠিক আগেই উদ্বোধন করা হয়। পরেরটির পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে। উভয় ক্ষেত্রেই এই পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত।

দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক

এই অত্যাধুনিক স্কাইওয়াকটি সাড়ে ১০.৫ মিটার চওড়া ও ৩৪০ মিটার দীর্ঘ। কাঁচ ও ইস্পাত দিয়ে নির্মিত, এলইডি আলো দ্বারা সজ্জিত ও সিসিটিভি মনিটরিং সমৃদ্ধ এই ক্যান্টিলিভার ব্রীজটি অগ্নি প্রতিরোধকারী ক্ষমতা বিশিষ্ট।রেলওয়ে ও মেট্রো ষ্টেশন থেকে সরাসরি এই মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে। এই স্কাইওয়াক বরাবর দুধারে আছে মোট ১৪টি চলমান সিঁড়ি, চারটি লিফট এবং আটটি সিঁড়ি। এর ফলে, সাধারণ মানুষ যে কোনও জায়গা থেকে স্কাইওয়াকে উঠতে ও নামতে পারবেন। প্রতিটি লিফটে একবারে ২০জন মানুষ ওঠানামা করতে পারবেন।এই স্কাইওয়াকটি পথচারী ও যানচলাচলের রাস্তাকে পৃথক করেছে। প্রতি বছর এই মন্দিরে আসেন ১.৪ কোটি দর্শণার্থী। যারা পায়ে হেঁটে মন্দিরে যান, তাদের জন্য এই স্কাইওয়াক খুব উপযোগী। দক্ষিণেশ্বরে ৬৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে স্কাইওয়াকটি তৈরী করা হয়েছে।

কালীঘাট স্কাইওয়াক

দক্ষিণেশ্বরের মত কালীঘাটেও প্রতিবছর কয়েক কোটি তীর্থযাত্রী আসেন। তাদের সুবিধার্থে তৈরী করা হচ্ছে আরও একটি অত্যাধুনিক স্কাইওয়াক। এই স্কাইওয়াকটির দৈর্ঘ্য হবে ৪৫০ মিটার। এর ফলে কালীঘাট মেট্রো ষ্টেশন থেকে কালীঘাট মন্দিরে সরাসরি যাওয়া যাবে। স্কাইওয়াকে ওঠা নামাও জন্য থাকবে চলমান সিঁড়ি। মন্দিরের আশপাশের অঞ্চল পরিষ্কার ও চওড়া করা হয়েছে।