অগাস্ট ১২, ২০১৯
গত আট বছরে উন্নত হয়েছে রাজ্যের সাধারণ গ্রন্থাগারগুলির পরিকাঠামো

আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। গত আট বছরে উন্নত হয়েছে রাজ্যের সাধারণ পাঠাগারগুলির পরিকাঠামো।
রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তর সারা বাংলার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই দপ্তর একগুচ্ছ প্রকল্প এবং উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২৫০০ সাধারণ গ্রন্থাগার আছে রাজ্য সরকারের অধীনে।
উল্লেখযোগ্য সাফল্যঃ
অনুদান বৃদ্ধি: ২০০০গ্রামীণ গ্রন্থাগারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং বই কিনতে দেওয়া হয়েছে ৬ কোটি টাকা যা ২০১৭-১৮ তে ১৪৫৫ টি গ্রন্থাগার উন্নয়নে যে ৩.২ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল তার প্রায় দ্বিগুণ। ২০১০-১১ অর্থবর্ষে গ্রন্থাগার দপ্তরের বাজেট ছিল ১৪.৮৮ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৫০ কোটি।
প্রান্তিক অঞ্চলে অনুদান বৃদ্ধিঃ জঙ্গলমহলের ১২৫টি গ্রন্থাগারের জন্য ৩ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে অবস্থিত ১৩৫টিরও বেশী গ্রন্থাগারের ভবন নির্মাণের জন্য ৫ কোটি টাকারও বেশী অনুদান দেওয়া হয়েছে। তপশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের গ্রন্থাগারগুলির জন্য ১৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
মাসের প্রথম দিনে অ্যাকাউন্টে বেতনঃ সরকারি অনুদান প্রাপ্ত গ্রন্থাগারের কর্মীদের বেতন প্রতি মাসের এক তারিখে সরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রচারঃ রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য গ্রন্থাগারগুলির মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
মেয়েদের উৎসাহ প্রদানঃ রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারে মহিলাদের জন্য চালু হয়েছে ‘উইমেন্স কর্নার’। বিশেষত, সমাজের প্রান্তিক স্তরের মানুষ ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় মেয়েদের জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
বইয়ের ডিজিটাইজেশনঃ রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সরকারি গ্রন্থাগারে ৩৪ হাজার দুষ্প্রাপ্য বই ডিজিটাইজড পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে সেই সব বইগুলিকে পাঠকদের কাছে ইলেক্ট্রনিক বা ই-বুক মাধ্যমে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেবে এই পাবলিক লাইব্রেরি নেটওয়ার্ক।
নতুন বইঃ সারা রাজ্যে ১১.৪৩ লক্ষ টাকার নতুন বই কেনা হয়েছে।
নিজের বই পড়ঃ ‘নিজের বই পড়’ নামে একটি বিশেষ উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। যেসব বইপ্রেমীদের বাড়িতে পড়ার জায়গার অসুবিধা, তারা গ্রন্থাগারে এসে নিজেদের বই পড়তে পারেন।
অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নঃ পাহাড়ের তপশিলি জাতি, উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণী ও সংখ্যালঘুদের জন্য গ্রন্থাগার পরিকাঠামোয় উন্নয়ন করা হয়েছে।
মডেল গ্রন্থাগারঃ ৮০টি গ্রন্থাগারকে মডেল গ্রন্থাগার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্টাডি সেন্টারঃ সাতটি সরকারি গ্রন্থাগারে স্টাডি সেন্টার খোলা হয়েছে যেখানে নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবই এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বই পাওয়া যায়।
তথ্য কেন্দ্রঃ বেশ কিছু জেলা, শহর, মহকুমা স্তরের গ্রন্থাগারে ‘তথ্য কেন্দ্র’ খোলা হয়েছে।
গ্রন্থাগার উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাঃ গ্রন্থাগারগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা তৈরীর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
কম্পিউটার সংযোগঃ পাঠকদের সুবিধার জন্য ৪০০টিরও বেশী গ্রন্থাগারকে ইন্টারনেট পরিষেবাযুক্ত কম্পিউটার প্রদান করা হয়েছে।